ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
বর্ণিল চাকরি জীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ হুমায়ুন কবির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ দাবি: ব্যবস্থাগ্রহণ চেয়ে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন ডাব চু’রি করতে গিয়ে গাছের উপরই অজ্ঞান কিশোর, ছয় ঘণ্টা পর উদ্ধার গোবিন্দগন্জে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনার ধান ও পাট বীজ এবং সার বিতরণ জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, মুক্তাগাছা বেগুনবাড়ী সহ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে, মহা অষ্টমী স্নান উৎসব পালিত ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন অভিষেক ব্যানার্জী দেশে প্রথমবারের মতো ভূমি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী কাশিমপুরে খাঁশ জমি দখলের অন্যতম সহযোগী সার্ভেয়ার রফিক ও দখলরাজ সন্ত্রাস বাহিনীর প্রধান রমজান আলী গং ভারতের রাষ্ট্রপতি, রাজভবন কে জন রাজভবনের জন্য চাবি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে

ইকরাম আব্দি ওমর: বাঁধা জয় করে উঠে আসা এক হিজাবি মডেল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক।।


যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাবি নারী মডেল ছিলেন ইকরাম আব্দি ওমর। মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি ভোগ ম্যাগাজিনের কভার মডেল হয়েছিলেন তিনি। সুইডেনে জন্মানো সোমালিয়ার এই মডেলের এখনকার বয়স ২৩। বাস করেন ব্রিস্টলে। তিনি সবসময়ই বলেন, তার জন্মস্থানের ঐতিহ্য এবং তার ধর্মীয় বিশ্বাস তার মডেলিং ক্যারিয়ারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। 
বিবিসিকে তিনি বলেন, মানুষ যদি নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে চায় আমার সেটা ভালো লাগে। পোশাকের মধ্যে দিয়েও সে বার্তা দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কাজ নারীর ক্ষমতায়ন করছে।কারণ, এর মাধ্যমে মানুষ দেখছে যে নারীরা চাইলেই তার পছন্দের মতো পোশাক পরতে পারেন। তিনি যুক্ত করেন, হিজাব আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। এটি আসলে বিনয় এবং সৌন্দর্য্যের প্রতিক। এটি আত্মবিশ্বাসের প্রতিক। এটি প্রমাণ করে, আমি যা চাই তাই পরতে পাড়ি। যখন আমি হিজাব পরি তখন আমি নিজেকে সৃষ্টিকর্তার কাছাকাছি মনে করি, ইসলামের সঙ্গে আরো বেশি যুক্ত মনে করি। গত কয়েক বছরে এই চিন্তা অনেক বেশি দৃঢ় হয়েছে। 

২০১৮ সালে ইকরাম তার বায়োমেডিকেল সায়েন্স ডিগ্রি ছেড়ে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার এমন সিদ্ধান্তকে ভাল ভাবে নেয়নি তার পরিবার। তিনি বলেন, আমার দাদা-দাদি যখন আমার এই সিদ্ধান্তের কথা জানলেন তারা ভাবলেন, মডেলিং কোনো ভালো কাজ নয়। তারা চিন্তিত হয়ে পরেছিলেন। তবে তাদেরকে বোঝানোর পরে তারা এখন এ বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন। আমার কাজ তারা দেখেছেন এবং তারা এ বিষয়ে সহজ হয়েছেন। 
তবে তার বাবা আব্দি ওমর মেয়ের ইচ্ছাকে সমর্থন দেন। যদিও তিনি ইকরামকে তার পড়াশুনা শেষ করতে চাপ দেন। মেয়েকে তিনি বলেন, যদি ধর্ম ছাড়তে না হয়, তাহলে মডেলিং নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই। যদিও সোমালি জনগোষ্ঠীর অনেকেই ইকরামের ক্যারিয়ার পছন্দ করা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ইকরাম বলেন, যখন আমাকে আমার সোমালি শিকড়ের দিকে যেতে হয় আমি দেখি যে, আগের প্রজন্মের কেউই মডেলিং কিংবা নারীর এভাবে মানুষের চোখের সামনে উঠে আসাকে ভালভাবে নেয় না। তবে তাদেরকে শিক্ষিত করা প্রয়োজন। তাদেরকে বোঝানো প্রয়োজন যে, মূল্যবোধ থাকলে পশ্চিমা সংস্কৃতি এ কাজকে সম্মান করে। 
বিশ্বজুড়ে হিজাবি মডেলদের মধ্যে প্রথম দিককার ইকরাম এরইমধ্যে মুসলিম নারীদের জন্য মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছেন। এরইমধ্যে ঢেউয়ের মতো সোমালি তরুণীরা মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে শুরু করেছে। এটি তাকে আনন্দিত করে বলে জানান ইকরাম। তিনি বলেন, এখন আমার অনেক বোনের সঙ্গে আমি আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে পারি। আমরা সবাই একে অপরকে সাহায্য করতে পারি এবং শিখতে পারি। কীভাবে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে চর্চা করতে পারি।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্ণিল চাকরি জীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ হুমায়ুন কবির

