ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সুখ ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় ক্রিকেটারদের ঈদ বার্তা ঈদের পর রাজনীতি নিয়ে কী পরিকল্পনা বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপির? গাজীপুরের কাশিমপুরে  ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে পটুয়াখালীতে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে নিহত ১ গুরুতর আহত ২ জাতীয় ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল, প্রধান জামাত শুরু সকাল সাড়ে ৮টায় দেশবাসীকে জামায়াত আমিরের ঈদের শুভেচ্ছা পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়িয়া উপজেলায়, স্বপ্নের মুক্তি ফাউন্ডেশন, এর প্রতিষ্ঠাতা, আব্দুল্লাহ আল অভি, এর উদ্যোগে, আশ্রয়ন প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মেহেদি উৎসব ঢাকাস্থ ফুলবাড়ী সমিতির উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত এ‍্যডহক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন ফিরোজের ব্যক্তিগত পরিচয় ও তার বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার নান্দাইলে বিএনপি নেতা মেজর জেনারেল (অব:) আনোয়ারুল মোমেনের সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

শাফুল ইসলাম গাজীপুরঃ

গাজীপুরের টঙ্গীতে করোনাকালিন সময় থেকে এখনও পর্যন্ত বন্ধ হয়নি কোচিং বানিজ্য। সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিদী অমান্য করে প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে একাধীক কোচিং সেন্টার। টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন আউচপাড়া কলেজ রোড এলাকায় অভিযান ৪৫ এর ব্রিটিশ এমেরিকান টেকনোলজি এন্ড ম্যানেজম্যান্ট ইনস্টিটিউটের নিচ তলার একটি ফ্লাটে চলছে ‘সাকসেস এডমিশন কেয়ার’ নামের এই কোচিং সেন্টার। এই কোচিং সেন্টারে টঙ্গী ও উত্তরার স্কুল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীদের থেকে দ্বীগুন অর্থ নিয়ে কোচিং করানোর অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টঙ্গীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও আশপাশের এলাকা জুড়ে এমন একাধিক কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে স্থানীয় নামী দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব কোচিং সেন্টারে পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এমনি ভাবে টঙ্গী কলেজ রোডে ‘সাকসেস এডমিশন কেয়ার’ নামে একটি কোচিং সেন্টারে সরকারি নিদের্শনা অমান্য করেও কোন প্রকার সাইনবোর্ড ছাড়াই গোপনে কোচিং বাণিজ্য করে আসছে। গত মঙ্গলবার সকালে কোচিং সেন্টারের প্রবেশ করার সাথে সাথে শিক্ষকরা তাড়াহুড়ো করে ছাত্র, ছাত্রীদের বের করে দেয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কোচিং সেন্টারের পরিচালনা কমিটির সদস্য জুবায়ের হোসেন জানান, আমাদের কোচিং সেন্টারের ৫টি কক্ষে প্রতিদিন একাধীক শীফটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোচিং চলে। প্রতি ব্যাচে ২০ থেকে ২৫ জন করে শিক্ষার্থী থাকছে। প্রতিমাসে তাদের কাছ থেকে বেতন বাবদ ১২শত’ টাকা করে নেওয়া হয়।  কোচিং সেন্টারটি  ইমরান, শাহিন, অনিক ও আমি দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করে আসছি। স্কুল/কলেজ বন্ধ থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আসে তাই আমরা কোচিং পরিচালনা করছি। আমাদের কোচিং করানোর কোন ধরণে বৈধতা নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে তাই আমরা কোচিং সেন্টার চালু রেখেছি। আশে পাশে এমন অনেক কোচিং সেন্টার রয়েছে।

এবিষয়ে সাকসেস এডমিশন কেয়ার কোচিং সেন্টারের পরিচালক ইমরান জানান, আমাদের কোচিং সেন্টারটি টঙ্গী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক বড় ভাই দেখাশোনা করেন কোচিং এর ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারবো না।

এব্যাপারে টঙ্গী থানা শিক্ষা অফিসার শিখা বিশ্বাস জানান, এ সম্পর্কে আমাদের জানান নেই। আমরা খোজঁ নিয়ে দেখবো কারা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন। প্রমাণ পেলে যথা যোগ্য ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

আপডেট টাইম : ০৫:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

শাফুল ইসলাম গাজীপুরঃ

গাজীপুরের টঙ্গীতে করোনাকালিন সময় থেকে এখনও পর্যন্ত বন্ধ হয়নি কোচিং বানিজ্য। সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিদী অমান্য করে প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে একাধীক কোচিং সেন্টার। টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন আউচপাড়া কলেজ রোড এলাকায় অভিযান ৪৫ এর ব্রিটিশ এমেরিকান টেকনোলজি এন্ড ম্যানেজম্যান্ট ইনস্টিটিউটের নিচ তলার একটি ফ্লাটে চলছে ‘সাকসেস এডমিশন কেয়ার’ নামের এই কোচিং সেন্টার। এই কোচিং সেন্টারে টঙ্গী ও উত্তরার স্কুল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীদের থেকে দ্বীগুন অর্থ নিয়ে কোচিং করানোর অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টঙ্গীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও আশপাশের এলাকা জুড়ে এমন একাধিক কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে স্থানীয় নামী দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব কোচিং সেন্টারে পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এমনি ভাবে টঙ্গী কলেজ রোডে ‘সাকসেস এডমিশন কেয়ার’ নামে একটি কোচিং সেন্টারে সরকারি নিদের্শনা অমান্য করেও কোন প্রকার সাইনবোর্ড ছাড়াই গোপনে কোচিং বাণিজ্য করে আসছে। গত মঙ্গলবার সকালে কোচিং সেন্টারের প্রবেশ করার সাথে সাথে শিক্ষকরা তাড়াহুড়ো করে ছাত্র, ছাত্রীদের বের করে দেয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কোচিং সেন্টারের পরিচালনা কমিটির সদস্য জুবায়ের হোসেন জানান, আমাদের কোচিং সেন্টারের ৫টি কক্ষে প্রতিদিন একাধীক শীফটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোচিং চলে। প্রতি ব্যাচে ২০ থেকে ২৫ জন করে শিক্ষার্থী থাকছে। প্রতিমাসে তাদের কাছ থেকে বেতন বাবদ ১২শত’ টাকা করে নেওয়া হয়।  কোচিং সেন্টারটি  ইমরান, শাহিন, অনিক ও আমি দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করে আসছি। স্কুল/কলেজ বন্ধ থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আসে তাই আমরা কোচিং পরিচালনা করছি। আমাদের কোচিং করানোর কোন ধরণে বৈধতা নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে তাই আমরা কোচিং সেন্টার চালু রেখেছি। আশে পাশে এমন অনেক কোচিং সেন্টার রয়েছে।

এবিষয়ে সাকসেস এডমিশন কেয়ার কোচিং সেন্টারের পরিচালক ইমরান জানান, আমাদের কোচিং সেন্টারটি টঙ্গী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক বড় ভাই দেখাশোনা করেন কোচিং এর ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারবো না।

এব্যাপারে টঙ্গী থানা শিক্ষা অফিসার শিখা বিশ্বাস জানান, এ সম্পর্কে আমাদের জানান নেই। আমরা খোজঁ নিয়ে দেখবো কারা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন। প্রমাণ পেলে যথা যোগ্য ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।