যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ কোম্পানিতে বড় ধরনের সাইবার হামলা
- আপডেট টাইম : ১০:০২:১৮ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
- / ৩০৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২০০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের র্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক একটি কোম্পানি।
হান্ট্রেস ল্যাবস নামের ওই কোম্পানিটি বলছে, হ্যাকাররা ফ্লোরিডাভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কাসেয়াতে হামলার পর কাসেয়ার সফটওয়্যার ব্যবহার করা করপোরেট নেটওয়ার্কে ঢুকে পড়ে।
ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে কাসেয়াও ‘সম্ভাব্য একটি হামলা’ নিয়ে তদন্তের কথা জানিয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
রাশিয়া সংশ্লিষ্ট রেভিল র্যানসমওয়্যার গ্যাং-ই এ হামলার জন্য দায়ী বলে ধারণা হান্ট্রেস ল্যাবসের।
যুক্তরাষ্ট্রের সাইবারসিউকিরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সংস্থা জানিয়েছে, তারা হামলাটি মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোতে এ বড় ধরনের সাইবার হামলার বিষয়টি উদ্ঘাটিত হয়।
কাসেয়া জানায়, তাদের করপোরেট সার্ভার, ডেস্কটপ কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক ডিভাইস পরিচালনা করা অ্যাপসের মধ্যে একটির নিয়ন্ত্রণ সম্ভবত হাতছাড়া হয়ে গেছে।
যে গ্রাহকরা তাদের ভিএসএ টুলস ব্যবহার করে, তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব সার্ভার বন্ধ করে দিতেও অনুরোধ করে এ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি।
পরে এক বিবৃতিতে সাইবার হামলায় ‘অল্পসংখ্যক’ কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানায় কাসেয়া। অন্যদিকে হান্ট্রেস ল্যাবের মতে, ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ২০০ এবং এ সংখ্যা বাড়ছে।
কী ধরনের কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি। এ বিষয়ে কাসেয়ার এক প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তথ্য দিতে রাজি হননি।
কাসেয়ার ওয়েবসাইটে ১০টি দেশে তাদের উপস্থিতি এবং গ্রাহক সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি বলে জানানো হয়েছে।
রেভিল র্যানসমওয়্যার গ্যাংটি সোদিনোকবি গ্যাং নামেও পরিচিত। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ও ধনী সাইবার অপরাধী গোষ্ঠী।
এরাই চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মাংস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জেবিএসের কার্যক্রম পঙ্গু করে দিয়েছি বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এফবিআইয়ের।
২০১৯ সালে টেক্সাসে প্রায় দুই ডজন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে সমন্বিত হামলায়ও রেভিলের নাম এসেছিল।