ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারতে মুসলমানদের উপর নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ইসলামকে যারা মানে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করে তারাই শুধু মুক্তি পাবে: নজরুল ইসলাম ইয়েমেনে অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে মার্কিন হামলায় নিহত ৬৮ মোংলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা: গুরুতর আহত ৩, থানায় অভিযোগ দায়ের কিশোরগঞ্জে হাওড়ে বজ্রপাত, নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন নিক-শনের জুটিতে হতাশা বাড়ছে বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ফিরিয়ে উদযাপনে মাতেন তানজিম। তবে বাংলাদেশ এমন উদযাপনের উপলক্ষ আর একবারই পেয়েছে শিল্পের গ্যাস দিয়ে চলছে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন, দিশেহারা কারখানা মালিকরা পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো মামলার আরও ২ আসামি শনাক্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম চাষীদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে আমের মণ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:২১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • / ২৩৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার।।

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে সবচেয়ে বড় বাজার কানসাট। গত ১৫ দিন থেকে ধীরেধীরে জমে উঠেছে আম বাজার। এদিকে বাজারে আম চাষীদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে মণ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আড়ৎদারদের বিরুদ্ধে।

আম চাষীরা বলছেন- করোনার কারণে একে আমের দাম কম, অন্যদিকে ৪০ কেজিতে মণ হওয়ার কথা থাকলেও নিচ্ছেন ৫০ কেজিতে। এতে ওজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।

আম চাষি আব্দুল হাকিম বলেন, এক ভ্যান গুটি জাতের আম নিয়ে কানসাট বাজারে আসছিলাম বাপু। বিক্রি করেছি ৩৫০ টাকা মণ দরে। ওজন করার পরে জানতে পারলাম আমের মণ ৫০ কেজিতে। হিসেব করে পেয়েছি মাত্র ১ হাজার ৪০০ টাকা। এ টাকা দিয়ে ভ্যান ভাড়া দিব না নিজে খাব কহো বাপু। বিষ খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

আম ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে থেকে বসে আছি হিমসাগর আম নিয়ে। নেই কোন ক্রেতা, দাম বলছেন ১২’শ টাকা মণ। প্রচন্ড গরমে আর কতক্ষণ বসে থাকবো। এদিকে আমের মণ ৪০ কেজিতে নেয়ার কথা থাকলেও ৫০ কেজিতে নিচ্ছেন আড়ৎদারা। আমরা সারাবছর খাব কি? আমরা তো ৫ থেকে ৬ কেজি বেশি দিচ্ছি। আমের ওজন ৪৫ থেকে ৪৬ কেজিতে করার দাবি জানান।

তবে আমিনুল নামে এক আড়ৎদার বলছেন- আম হচ্ছে কাঁচা মাল দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছাতে ওজন কমে যায়। এ জন্যই প্রধানত ১০ কেজি আম বেশী নেয়া হচ্ছে। ৫০ কেজি ওজন নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই নিচ্ছে তাই আমরাও নিচ্ছি।

ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব জানান, আমের ওজন নিয়ে ২০১৬-২০১৭ তে আন্দোলন করি সঠিক ওজন নেয়া ও ডিজিটাল মিটারে ওজন নেয়ার। তখন অনেকেই এটা নিয়ে না বুঝে এবং আড়ৎদারদের মিথ্যা প্রচারণায় আমাদেরই দোষারোপ করে। এক সময় আড়তদারদের বাধ্য করি ডিজিটাল মিটার ব্যবহারে, তখন থেকে ওজন কারচুপি রোধে ডিজিটাল মিটার চালু হয় এবং ৪৫-৪৬ কেজিকে এক মণ ধরে আম কেনা শুরু করে আড়তদাররা। জেলা প্রশাসনের সভায় তখন লিখিত রেজুলেশনও হয়েছিল ৪০ কেজিতে এক মণ হিসেবে করার। পরে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কোথাও এর বাস্তবায়নে ভূমিকা নেইনি।

