ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা

আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে ভারত

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৪:০২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • / ২২৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছরের লড়াই শেষে দেশে ফিরছে ক্লান্ত মার্কিন বাহিনী। তালেবান যোদ্ধারা ফের দুর্নিবার গতিতে কাবুলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো আশঙ্কায় ভারত।

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চলেছে নয়া দিল্লি।

সংবাদ সংস্থা এএনআই’র খবর অনুসারে, কাবুলে দূতাবাস ছাড়াও আফগানিস্তানের চার শহরে কান্দাহার, মাজার-ই-শরিফ, জালালাবাদ, হায়রাতে ভারতের কনস্যুলেট রয়েছে। এর মধ্যে তালেবানের হামলার আশঙ্কায় জালালাবাদ, হায়রাতে আগেই কনস্যুলেট বন্ধ করে ভারত। এবার বাকি দুটি শহরে কনস্যুলেট বন্ধের কাজ চলছে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা চারটি বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে আত্মঘাতী হামলা করেন। এই হামলার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্র আফগান মিলিশিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাবুল থেকে তালেবান সরকারকে বিতাড়িত করে।

প্রায় দুই দশক ধরে চলা আফগান যুদ্ধের ইতি টানছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সব সেনা প্রত্যাহার করবে। এ লক্ষ্যে অর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
 
এএনআই’র খবরে বলা হয়েছে, কান্দাহার ও মাজারের ভারতের কনস্যুলেটে অন্তত ৫০০ কর্মী কাজ করেন। কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসেও রয়েছে বহু কর্মী। টালমাটাল পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের কাছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে দিল্লি।

এর আগে গত ১ জুলাই কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলে, সশস্ত্র সংগঠনগুলো আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে। তাদের নিশানায় রয়েছে সেনাবাহিনী, সরকারি দপ্তর ও সাধারণ মানুষ। এসব ঘটনা থেকে ভারতীয় নাগরিকরা ছাড় পাবেন বলে ভাবার কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে অপহরণের ভয় রয়েছে। তাই আফগানিস্তানে কর্মরত বা ভ্রমণরত যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

ভারতের কাবুল দূতাবাসের ওই নির্দেশিকায় ভারতীয়দের অপ্রয়োজনীয় সফর না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, সামরিক কনভয় বা সেনা চৌকি থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মার্কিন গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা সরে যাওয়ার ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কাবুল দখল করতে তালেবান।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে ভারত

আপডেট টাইম : ০৩:৩৪:০২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছরের লড়াই শেষে দেশে ফিরছে ক্লান্ত মার্কিন বাহিনী। তালেবান যোদ্ধারা ফের দুর্নিবার গতিতে কাবুলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো আশঙ্কায় ভারত।

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চলেছে নয়া দিল্লি।

সংবাদ সংস্থা এএনআই’র খবর অনুসারে, কাবুলে দূতাবাস ছাড়াও আফগানিস্তানের চার শহরে কান্দাহার, মাজার-ই-শরিফ, জালালাবাদ, হায়রাতে ভারতের কনস্যুলেট রয়েছে। এর মধ্যে তালেবানের হামলার আশঙ্কায় জালালাবাদ, হায়রাতে আগেই কনস্যুলেট বন্ধ করে ভারত। এবার বাকি দুটি শহরে কনস্যুলেট বন্ধের কাজ চলছে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা চারটি বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে আত্মঘাতী হামলা করেন। এই হামলার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্র আফগান মিলিশিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাবুল থেকে তালেবান সরকারকে বিতাড়িত করে।

প্রায় দুই দশক ধরে চলা আফগান যুদ্ধের ইতি টানছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সব সেনা প্রত্যাহার করবে। এ লক্ষ্যে অর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
 
এএনআই’র খবরে বলা হয়েছে, কান্দাহার ও মাজারের ভারতের কনস্যুলেটে অন্তত ৫০০ কর্মী কাজ করেন। কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসেও রয়েছে বহু কর্মী। টালমাটাল পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের কাছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে দিল্লি।

এর আগে গত ১ জুলাই কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলে, সশস্ত্র সংগঠনগুলো আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে। তাদের নিশানায় রয়েছে সেনাবাহিনী, সরকারি দপ্তর ও সাধারণ মানুষ। এসব ঘটনা থেকে ভারতীয় নাগরিকরা ছাড় পাবেন বলে ভাবার কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে অপহরণের ভয় রয়েছে। তাই আফগানিস্তানে কর্মরত বা ভ্রমণরত যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

ভারতের কাবুল দূতাবাসের ওই নির্দেশিকায় ভারতীয়দের অপ্রয়োজনীয় সফর না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, সামরিক কনভয় বা সেনা চৌকি থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মার্কিন গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা সরে যাওয়ার ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কাবুল দখল করতে তালেবান।