ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নব নির্বাচিত হরিরামপুর প্রেসক্লাবের মাসিক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ভৈরবে ভবানী পুর সালিশ বৈঠকে ২ বংশের মাঝে সংঘর্ষে ১জন নিহত ২০ জন হাহত হয় খামেনিকে বাদশাহ সালমানের চিঠি পৌঁছে দিলেন সৌদির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে: পাকিস্তান রাতেই ৯ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস, সতর্ক সংকেত বোট ক্লাবের ৩২ কোটি টাকা বেনজীরের পেটে মোংলায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৩১ কেজি হরিণের মাংস জব্দ বেড়েছে তেল, চাল ও পেঁয়াজের দাম, কমেছে মুরগির চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে হামলা চালানোর ইসরাইলি পরিকল্পনা ফাঁস

ইকরাম আব্দি ওমর: বাঁধা জয় করে উঠে আসা এক হিজাবি মডেল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:২১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৩৮২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক।।


যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাবি নারী মডেল ছিলেন ইকরাম আব্দি ওমর। মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি ভোগ ম্যাগাজিনের কভার মডেল হয়েছিলেন তিনি। সুইডেনে জন্মানো সোমালিয়ার এই মডেলের এখনকার বয়স ২৩। বাস করেন ব্রিস্টলে। তিনি সবসময়ই বলেন, তার জন্মস্থানের ঐতিহ্য এবং তার ধর্মীয় বিশ্বাস তার মডেলিং ক্যারিয়ারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। 
বিবিসিকে তিনি বলেন, মানুষ যদি নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে চায় আমার সেটা ভালো লাগে। পোশাকের মধ্যে দিয়েও সে বার্তা দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কাজ নারীর ক্ষমতায়ন করছে।কারণ, এর মাধ্যমে মানুষ দেখছে যে নারীরা চাইলেই তার পছন্দের মতো পোশাক পরতে পারেন। তিনি যুক্ত করেন, হিজাব আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। এটি আসলে বিনয় এবং সৌন্দর্য্যের প্রতিক। এটি আত্মবিশ্বাসের প্রতিক। এটি প্রমাণ করে, আমি যা চাই তাই পরতে পাড়ি। যখন আমি হিজাব পরি তখন আমি নিজেকে সৃষ্টিকর্তার কাছাকাছি মনে করি, ইসলামের সঙ্গে আরো বেশি যুক্ত মনে করি। গত কয়েক বছরে এই চিন্তা অনেক বেশি দৃঢ় হয়েছে। 

২০১৮ সালে ইকরাম তার বায়োমেডিকেল সায়েন্স ডিগ্রি ছেড়ে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার এমন সিদ্ধান্তকে ভাল ভাবে নেয়নি তার পরিবার। তিনি বলেন, আমার দাদা-দাদি যখন আমার এই সিদ্ধান্তের কথা জানলেন তারা ভাবলেন, মডেলিং কোনো ভালো কাজ নয়। তারা চিন্তিত হয়ে পরেছিলেন। তবে তাদেরকে বোঝানোর পরে তারা এখন এ বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন। আমার কাজ তারা দেখেছেন এবং তারা এ বিষয়ে সহজ হয়েছেন। 
তবে তার বাবা আব্দি ওমর মেয়ের ইচ্ছাকে সমর্থন দেন। যদিও তিনি ইকরামকে তার পড়াশুনা শেষ করতে চাপ দেন। মেয়েকে তিনি বলেন, যদি ধর্ম ছাড়তে না হয়, তাহলে মডেলিং নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই। যদিও সোমালি জনগোষ্ঠীর অনেকেই ইকরামের ক্যারিয়ার পছন্দ করা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ইকরাম বলেন, যখন আমাকে আমার সোমালি শিকড়ের দিকে যেতে হয় আমি দেখি যে, আগের প্রজন্মের কেউই মডেলিং কিংবা নারীর এভাবে মানুষের চোখের সামনে উঠে আসাকে ভালভাবে নেয় না। তবে তাদেরকে শিক্ষিত করা প্রয়োজন। তাদেরকে বোঝানো প্রয়োজন যে, মূল্যবোধ থাকলে পশ্চিমা সংস্কৃতি এ কাজকে সম্মান করে। 
বিশ্বজুড়ে হিজাবি মডেলদের মধ্যে প্রথম দিককার ইকরাম এরইমধ্যে মুসলিম নারীদের জন্য মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছেন। এরইমধ্যে ঢেউয়ের মতো সোমালি তরুণীরা মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে শুরু করেছে। এটি তাকে আনন্দিত করে বলে জানান ইকরাম। তিনি বলেন, এখন আমার অনেক বোনের সঙ্গে আমি আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে পারি। আমরা সবাই একে অপরকে সাহায্য করতে পারি এবং শিখতে পারি। কীভাবে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে চর্চা করতে পারি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইকরাম আব্দি ওমর: বাঁধা জয় করে উঠে আসা এক হিজাবি মডেল