আম আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু জানান, কানসাট বাজারে আমের মণ ৪০ কেজিতে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে পৌঁছাতে ওজন কমে যায় তাই ৫-৬ কেজি আম বেশী নেয়া হয়। তবে কৃষকের কাছে ৫০ কেজিতে মণ নেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি অবগত নই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি বলেন, আমের মণ ৪০ কেজির বাইরে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম চাষীদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে আমের মণ

আপডেট টাইম : ০৯:২১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

অর্থনৈতিক রিপোর্টার।।

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে সবচেয়ে বড় বাজার কানসাট। গত ১৫ দিন থেকে ধীরেধীরে জমে উঠেছে আম বাজার। এদিকে বাজারে আম চাষীদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে মণ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আড়ৎদারদের বিরুদ্ধে।

আম চাষীরা বলছেন- করোনার কারণে একে আমের দাম কম, অন্যদিকে ৪০ কেজিতে মণ হওয়ার কথা থাকলেও নিচ্ছেন ৫০ কেজিতে। এতে ওজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।

আম চাষি আব্দুল হাকিম বলেন, এক ভ্যান গুটি জাতের আম নিয়ে কানসাট বাজারে আসছিলাম বাপু। বিক্রি করেছি ৩৫০ টাকা মণ দরে। ওজন করার পরে জানতে পারলাম আমের মণ ৫০ কেজিতে। হিসেব করে পেয়েছি মাত্র ১ হাজার ৪০০ টাকা। এ টাকা দিয়ে ভ্যান ভাড়া দিব না নিজে খাব কহো বাপু। বিষ খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

আম ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে থেকে বসে আছি হিমসাগর আম নিয়ে। নেই কোন ক্রেতা, দাম বলছেন ১২’শ টাকা মণ। প্রচন্ড গরমে আর কতক্ষণ বসে থাকবো। এদিকে আমের মণ ৪০ কেজিতে নেয়ার কথা থাকলেও ৫০ কেজিতে নিচ্ছেন আড়ৎদারা। আমরা সারাবছর খাব কি? আমরা তো ৫ থেকে ৬ কেজি বেশি দিচ্ছি। আমের ওজন ৪৫ থেকে ৪৬ কেজিতে করার দাবি জানান।

তবে আমিনুল নামে এক আড়ৎদার বলছেন- আম হচ্ছে কাঁচা মাল দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছাতে ওজন কমে যায়। এ জন্যই প্রধানত ১০ কেজি আম বেশী নেয়া হচ্ছে। ৫০ কেজি ওজন নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই নিচ্ছে তাই আমরাও নিচ্ছি।

ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব জানান, আমের ওজন নিয়ে ২০১৬-২০১৭ তে আন্দোলন করি সঠিক ওজন নেয়া ও ডিজিটাল মিটারে ওজন নেয়ার। তখন অনেকেই এটা নিয়ে না বুঝে এবং আড়ৎদারদের মিথ্যা প্রচারণায় আমাদেরই দোষারোপ করে। এক সময় আড়তদারদের বাধ্য করি ডিজিটাল মিটার ব্যবহারে, তখন থেকে ওজন কারচুপি রোধে ডিজিটাল মিটার চালু হয় এবং ৪৫-৪৬ কেজিকে এক মণ ধরে আম কেনা শুরু করে আড়তদাররা। জেলা প্রশাসনের সভায় তখন লিখিত রেজুলেশনও হয়েছিল ৪০ কেজিতে এক মণ হিসেবে করার। পরে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কোথাও এর বাস্তবায়নে ভূমিকা নেইনি।

আম আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু জানান, কানসাট বাজারে আমের মণ ৪০ কেজিতে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে পৌঁছাতে ওজন কমে যায় তাই ৫-৬ কেজি আম বেশী নেয়া হয়। তবে কৃষকের কাছে ৫০ কেজিতে মণ নেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি অবগত নই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি বলেন, আমের মণ ৪০ কেজির বাইরে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।