ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক ওভারটাইম আর নাইট বিলের টাকায় গড়েছেন 📖 সবার জন্য পড়া উন্মুক্ত পাঠাগার মাগুরায় বিজ্ঞান মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার ওসির ঘুষ কেলেংকারীতে তিন এসআই প্রত্যাহার রায়ের রিভিউতে আদালত খালেদা জিয়ার সম্মানহানি করা হয়েছে তনির স্বামী মারা গেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দ করেছে সেনাবাহিনী’, জানা যায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২দিন ব্যাপী সেমিনার ও প্রদর্শনী উদ্বোধন লক্ষ লক্ষ মানুষকে বরণ করতে প্রস্তুত ঐতিহাসিক ‘বালাই হাওর’ আল্লামা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ(রহ.)’র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল বুধবার ঢাকা রাজধানীর শাহজাহানপুর থানা এলাকার থেকে এক চাঁদাবাজ গ্রেফতার করেছেন পুলিশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম চাষীদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে আমের মণ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:২১:১০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • / ২১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার।।

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে সবচেয়ে বড় বাজার কানসাট। গত ১৫ দিন থেকে ধীরেধীরে জমে উঠেছে আম বাজার। এদিকে বাজারে আম চাষীদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে মণ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আড়ৎদারদের বিরুদ্ধে।

আম চাষীরা বলছেন- করোনার কারণে একে আমের দাম কম, অন্যদিকে ৪০ কেজিতে মণ হওয়ার কথা থাকলেও নিচ্ছেন ৫০ কেজিতে। এতে ওজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।

আম চাষি আব্দুল হাকিম বলেন, এক ভ্যান গুটি জাতের আম নিয়ে কানসাট বাজারে আসছিলাম বাপু। বিক্রি করেছি ৩৫০ টাকা মণ দরে। ওজন করার পরে জানতে পারলাম আমের মণ ৫০ কেজিতে। হিসেব করে পেয়েছি মাত্র ১ হাজার ৪০০ টাকা। এ টাকা দিয়ে ভ্যান ভাড়া দিব না নিজে খাব কহো বাপু। বিষ খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

আম ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে থেকে বসে আছি হিমসাগর আম নিয়ে। নেই কোন ক্রেতা, দাম বলছেন ১২’শ টাকা মণ। প্রচন্ড গরমে আর কতক্ষণ বসে থাকবো। এদিকে আমের মণ ৪০ কেজিতে নেয়ার কথা থাকলেও ৫০ কেজিতে নিচ্ছেন আড়ৎদারা। আমরা সারাবছর খাব কি? আমরা তো ৫ থেকে ৬ কেজি বেশি দিচ্ছি। আমের ওজন ৪৫ থেকে ৪৬ কেজিতে করার দাবি জানান।

তবে আমিনুল নামে এক আড়ৎদার বলছেন- আম হচ্ছে কাঁচা মাল দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছাতে ওজন কমে যায়। এ জন্যই প্রধানত ১০ কেজি আম বেশী নেয়া হচ্ছে। ৫০ কেজি ওজন নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই নিচ্ছে তাই আমরাও নিচ্ছি।

ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব জানান, আমের ওজন নিয়ে ২০১৬-২০১৭ তে আন্দোলন করি সঠিক ওজন নেয়া ও ডিজিটাল মিটারে ওজন নেয়ার। তখন অনেকেই এটা নিয়ে না বুঝে এবং আড়ৎদারদের মিথ্যা প্রচারণায় আমাদেরই দোষারোপ করে। এক সময় আড়তদারদের বাধ্য করি ডিজিটাল মিটার ব্যবহারে, তখন থেকে ওজন কারচুপি রোধে ডিজিটাল মিটার চালু হয় এবং ৪৫-৪৬ কেজিকে এক মণ ধরে আম কেনা শুরু করে আড়তদাররা। জেলা প্রশাসনের সভায় তখন লিখিত রেজুলেশনও হয়েছিল ৪০ কেজিতে এক মণ হিসেবে করার। পরে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কোথাও এর বাস্তবায়নে ভূমিকা নেইনি।