ইকরাম আব্দি ওমর: বাঁধা জয় করে উঠে আসা এক হিজাবি মডেল

আপডেট টাইম : ০৯:২১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক।।


যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাবি নারী মডেল ছিলেন ইকরাম আব্দি ওমর। মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি ভোগ ম্যাগাজিনের কভার মডেল হয়েছিলেন তিনি। সুইডেনে জন্মানো সোমালিয়ার এই মডেলের এখনকার বয়স ২৩। বাস করেন ব্রিস্টলে। তিনি সবসময়ই বলেন, তার জন্মস্থানের ঐতিহ্য এবং তার ধর্মীয় বিশ্বাস তার মডেলিং ক্যারিয়ারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। 
বিবিসিকে তিনি বলেন, মানুষ যদি নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে চায় আমার সেটা ভালো লাগে। পোশাকের মধ্যে দিয়েও সে বার্তা দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কাজ নারীর ক্ষমতায়ন করছে।কারণ, এর মাধ্যমে মানুষ দেখছে যে নারীরা চাইলেই তার পছন্দের মতো পোশাক পরতে পারেন। তিনি যুক্ত করেন, হিজাব আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। এটি আসলে বিনয় এবং সৌন্দর্য্যের প্রতিক। এটি আত্মবিশ্বাসের প্রতিক। এটি প্রমাণ করে, আমি যা চাই তাই পরতে পাড়ি। যখন আমি হিজাব পরি তখন আমি নিজেকে সৃষ্টিকর্তার কাছাকাছি মনে করি, ইসলামের সঙ্গে আরো বেশি যুক্ত মনে করি। গত কয়েক বছরে এই চিন্তা অনেক বেশি দৃঢ় হয়েছে। 

২০১৮ সালে ইকরাম তার বায়োমেডিকেল সায়েন্স ডিগ্রি ছেড়ে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার এমন সিদ্ধান্তকে ভাল ভাবে নেয়নি তার পরিবার। তিনি বলেন, আমার দাদা-দাদি যখন আমার এই সিদ্ধান্তের কথা জানলেন তারা ভাবলেন, মডেলিং কোনো ভালো কাজ নয়। তারা চিন্তিত হয়ে পরেছিলেন। তবে তাদেরকে বোঝানোর পরে তারা এখন এ বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন। আমার কাজ তারা দেখেছেন এবং তারা এ বিষয়ে সহজ হয়েছেন। 
তবে তার বাবা আব্দি ওমর মেয়ের ইচ্ছাকে সমর্থন দেন। যদিও তিনি ইকরামকে তার পড়াশুনা শেষ করতে চাপ দেন। মেয়েকে তিনি বলেন, যদি ধর্ম ছাড়তে না হয়, তাহলে মডেলিং নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই। যদিও সোমালি জনগোষ্ঠীর অনেকেই ইকরামের ক্যারিয়ার পছন্দ করা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ইকরাম বলেন, যখন আমাকে আমার সোমালি শিকড়ের দিকে যেতে হয় আমি দেখি যে, আগের প্রজন্মের কেউই মডেলিং কিংবা নারীর এভাবে মানুষের চোখের সামনে উঠে আসাকে ভালভাবে নেয় না। তবে তাদেরকে শিক্ষিত করা প্রয়োজন। তাদেরকে বোঝানো প্রয়োজন যে, মূল্যবোধ থাকলে পশ্চিমা সংস্কৃতি এ কাজকে সম্মান করে। 
বিশ্বজুড়ে হিজাবি মডেলদের মধ্যে প্রথম দিককার ইকরাম এরইমধ্যে মুসলিম নারীদের জন্য মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছেন। এরইমধ্যে ঢেউয়ের মতো সোমালি তরুণীরা মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে শুরু করেছে। এটি তাকে আনন্দিত করে বলে জানান ইকরাম। তিনি বলেন, এখন আমার অনেক বোনের সঙ্গে আমি আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে পারি। আমরা সবাই একে অপরকে সাহায্য করতে পারি এবং শিখতে পারি। কীভাবে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে চর্চা করতে পারি।