ঢাকা ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

আ.লীগের সময়ে শেয়ার বাজার একেবারে শুয়ে গেছে: হারুন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:২৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • / ২৩৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সংসদ রিপোর্টার।।

শেয়ার বাজারে ধ্বসের কথা উল্লেখ করে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেয়ার বাজার একেবারে শুয়ে গেছে।  দেশের ব্যাংকগুলো পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।  বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্নীতিগ্রস্থ।  দুর্নীতির এই অবস্থা যদি কমাতে না পারেন তাহলে ভয়ানক অবস্থা হবে।  

সোমবার সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট পাসের প্রস্তাবের ওপর আনিত মুঞ্জরি দাবি সম্পর্কিত ছাটাই প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

হারুন বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন- অপ্রদর্শিত কালো টাকা যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে ততক্ষণ প্রদর্শন করার সুযোগ দেব।  এটা প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা দুর্নীতির বিরুদ্ধে (জিরো টলারেন্স) তার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক।  এরকম চলতে পারে না।

তিনি বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ আর কালো টাকা এক নয় একথার সঙ্গে আমি একমত। অপ্রদর্শিত অর্থ ঘরবাড়ি জমি বিক্রি করা টাকা, যেগুলো বৈধ, সেগুলো বৈধ করার সুযোগ দিন। কিন্তু দুর্নীতির মাধ্যমে, মাদকের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যদি কেউ সম্পদ গড়ে তোলে, তাকে যদি সুযোগ দেন তাহলে যারা ন্যায়ের পথে চলছে, সৎ পথে চলছে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, একদিকে মাতারবাড়ি রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবেন আর অন্যদিকে গাছ লাগাবেন এটা হয় না। পরিবেশের আরও বিপর্যয় ঘটবে।  সারা পৃথিবীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, আর আপনি এদিকে বলছেন গাছ লাগাও।

বিএনপি এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে করোনা নিয়ন্ত্রণে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাত হচ্ছে পোশাক শিল্প আর প্রবাসী আয়।  করোনাকাল যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে এই খাত দুটি এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা কল্পনাও করা যায় না।  পোশাক শিল্পের বায়াররা দেশে আসতে পারবে না, প্রবাসীরা বিদেশে যেতে পারবেন না। প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা আয় যদি নিচে নেমে আসে তাহলে আমরা আবার ভয়ানক একটা অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়ব।  তাছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা খুবই বেহাল দশা।  প্রতি বছর লাখ লাখ কোটি টাকা ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিচ্ছে, এতে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকলাঙ্গ হয়ে যাচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আ.লীগের সময়ে শেয়ার বাজার একেবারে শুয়ে গেছে: হারুন

আপডেট টাইম : ১০:২৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

সংসদ রিপোর্টার।।

শেয়ার বাজারে ধ্বসের কথা উল্লেখ করে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেয়ার বাজার একেবারে শুয়ে গেছে।  দেশের ব্যাংকগুলো পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।  বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্নীতিগ্রস্থ।  দুর্নীতির এই অবস্থা যদি কমাতে না পারেন তাহলে ভয়ানক অবস্থা হবে।  

সোমবার সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট পাসের প্রস্তাবের ওপর আনিত মুঞ্জরি দাবি সম্পর্কিত ছাটাই প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

হারুন বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন- অপ্রদর্শিত কালো টাকা যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে ততক্ষণ প্রদর্শন করার সুযোগ দেব।  এটা প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা দুর্নীতির বিরুদ্ধে (জিরো টলারেন্স) তার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক।  এরকম চলতে পারে না।

তিনি বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ আর কালো টাকা এক নয় একথার সঙ্গে আমি একমত। অপ্রদর্শিত অর্থ ঘরবাড়ি জমি বিক্রি করা টাকা, যেগুলো বৈধ, সেগুলো বৈধ করার সুযোগ দিন। কিন্তু দুর্নীতির মাধ্যমে, মাদকের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যদি কেউ সম্পদ গড়ে তোলে, তাকে যদি সুযোগ দেন তাহলে যারা ন্যায়ের পথে চলছে, সৎ পথে চলছে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, একদিকে মাতারবাড়ি রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবেন আর অন্যদিকে গাছ লাগাবেন এটা হয় না। পরিবেশের আরও বিপর্যয় ঘটবে।  সারা পৃথিবীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, আর আপনি এদিকে বলছেন গাছ লাগাও।

বিএনপি এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে করোনা নিয়ন্ত্রণে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাত হচ্ছে পোশাক শিল্প আর প্রবাসী আয়।  করোনাকাল যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে এই খাত দুটি এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা কল্পনাও করা যায় না।  পোশাক শিল্পের বায়াররা দেশে আসতে পারবে না, প্রবাসীরা বিদেশে যেতে পারবেন না। প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা আয় যদি নিচে নেমে আসে তাহলে আমরা আবার ভয়ানক একটা অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়ব।  তাছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা খুবই বেহাল দশা।  প্রতি বছর লাখ লাখ কোটি টাকা ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিচ্ছে, এতে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকলাঙ্গ হয়ে যাচ্ছে।