ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা

করোনার লকডাউনে বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৩৪৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

বিদায়ী বছর দেশে করোনার জন্য লকডাউনকালে উল্লেখযোগ্য হারে নারী শারীরিক, মানসিক, যৌন, অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেক নারী ও শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। স্কুল বন্ধ থাকায় বাল্যবিবাহও থেমে থাকেনি। বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কয়েক দফা জরিপে তারা জানায়, প্রত্যেক দফায় এমন অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা আগে কখনো নির্যাতনের শিকার হয়নি।জরিপের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৪৮ নারী, মানসিক নির্যাতনের শিকার ২ হাজার আট জন, যৌন নির্যাতনের শিকার ৮৫ জন এবং অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ‘১ হাজার ৩০৮ জন নারী। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন চার জন নারী, হত্যা করা হয়েছে এক জনকে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে ২০ জন নারীকে। ৪২৪ জন শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহ হয়েছে ৩৩টি এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪২টি। চারটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৬ জনকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়, অপহূত হয়েছে দুই জন, যৌন হয়রানির শিকার ১০ জন এবং ত্রাণ নেওয়ার সময় ১০টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুদের মধ্যে শতকরা ৯২ ভাগ তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়দের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। আর নারীরা বেশির ভাগই স্বামীর হাতে।

নভেম্বরের শেষে দেশের ৫৯ জেলায় ১০ লাখ নারীর অংশগ্রহণ এ জরিপটিতে দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার নারী, পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী প্রথমবারের মতো নির্যাতিত হয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, কোভিড-১৯-এর কারণে লকডাউন চলাকালে নারীর ওপর সহিংসতার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলাকালে প্রথম দুই মাস (মার্চ ও এপ্রিল) এর তুলনায় মে মাসে পারিবারিক সহিংসতা ৩১ শতাংশ বেড়েছে। পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের চেয়েও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত যেসব নারী পারিবারিক নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাদের ভেতর ৪৭ শতাংশ মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এরপর প্রায় ৩০ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘বিশ্বে এই করোনার সময় লকডাউনে নারী নির্যাতন ২০ ভাগ বেড়েছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। আর এখানে স্বাভাবিক অবস্থায়ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেশি। এ সময় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে শিশু ধর্ষণ হয়েছে বেশি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যমতে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৪৬ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের শিশু-কিশোরীই বেশি যাদের বয়স ৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। শিশুধর্ষণের বেশির ভাগ ঘটনায় আশপাশের মানুষই দায়ী। উল্লেখ্য, ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতনের অপরাদের ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

করোনার লকডাউনে বেড়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন

আপডেট টাইম : ০৬:২২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

বিদায়ী বছর দেশে করোনার জন্য লকডাউনকালে উল্লেখযোগ্য হারে নারী শারীরিক, মানসিক, যৌন, অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেক নারী ও শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। স্কুল বন্ধ থাকায় বাল্যবিবাহও থেমে থাকেনি। বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কয়েক দফা জরিপে তারা জানায়, প্রত্যেক দফায় এমন অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা আগে কখনো নির্যাতনের শিকার হয়নি।জরিপের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৪৮ নারী, মানসিক নির্যাতনের শিকার ২ হাজার আট জন, যৌন নির্যাতনের শিকার ৮৫ জন এবং অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ‘১ হাজার ৩০৮ জন নারী। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন চার জন নারী, হত্যা করা হয়েছে এক জনকে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে ২০ জন নারীকে। ৪২৪ জন শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহ হয়েছে ৩৩টি এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪২টি। চারটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৬ জনকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়, অপহূত হয়েছে দুই জন, যৌন হয়রানির শিকার ১০ জন এবং ত্রাণ নেওয়ার সময় ১০টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুদের মধ্যে শতকরা ৯২ ভাগ তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়দের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। আর নারীরা বেশির ভাগই স্বামীর হাতে।

নভেম্বরের শেষে দেশের ৫৯ জেলায় ১০ লাখ নারীর অংশগ্রহণ এ জরিপটিতে দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার নারী, পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী প্রথমবারের মতো নির্যাতিত হয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, কোভিড-১৯-এর কারণে লকডাউন চলাকালে নারীর ওপর সহিংসতার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলাকালে প্রথম দুই মাস (মার্চ ও এপ্রিল) এর তুলনায় মে মাসে পারিবারিক সহিংসতা ৩১ শতাংশ বেড়েছে। পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের চেয়েও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত যেসব নারী পারিবারিক নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাদের ভেতর ৪৭ শতাংশ মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এরপর প্রায় ৩০ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘বিশ্বে এই করোনার সময় লকডাউনে নারী নির্যাতন ২০ ভাগ বেড়েছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। আর এখানে স্বাভাবিক অবস্থায়ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেশি। এ সময় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে শিশু ধর্ষণ হয়েছে বেশি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যমতে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৪৬ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের শিশু-কিশোরীই বেশি যাদের বয়স ৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। শিশুধর্ষণের বেশির ভাগ ঘটনায় আশপাশের মানুষই দায়ী। উল্লেখ্য, ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতনের অপরাদের ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হয়।