আপডেট টাইম : ০৯:২১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক।।


যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাবি নারী মডেল ছিলেন ইকরাম আব্দি ওমর। মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি ভোগ ম্যাগাজিনের কভার মডেল হয়েছিলেন তিনি। সুইডেনে জন্মানো সোমালিয়ার এই মডেলের এখনকার বয়স ২৩। বাস করেন ব্রিস্টলে। তিনি সবসময়ই বলেন, তার জন্মস্থানের ঐতিহ্য এবং তার ধর্মীয় বিশ্বাস তার মডেলিং ক্যারিয়ারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। 
বিবিসিকে তিনি বলেন, মানুষ যদি নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে চায় আমার সেটা ভালো লাগে। পোশাকের মধ্যে দিয়েও সে বার্তা দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কাজ নারীর ক্ষমতায়ন করছে।কারণ, এর মাধ্যমে মানুষ দেখছে যে নারীরা চাইলেই তার পছন্দের মতো পোশাক পরতে পারেন। তিনি যুক্ত করেন, হিজাব আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। এটি আসলে বিনয় এবং সৌন্দর্য্যের প্রতিক। এটি আত্মবিশ্বাসের প্রতিক। এটি প্রমাণ করে, আমি যা চাই তাই পরতে পাড়ি। যখন আমি হিজাব পরি তখন আমি নিজেকে সৃষ্টিকর্তার কাছাকাছি মনে করি, ইসলামের সঙ্গে আরো বেশি যুক্ত মনে করি। গত কয়েক বছরে এই চিন্তা অনেক বেশি দৃঢ় হয়েছে। 

২০১৮ সালে ইকরাম তার বায়োমেডিকেল সায়েন্স ডিগ্রি ছেড়ে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার এমন সিদ্ধান্তকে ভাল ভাবে নেয়নি তার পরিবার। তিনি বলেন, আমার দাদা-দাদি যখন আমার এই সিদ্ধান্তের কথা জানলেন তারা ভাবলেন, মডেলিং কোনো ভালো কাজ নয়। তারা চিন্তিত হয়ে পরেছিলেন। তবে তাদেরকে বোঝানোর পরে তারা এখন এ বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন। আমার কাজ তারা দেখেছেন এবং তারা এ বিষয়ে সহজ হয়েছেন। 
তবে তার বাবা আব্দি ওমর মেয়ের ইচ্ছাকে সমর্থন দেন। যদিও তিনি ইকরামকে তার পড়াশুনা শেষ করতে চাপ দেন। মেয়েকে তিনি বলেন, যদি ধর্ম ছাড়তে না হয়, তাহলে মডেলিং নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই। যদিও সোমালি জনগোষ্ঠীর অনেকেই ইকরামের ক্যারিয়ার পছন্দ করা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ইকরাম বলেন, যখন আমাকে আমার সোমালি শিকড়ের দিকে যেতে হয় আমি দেখি যে, আগের প্রজন্মের কেউই মডেলিং কিংবা নারীর এভাবে মানুষের চোখের সামনে উঠে আসাকে ভালভাবে নেয় না। তবে তাদেরকে শিক্ষিত করা প্রয়োজন। তাদেরকে বোঝানো প্রয়োজন যে, মূল্যবোধ থাকলে পশ্চিমা সংস্কৃতি এ কাজকে সম্মান করে। 
বিশ্বজুড়ে হিজাবি মডেলদের মধ্যে প্রথম দিককার ইকরাম এরইমধ্যে মুসলিম নারীদের জন্য মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছেন। এরইমধ্যে ঢেউয়ের মতো সোমালি তরুণীরা মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে শুরু করেছে। এটি তাকে আনন্দিত করে বলে জানান ইকরাম। তিনি বলেন, এখন আমার অনেক বোনের সঙ্গে আমি আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে পারি। আমরা সবাই একে অপরকে সাহায্য করতে পারি এবং শিখতে পারি। কীভাবে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে চর্চা করতে পারি।