ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১ ফুলবাড়ীতে মহান মে দিবস পালিত মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন

ভাইরাস মারার মাস্ক বানালো ভারতের গবেষক দল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুরো বিশ্বকে। এ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক, সঠিক জীবাণু মুক্তিকরণ ছাড়া কোনও উপায় নেই।

এমন পরিস্থিতিতে নতুন মাস্ক বানিয়েছেন একদল গবেষক। যা শুধুমাত্র ভাইরাসকে শরীরে প্রবেশের থেকে আটকাতে সাহায্যই করে না, মাস্কের ওপর চলে আসা মারণ ভাইরাসকে মেরেও ফেলে।

সারা বিশ্বের কাছেই এই গবেষণা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে চলেছে বলে দাবি করলেন আইআইটি মান্ডির এক দল গবেষক। সম্প্রতি আমেরিকার একটি জার্নাল ‘আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি- অ্যাপ্লায়েড মেটেরিয়ালস অ্যান্ড ইন্টারফেসেস’ এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা।

মহামারি করোনা রুখতে আশা দেখাচ্ছেন আইআইটি মান্ডির গবেষক অমিত জায়সওয়ালের নেতৃত্বে সৌনক রায়, প্রবীণ কুমার এবং অনিতা সরকারের নিরন্তর পরিশ্রম। মলিবডেনাম ডাইসালফাইড, এই বিশেষ উপাদান দিয়ে একটি চুলের থেকেও কয়েক গুণ পাতলা একটি আস্তরণ তৈরি করা হয়েছে। যা মাস্কের ওপরে লাগিয়ে দিচ্ছেন গবেষকরা।

এই উপাদানটিরই নাকি অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল গুণাগুণ রয়েছে। ১০০ থেকে ২০০ ন্যানোমিটারের কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়া এই আস্তরণের উপর চলে এলে নিমেষে তাকে মেরে ফেলে ওই আস্তরণ। করোনা ভাইরাসটি ১২০ ন্যানোমিটারের। তাই এই উপাদানের সংস্পর্শে এলে ভাইরাসও মারা যায়।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, মলিবডেনাম ডাইসালফাইডের ওই আস্তরণ জীবাণুনাশে দুইভাবে কাজ করে। এর উপরিতল অত্যন্ত ধারালো। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের তলায় দেখলে মনে হবে ঠিক যেন অনেকগুলো ছুরি পর পর রাখা রয়েছে। করোনা বা কোনও জীবাণুর সংস্পর্শে এলেই তাদের কোষপর্দা ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করে ছুরির মতো ধারালো অংশগুলো। ফলে মারা যায় ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া।

সূর্যের আলোয় অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে এই উপাদান। কিছু ক্ষণ সূর্যালোকে থাকলেই ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এর তাপমাত্রা হয়ে যায়। যা অনেক জীবাণুকেই বাঁচতে দেয় না। মাস্কের ওপর ঘাঁটি গড়ে তোলা করোনা মেরে ফেলার জন্য নিশ্চিন্ত হয়ে একাধিক বার ব্যবহার করা যেতে পারে এই মাস্ক। আবার সহজেই শুধুমাত্র রোদে ফেলে রেখে জীবাণুমুক্তও করে ফেলা যায়। এই উপাদানের আরও একটি বিশেষত্ব হলো বার বার সাবান জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করলেও এর কার্যকারিতার কোনও হেরফের হয় না।

পরীক্ষায় দেখা গেছে ৬০ বার সাবান পানিতে ধোয়ার পরও একইভাবে জীবাণু ধ্বংস করতে পারছে এই উপাদানে তৈরি মাস্ক। এই উপাদান দিয়ে শুধু মাস্কই নয়, পিপিইও তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই উপাদান পরে শ্বাস নিতেও কোনও কষ্ট হবে না বলেও দাবি করেছেন তারা। এর সঠিক ব্যবহারে মাস্কের সংস্পর্শে আসা ৯০ শতাংশেরও বেশি জীবাণু ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এর, দাবি ওই গবেষকদের।

এখনও তারা কোনও মাস্ক, পিপিই উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেননি। আরও কিছু দিন গবেষণা চালাতে চান তারা। তার পরই বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য এই উপাদানের ফর্মূলা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে শতাংশ করে নেবেন তারা। এর দাম আকাশছোঁয়া হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ওই গবেষকেরা। মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকবে দাম।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত

