পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ফের ফেরির ধাক্কা
- আপডেট টাইম : ০৬:৫২:৪৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ আগস্ট ২০২১
- / ৩৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক
- এই নিয়ে পঞ্চম দফা
আসিক হাসান , মুন্সীগঞ্জ ॥ চার দিনের ব্যবধানে আবারও পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ফেরির ধাক্কা লেগেছে। মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টায় ধাক্কা লাগায় ফিটনেসবিহীন ফেরি কাকলী। পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কা যেন ধামছেই না। জুলাইয়ে তিন দফা ধাক্কার পর ৯ আগস্টের ধাক্কা নিয়ে যখন চারদিকে আলোচনা তখনই ৫ম ধাক্কাটি লেগেছে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে। এতে ফেরিটির মাঝামাঝি কিছু অংশ ফেটে যায়। এতে খুঁটির উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে দাগ পড়ে গেছে এবং ফেরির র্যামের বাম পাশ কিছুটা দেবে গেছে। এ নিয়ে ৪০ দিনের ব্যবধানে পদ্মা সেতুর পিলারে ৫ বার ধাক্কা খেল। প্রথমবার ২ জুলাই, ২০ জুলাই ফেরি শাহ মখদুম ১৬ নম্বর পিলারে, ২৩ জুলাই ১৭ নম্বর পিলারে শাহজালাল, ৯ আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর। ফেরির স্টাফরা দাবি করেন, স্রোত, বৃষ্টি ও বাতাস ছিল। সেই সঙ্গে পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে ফেরিটি সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটির মাঝ দিয়ে আসার কথা থাকলেও ১০ নম্বর পিলারে গিয়ে ধাক্কা লাগে। পরে ফেরিটি সেতুর ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের ভিতর দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে। ফেরিটিতে ২৪টি ছোট যানবাহন ছিল। তবে যাত্রী ও পরিবহনের কোন ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে শিমুলিয়া বন্দরের ৩ নম্বর ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে ফেরিটি।
নৌ প্রতিমন্ত্রীর পরিদর্শন ॥ শুক্রবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পদ্মা সেতুর দুর্ঘটনাস্থল, শিমুলিয়া ঘাট ও মাঝিরকান্দি ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন। পদ্মা সেতুতে বারবার ধাক্কার ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিব্রত, এমন ঘটনায় পদ্মা সেতুর ন্যূনতম ক্ষতিও হবে না বলে জানান তিনি। ফেরি চালকের অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রী আরও বলেন ধাক্কা দেয়ার সব ঘটনা প্রায় একই ধরনের। এর আগেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের কিছু নির্দেশনা ছিল। এই নির্দেশনা পালনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু উদাসীনতা লক্ষ্য করেছি। কেন এ ঘটনাগুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হয়নি এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও বিস্তারিত আলোচনা আজকে সন্ধ্যার সভায় আমরা করব। সেই সভাতেই আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে। মন্ত্রী বলেন আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। তারপরও কেন বারবার এ ঘটনাগুলো ঘটছে? শুক্রবারও একটা ঘটনা ঘটে গেছে। বিষয়টি হালকা হলেও আমরা এটা হালকাভাবে দেখছি না। আজকে শিমুলিয়া বাংলাবাজার রুটটি আমরা সার্ভে করলাম। ঘুরে দেখলাম। আমাদের যেটা মনে হয়েছে ফেরি চালানোর ক্ষেত্রে এখানে উদাসীনতা, অসেচতনতা এখানে কাজ করেছে। তিনি বলেন মাঝিকান্দি আমরা পরিদর্শন করেছি। কারণ পদ্মা সেতু পুরোপুরি চালু হওয়ার পর বাংলাবাজার ঘাটটি আর ব্যবহার করা যাবে না। সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার কারণে। সে ক্ষেত্রে মাঝিকান্দি আমরা ফেরি ঘাট হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। আজকে সেটার প্রাথমিক পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে আজকের সন্ধ্যার সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে। সেখান থেকে এ বিষয়েও পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।