ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তা পরিবর্তনের পথে বাংলাদেশ, নেতৃত্বে ড. ইউনূস: দ্য ইকোনমিস্ট গভীর রাতে ৭৫০ জনকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা, বিজিবি-জনতার বাধায় পিছু হটল বিএসএফ পরিবহণসহ ৫ খাতে ৭০ শতাংশ বরাদ্দ ট্রাম্পের পরোক্ষ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান পুতিনের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প

গাজীপুরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৫০৯ ১৫০০০.০ বার পাঠক

শাফুল ইসলাম গাজীপুরঃ

গাজীপুরের টঙ্গীতে করোনাকালিন সময় থেকে এখনও পর্যন্ত বন্ধ হয়নি কোচিং বানিজ্য। সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিদী অমান্য করে প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে একাধীক কোচিং সেন্টার। টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন আউচপাড়া কলেজ রোড এলাকায় অভিযান ৪৫ এর ব্রিটিশ এমেরিকান টেকনোলজি এন্ড ম্যানেজম্যান্ট ইনস্টিটিউটের নিচ তলার একটি ফ্লাটে চলছে ‘সাকসেস এডমিশন কেয়ার’ নামের এই কোচিং সেন্টার। এই কোচিং সেন্টারে টঙ্গী ও উত্তরার স্কুল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীদের থেকে দ্বীগুন অর্থ নিয়ে কোচিং করানোর অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টঙ্গীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও আশপাশের এলাকা জুড়ে এমন একাধিক কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে স্থানীয় নামী দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব কোচিং সেন্টারে পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এমনি ভাবে টঙ্গী কলেজ রোডে ‘সাকসেস এডমিশন কেয়ার’ নামে একটি কোচিং সেন্টারে সরকারি নিদের্শনা অমান্য করেও কোন প্রকার সাইনবোর্ড ছাড়াই গোপনে কোচিং বাণিজ্য করে আসছে। গত মঙ্গলবার সকালে কোচিং সেন্টারের প্রবেশ করার সাথে সাথে শিক্ষকরা তাড়াহুড়ো করে ছাত্র, ছাত্রীদের বের করে দেয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কোচিং সেন্টারের পরিচালনা কমিটির সদস্য জুবায়ের হোসেন জানান, আমাদের কোচিং সেন্টারের ৫টি কক্ষে প্রতিদিন একাধীক শীফটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোচিং চলে। প্রতি ব্যাচে ২০ থেকে ২৫ জন করে শিক্ষার্থী থাকছে। প্রতিমাসে তাদের কাছ থেকে বেতন বাবদ ১২শত’ টাকা করে নেওয়া হয়।  কোচিং সেন্টারটি  ইমরান, শাহিন, অনিক ও আমি দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করে আসছি। স্কুল/কলেজ বন্ধ থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আসে তাই আমরা কোচিং পরিচালনা করছি। আমাদের কোচিং করানোর কোন ধরণে বৈধতা নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে তাই আমরা কোচিং সেন্টার চালু রেখেছি। আশে পাশে এমন অনেক কোচিং সেন্টার রয়েছে।

এবিষয়ে সাকসেস এডমিশন কেয়ার কোচিং সেন্টারের পরিচালক ইমরান জানান, আমাদের কোচিং সেন্টারটি টঙ্গী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক বড় ভাই দেখাশোনা করেন কোচিং এর ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারবো না।

এব্যাপারে টঙ্গী থানা শিক্ষা অফিসার শিখা বিশ্বাস জানান, এ সম্পর্কে আমাদের জানান নেই। আমরা খোজঁ নিয়ে দেখবো কারা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন। প্রমাণ পেলে যথা যোগ্য ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

আপডেট টাইম : ০৫:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

শাফুল ইসলাম গাজীপুরঃ

গাজীপুরের টঙ্গীতে করোনাকালিন সময় থেকে এখনও পর্যন্ত বন্ধ হয়নি কোচিং বানিজ্য। সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিদী অমান্য করে প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে একাধীক কোচিং সেন্টার। টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন আউচপাড়া কলেজ রোড এলাকায় অভিযান ৪৫ এর ব্রিটিশ এমেরিকান টেকনোলজি এন্ড ম্যানেজম্যান্ট ইনস্টিটিউটের নিচ তলার একটি ফ্লাটে চলছে ‘সাকসেস এডমিশন কেয়ার’ নামের এই কোচিং সেন্টার। এই কোচিং সেন্টারে টঙ্গী ও উত্তরার স্কুল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীদের থেকে দ্বীগুন অর্থ নিয়ে কোচিং করানোর অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টঙ্গীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও আশপাশের এলাকা জুড়ে এমন একাধিক কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে স্থানীয় নামী দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব কোচিং সেন্টারে পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এমনি ভাবে টঙ্গী কলেজ রোডে ‘সাকসেস এডমিশন কেয়ার’ নামে একটি কোচিং সেন্টারে সরকারি নিদের্শনা অমান্য করেও কোন প্রকার সাইনবোর্ড ছাড়াই গোপনে কোচিং বাণিজ্য করে আসছে। গত মঙ্গলবার সকালে কোচিং সেন্টারের প্রবেশ করার সাথে সাথে শিক্ষকরা তাড়াহুড়ো করে ছাত্র, ছাত্রীদের বের করে দেয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কোচিং সেন্টারের পরিচালনা কমিটির সদস্য জুবায়ের হোসেন জানান, আমাদের কোচিং সেন্টারের ৫টি কক্ষে প্রতিদিন একাধীক শীফটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোচিং চলে। প্রতি ব্যাচে ২০ থেকে ২৫ জন করে শিক্ষার্থী থাকছে। প্রতিমাসে তাদের কাছ থেকে বেতন বাবদ ১২শত’ টাকা করে নেওয়া হয়।  কোচিং সেন্টারটি  ইমরান, শাহিন, অনিক ও আমি দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করে আসছি। স্কুল/কলেজ বন্ধ থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আসে তাই আমরা কোচিং পরিচালনা করছি। আমাদের কোচিং করানোর কোন ধরণে বৈধতা নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে তাই আমরা কোচিং সেন্টার চালু রেখেছি। আশে পাশে এমন অনেক কোচিং সেন্টার রয়েছে।

এবিষয়ে সাকসেস এডমিশন কেয়ার কোচিং সেন্টারের পরিচালক ইমরান জানান, আমাদের কোচিং সেন্টারটি টঙ্গী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক বড় ভাই দেখাশোনা করেন কোচিং এর ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারবো না।

এব্যাপারে টঙ্গী থানা শিক্ষা অফিসার শিখা বিশ্বাস জানান, এ সম্পর্কে আমাদের জানান নেই। আমরা খোজঁ নিয়ে দেখবো কারা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন। প্রমাণ পেলে যথা যোগ্য ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।