সংবাদ শিরোনাম ::
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আহমদিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়
সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ১২:০১:১৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ জুলাই ২০২১
- / ২৯৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আহমদিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদুল আজহার নাম
মুসলিম বিশ্বের ঐক্য, শান্তি এবং মহামারি করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব থেকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সব মানুষের সুরক্ষার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
সরকারি নির্দেশনা মেনে সুস্থ-সবল ব্যক্তিদের নিয়ে ঢাকাস্থ আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়।
সকাল ৯টায় মসজিদের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের ইমামতি করেন আহমদিয়া মুসলিম জামা’ত, বাংলাদেশের ন্যাশনাল আমীর আলহাজ্জ মাওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী।
জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়।
খুতবায় হজরত ইব্রাহিম (আ.) , হজরত ইসমাইল (আ.) এবং হজরত হাজেরা (আ.)-এর অসাধারণ আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন-
কেবল লোক দেখানো আর আনন্দ উদযাপনের জন্য একজন মুমিন পশু কোরবানি করে থাকে না বরং এক অসাধারণ ত্যাগকে স্মরণ রেখে ঈদ উদযাপন করে। মুমিন কুরবানির যে প্রকৃত গুরুত্ব তাকে স্মরণ রাখে আর সে সেভাবেই স্মরণ রাখে যেভাবে স্মরণ রাখা উচিত। হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.) হাজার হাজার বছর পূর্বে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে কোরবানি করেছিলেন তাকে স্মরণ করেই মুমিন কোরবানির ঈদ উদযাপন করে থাকে। আর
তাদের দোয়ার বরকতে তাদের মাধ্যমে এমন এক সুমহান জাতি গঠন করেন যে জাতিসত্তায় খাতামান্নাবেঈন হজরত মুহাম্মদ (সা.)এর মত সর্বমহান ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীকে আল্লাহতায়ালা পাঠান। যাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছেন আর তাঁর মাধ্যমেই কেবল আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছা সম্ভব। হজরত হজেরা (আ.) এবং হজরত ইসমাইল (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই বস্তু জগৎকে পরিত্যাগ করেছিলেন আর আল্লাহতায়ালা সারা পৃথিবীকে হজরত ইসমাইল (আ.) এর সন্তানদের চরণে এনে উপস্থিত করেছেন।
হজরত ইব্রাহিম (আ.) এবং তাঁর পরিবারের মহান আদর্শ নিজেদের মাঝে ধারণ করার প্রতিও তিনি আহ্বান জানান।
খুতবায় বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে বেশি বেশি দোয়া করার আহ্বান জানান। মানব সেবার বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন- আমরা তখনই প্রকৃত ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারব যখন আমার আমাদের প্রতিবেশী এবং অসহায়দের খোঁজ-খবর নিব এবং সুখে-দু:খে তাদের পাশে দাঁড়াব।
তিনি আরো বলেন- বর্তমান মহামারি করোনার কারণে মানব সেবার এই দায়িত্বটি আমাদেরকে আরো অধিকহারে করতে হবে।
খুতবা শেষে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের ঐক্যে এবং বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আল্লাহ যেন বিশ্ববাসীকে রক্ষা করেন এজন্যও দোয়া করা হয়।
পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা প্রবেশ করেন মসজিদে। ঈদ জামাত, কোলাকুলি ও হাত মেলাতে মানা থাকায় সেগুলো মেনেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে অংশগ্রহণকারী সবার জন্য গিফট প্যাকের ব্যবস্থা করা হয়। একইভাবে সারাদেশে আহমদিয়া মসজিদগুলোতে পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
আরো খবর.......