ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি

ম্যাডাম একেবারেই যে সুস্থ হয়ে গেছেন তা নয় ॥ মির্জা ফখরুল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৫:২১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১
  • / ২১৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ম্যাডামকে গতকাল বিকেলে একটা বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তিনি একেবারেই যে সুস্থ হয়ে গেছেন তা নয় কিন্তু। বলা যেতে পারে, এখনো একটা হেজার্ডাস অবস্থার মধ্যে আছেন, ভারগানেবল অবস্থার মধ্যে আছেন।”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হলে আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল একথা বলেন।

ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার সমস্যা মূলত হৃদযন্ত্র, কিডনি আর ফুসফুসের অবস্থা নিয়ে।

“এই তিনটায় কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে আছেন। যদিও তার ফুসফুসে সংক্রামণ এখন নেই, কিন্তু হার্টে তার এখনো সমস্যা আছে, কিডনিতেও সমস্যা আছে।”

তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে করোনারি কেয়ার থেকে কেন কেবিনে স্থানান্তর করা হল, সেই ব্যাখ্যায় মির্জা ফখরুল বলেন, “কোভিড পরবর্তী কতগুলো রিঅ্যাকশন হয়েছিল এবং আরেকটি রিঅ্যাকশন, যেটা বিপদজনক ছিল, তার রক্তে কিছুটা ইনফেকশন হয়েছিল।

“আল্লাহর রহমতে এবং ডাক্তারদের অত্যন্ত বিচক্ষণতার, তাদের আন্তরিকতায় সেই ইনফেকশনটা দূর হয়েছে। যেহেতু ওইখানে (সিসিইউ) সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, আবারো হতে পারে, সে কারণে উনারা তাকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করেছেন।”

এক মাস সিসিইউতে থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকালে খালেদা জিয়াকে যে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়, সেখানেও সিসিইউর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলে জানান ফখরুল।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া গত ২৭ এপ্রিল ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে শ্বাসকষ্ট বাড়লে গত ৩ মে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে তার ফুসফুস থেকে পানি অপসারণ করা হয় বলে এর আগে বিএনপি নেতারা জানিয়েছিলেন।

সিসিইউতে থাকা অবস্থাতেই খালেদা জিয়া করোনাভাইরাস মুক্ত হন। হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুলের সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. শামসুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ম্যাডাম একেবারেই যে সুস্থ হয়ে গেছেন তা নয় ॥ মির্জা ফখরুল

আপডেট টাইম : ০৯:১৫:২১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ম্যাডামকে গতকাল বিকেলে একটা বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তিনি একেবারেই যে সুস্থ হয়ে গেছেন তা নয় কিন্তু। বলা যেতে পারে, এখনো একটা হেজার্ডাস অবস্থার মধ্যে আছেন, ভারগানেবল অবস্থার মধ্যে আছেন।”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হলে আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল একথা বলেন।

ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার সমস্যা মূলত হৃদযন্ত্র, কিডনি আর ফুসফুসের অবস্থা নিয়ে।

“এই তিনটায় কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে আছেন। যদিও তার ফুসফুসে সংক্রামণ এখন নেই, কিন্তু হার্টে তার এখনো সমস্যা আছে, কিডনিতেও সমস্যা আছে।”

তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে করোনারি কেয়ার থেকে কেন কেবিনে স্থানান্তর করা হল, সেই ব্যাখ্যায় মির্জা ফখরুল বলেন, “কোভিড পরবর্তী কতগুলো রিঅ্যাকশন হয়েছিল এবং আরেকটি রিঅ্যাকশন, যেটা বিপদজনক ছিল, তার রক্তে কিছুটা ইনফেকশন হয়েছিল।

“আল্লাহর রহমতে এবং ডাক্তারদের অত্যন্ত বিচক্ষণতার, তাদের আন্তরিকতায় সেই ইনফেকশনটা দূর হয়েছে। যেহেতু ওইখানে (সিসিইউ) সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, আবারো হতে পারে, সে কারণে উনারা তাকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করেছেন।”

এক মাস সিসিইউতে থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকালে খালেদা জিয়াকে যে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়, সেখানেও সিসিইউর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলে জানান ফখরুল।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া গত ২৭ এপ্রিল ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে শ্বাসকষ্ট বাড়লে গত ৩ মে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে তার ফুসফুস থেকে পানি অপসারণ করা হয় বলে এর আগে বিএনপি নেতারা জানিয়েছিলেন।

সিসিইউতে থাকা অবস্থাতেই খালেদা জিয়া করোনাভাইরাস মুক্ত হন। হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুলের সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. শামসুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।