সংবাদ শিরোনাম ::
আদিতমারী উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে প্রকল্গের কাজ শেষ না করেই বরাদ্দের পুরো টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে
সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০৯:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
- / ২৪৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র অধীনে রত্নাই নদীর খননে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, কাজ শেষ না করেই বরাদ্দের পুরো টাকা উত্তোলনের পূর্বক আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে মহিষতুলি থেকে ঝারির ঝাড় নামক গ্রাম পযর্ন্ত তিন কিলোমিটার রত্নাই নদী খননে এক কোটি ৮১ লক্ষ এগার হাজার ৭২০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
গত বছর ২০২০ সালের জুনের মধ্যে নদী খনন কাজ সম্পন্ন করার চুক্তি করেছিল চট্টগ্রামের মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স (প্রাইভেট) লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখনো কাজ অসম্পুর্ণ রয়েছে। আর কাজ অসম্পুর্ন থাকলেও বিল তোলা হয়েছে পুরোটাই।
মহিষতুলি গ্রামের কৃষক মফিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, খননের আগে রত্নাই নদী ভালোই ছিলো। খননের নামে ঠিকাদার ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে তা প্রকাশ্যে বিক্রিও করেছিলেন। খননের নামে শুধু নদীতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এতে নদীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে সে সময় ৪টি ড্রেজার মেশনও জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ঝারির ঝাড় গ্রামের আরেক কৃষক সফিয়ার রহমান বলেন, ওই নদী সামান্য কিছু খনন করার পর ঠিকাদার খনন মেশিন নিয়ে চলে যায়। এরপর নদী খননের কথা থাকলেও ঠিকাদার সে কাজ করেননি। এলজিইডি’র লোকজনও আসেননি দেখতে। খননের পর রত্নাই নদী আগের চেয়ে আরো খারাপ অবস্থায় পরেছে বলে তিনি জানান। ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ খনন কাজ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
রত্নাই নদীতে খননের নামে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ৪টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে তার আগুনে পুড়ে নষ্ট করার বিষয়ে স্বীকার করেছেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন দাউদের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের দাবি করে বলেন, রত্নাই নদীতে চুক্তি অনুযায়ী খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গেল বছরই ওই কাজের বিলও উত্তোলন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
লালমনিরহাট এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান বলেন, ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যদি ঠিকাদার গড়িমসি করেন তাহলে তার জামানতের অর্থ দিয়ে অসম্পুর্ণ কাজ সম্পুর্ণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
আরো খবর.......