ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা

আশুলিয়ায় অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনের অর্ধগলিত খন্ডিত লাশ উদ্ধার ।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১
  • / ২৯৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ নজরুল ইসলাম।।

শিল্পঞ্চল আশুলিয়ায় অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মন নামে নিখোঁজ এক কলেজের অধ্যক্ষ খন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় হত্যাকারী মূলহোতাসহ তিনজনকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে লাশ খন্ডিত বাকি অংশ উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।
সোমবার সকালে আশুলিয়ার
জামগড়া এলাকায় অভিযান চলছে বলে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।
নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মন সাভার রেসিরডনশিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ।নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মনের ছেলে।
র‍্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কমান্ডার লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গত ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় ওই শিক্ষক নিখোঁজের জিডি করেন তার পরিবার।
ওই ঘটনায় র‌্যাব পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ ওই শিক্ষকের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকারী মূলহোতাসহ
তিনজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিন্টুর এক সহকর্মীসহ র‍্যাবের হাতে আটক তিনজনও র‍্যাবের অভিযান দলের সঙ্গে রয়েছেন।
র‍্যাব বলছে,
অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে মিন্টুর মাথা বিচ্ছিন্ন করে উত্তরায় একটি ডোবায় ফেলা দেওয়া হয়। ২৮ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে আজ সোমবার সকালে এক খুদে বার্তায় সাংবাদিকদের অভিযান চালানোর তথ্য জানানো হয়। র‍্যাব জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিল্পঞ্চল আশুলিয়ার জামগড়ায় রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের লাশ উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে।
মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়ায় এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। দুই বছর আগে (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও বাদশা । মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন এর অধ্যক্ষ। গত ১৩ জুলাই থেকে তাঁর সন্ধান মিলছিল না।
র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের ভাষ্যমতে স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে ঢেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায়। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আশুলিয়ায় অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনের অর্ধগলিত খন্ডিত লাশ উদ্ধার ।

আপডেট টাইম : ০৭:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১

মোঃ নজরুল ইসলাম।।

শিল্পঞ্চল আশুলিয়ায় অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মন নামে নিখোঁজ এক কলেজের অধ্যক্ষ খন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় হত্যাকারী মূলহোতাসহ তিনজনকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে লাশ খন্ডিত বাকি অংশ উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।
সোমবার সকালে আশুলিয়ার
জামগড়া এলাকায় অভিযান চলছে বলে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।
নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মন সাভার রেসিরডনশিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ।নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মনের ছেলে।
র‍্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কমান্ডার লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গত ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় ওই শিক্ষক নিখোঁজের জিডি করেন তার পরিবার।
ওই ঘটনায় র‌্যাব পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ ওই শিক্ষকের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকারী মূলহোতাসহ
তিনজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিন্টুর এক সহকর্মীসহ র‍্যাবের হাতে আটক তিনজনও র‍্যাবের অভিযান দলের সঙ্গে রয়েছেন।
র‍্যাব বলছে,
অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে মিন্টুর মাথা বিচ্ছিন্ন করে উত্তরায় একটি ডোবায় ফেলা দেওয়া হয়। ২৮ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে আজ সোমবার সকালে এক খুদে বার্তায় সাংবাদিকদের অভিযান চালানোর তথ্য জানানো হয়। র‍্যাব জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিল্পঞ্চল আশুলিয়ার জামগড়ায় রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের লাশ উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে।
মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়ায় এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। দুই বছর আগে (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও বাদশা । মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন এর অধ্যক্ষ। গত ১৩ জুলাই থেকে তাঁর সন্ধান মিলছিল না।
র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের ভাষ্যমতে স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে ঢেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায়। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।