আম আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু জানান, কানসাট বাজারে আমের মণ ৪০ কেজিতে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে পৌঁছাতে ওজন কমে যায় তাই ৫-৬ কেজি আম বেশী নেয়া হয়। তবে কৃষকের কাছে ৫০ কেজিতে মণ নেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি অবগত নই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি বলেন, আমের মণ ৪০ কেজির বাইরে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম চাষীদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে আমের মণ

আপডেট টাইম : ০৯:২১:১০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

অর্থনৈতিক রিপোর্টার।।

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে সবচেয়ে বড় বাজার কানসাট। গত ১৫ দিন থেকে ধীরেধীরে জমে উঠেছে আম বাজার। এদিকে বাজারে আম চাষীদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে মণ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আড়ৎদারদের বিরুদ্ধে।

আম চাষীরা বলছেন- করোনার কারণে একে আমের দাম কম, অন্যদিকে ৪০ কেজিতে মণ হওয়ার কথা থাকলেও নিচ্ছেন ৫০ কেজিতে। এতে ওজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।

আম চাষি আব্দুল হাকিম বলেন, এক ভ্যান গুটি জাতের আম নিয়ে কানসাট বাজারে আসছিলাম বাপু। বিক্রি করেছি ৩৫০ টাকা মণ দরে। ওজন করার পরে জানতে পারলাম আমের মণ ৫০ কেজিতে। হিসেব করে পেয়েছি মাত্র ১ হাজার ৪০০ টাকা। এ টাকা দিয়ে ভ্যান ভাড়া দিব না নিজে খাব কহো বাপু। বিষ খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

আম ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে থেকে বসে আছি হিমসাগর আম নিয়ে। নেই কোন ক্রেতা, দাম বলছেন ১২’শ টাকা মণ। প্রচন্ড গরমে আর কতক্ষণ বসে থাকবো। এদিকে আমের মণ ৪০ কেজিতে নেয়ার কথা থাকলেও ৫০ কেজিতে নিচ্ছেন আড়ৎদারা। আমরা সারাবছর খাব কি? আমরা তো ৫ থেকে ৬ কেজি বেশি দিচ্ছি। আমের ওজন ৪৫ থেকে ৪৬ কেজিতে করার দাবি জানান।

তবে আমিনুল নামে এক আড়ৎদার বলছেন- আম হচ্ছে কাঁচা মাল দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছাতে ওজন কমে যায়। এ জন্যই প্রধানত ১০ কেজি আম বেশী নেয়া হচ্ছে। ৫০ কেজি ওজন নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই নিচ্ছে তাই আমরাও নিচ্ছি।

ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব জানান, আমের ওজন নিয়ে ২০১৬-২০১৭ তে আন্দোলন করি সঠিক ওজন নেয়া ও ডিজিটাল মিটারে ওজন নেয়ার। তখন অনেকেই এটা নিয়ে না বুঝে এবং আড়ৎদারদের মিথ্যা প্রচারণায় আমাদেরই দোষারোপ করে। এক সময় আড়তদারদের বাধ্য করি ডিজিটাল মিটার ব্যবহারে, তখন থেকে ওজন কারচুপি রোধে ডিজিটাল মিটার চালু হয় এবং ৪৫-৪৬ কেজিকে এক মণ ধরে আম কেনা শুরু করে আড়তদাররা। জেলা প্রশাসনের সভায় তখন লিখিত রেজুলেশনও হয়েছিল ৪০ কেজিতে এক মণ হিসেবে করার। পরে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কোথাও এর বাস্তবায়নে ভূমিকা নেইনি।

আম আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু জানান, কানসাট বাজারে আমের মণ ৪০ কেজিতে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে পৌঁছাতে ওজন কমে যায় তাই ৫-৬ কেজি আম বেশী নেয়া হয়। তবে কৃষকের কাছে ৫০ কেজিতে মণ নেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি অবগত নই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি বলেন, আমের মণ ৪০ কেজির বাইরে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।