ভাইরাস মারার মাস্ক বানালো ভারতের গবেষক দল

আপডেট টাইম : ০৮:১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুরো বিশ্বকে। এ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক, সঠিক জীবাণু মুক্তিকরণ ছাড়া কোনও উপায় নেই।

এমন পরিস্থিতিতে নতুন মাস্ক বানিয়েছেন একদল গবেষক। যা শুধুমাত্র ভাইরাসকে শরীরে প্রবেশের থেকে আটকাতে সাহায্যই করে না, মাস্কের ওপর চলে আসা মারণ ভাইরাসকে মেরেও ফেলে।

সারা বিশ্বের কাছেই এই গবেষণা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে চলেছে বলে দাবি করলেন আইআইটি মান্ডির এক দল গবেষক। সম্প্রতি আমেরিকার একটি জার্নাল ‘আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি- অ্যাপ্লায়েড মেটেরিয়ালস অ্যান্ড ইন্টারফেসেস’ এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা।

মহামারি করোনা রুখতে আশা দেখাচ্ছেন আইআইটি মান্ডির গবেষক অমিত জায়সওয়ালের নেতৃত্বে সৌনক রায়, প্রবীণ কুমার এবং অনিতা সরকারের নিরন্তর পরিশ্রম। মলিবডেনাম ডাইসালফাইড, এই বিশেষ উপাদান দিয়ে একটি চুলের থেকেও কয়েক গুণ পাতলা একটি আস্তরণ তৈরি করা হয়েছে। যা মাস্কের ওপরে লাগিয়ে দিচ্ছেন গবেষকরা।

এই উপাদানটিরই নাকি অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল গুণাগুণ রয়েছে। ১০০ থেকে ২০০ ন্যানোমিটারের কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়া এই আস্তরণের উপর চলে এলে নিমেষে তাকে মেরে ফেলে ওই আস্তরণ। করোনা ভাইরাসটি ১২০ ন্যানোমিটারের। তাই এই উপাদানের সংস্পর্শে এলে ভাইরাসও মারা যায়।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, মলিবডেনাম ডাইসালফাইডের ওই আস্তরণ জীবাণুনাশে দুইভাবে কাজ করে। এর উপরিতল অত্যন্ত ধারালো। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের তলায় দেখলে মনে হবে ঠিক যেন অনেকগুলো ছুরি পর পর রাখা রয়েছে। করোনা বা কোনও জীবাণুর সংস্পর্শে এলেই তাদের কোষপর্দা ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করে ছুরির মতো ধারালো অংশগুলো। ফলে মারা যায় ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া।

সূর্যের আলোয় অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে এই উপাদান। কিছু ক্ষণ সূর্যালোকে থাকলেই ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এর তাপমাত্রা হয়ে যায়। যা অনেক জীবাণুকেই বাঁচতে দেয় না। মাস্কের ওপর ঘাঁটি গড়ে তোলা করোনা মেরে ফেলার জন্য নিশ্চিন্ত হয়ে একাধিক বার ব্যবহার করা যেতে পারে এই মাস্ক। আবার সহজেই শুধুমাত্র রোদে ফেলে রেখে জীবাণুমুক্তও করে ফেলা যায়। এই উপাদানের আরও একটি বিশেষত্ব হলো বার বার সাবান জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করলেও এর কার্যকারিতার কোনও হেরফের হয় না।

পরীক্ষায় দেখা গেছে ৬০ বার সাবান পানিতে ধোয়ার পরও একইভাবে জীবাণু ধ্বংস করতে পারছে এই উপাদানে তৈরি মাস্ক। এই উপাদান দিয়ে শুধু মাস্কই নয়, পিপিইও তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই উপাদান পরে শ্বাস নিতেও কোনও কষ্ট হবে না বলেও দাবি করেছেন তারা। এর সঠিক ব্যবহারে মাস্কের সংস্পর্শে আসা ৯০ শতাংশেরও বেশি জীবাণু ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এর, দাবি ওই গবেষকদের।

এখনও তারা কোনও মাস্ক, পিপিই উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেননি। আরও কিছু দিন গবেষণা চালাতে চান তারা। তার পরই বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য এই উপাদানের ফর্মূলা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে শতাংশ করে নেবেন তারা। এর দাম আকাশছোঁয়া হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ওই গবেষকেরা। মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকবে দাম।