ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

সেই ১৫ সেনা কর্মকর্তার পক্ষে লড়বেন না ব্যারিস্টার সারওয়ার ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেহ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩১ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম ও অপহরণের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আটক সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে আর আইনি লড়াই করবেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন। রোববার (৯ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল ১-এ তিনি নিজের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।

আদালত থেকে বেরিয়ে সারওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে আমরা পাঁচজন আইনজীবী ২২ অক্টোবর ওকালতনামা দাখিল করেছিলাম। পরে বুঝতে পারি, আমি নিজে আগে একটি অভিযোগ করেছিলাম—যে মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে এই মামলার আসামিরাও রয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পেশাগত নৈতিকতা ও আচরণবিধি অনুযায়ী আমি ওই মামলায় ডিফেন্স আইনজীবী হতে পারি না। তাই আইসিটি আইনের বিধান ও পেশাগত নৈতিকতার ভিত্তিতে আবেদন করেছি, ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করেছে।’

আরও পড়ুন
সাব-জেলে যেভাবে রাখা হয়েছে সেনা কর্মকর্তাদের
সাব-জেলে যেভাবে রাখা হয়েছে সেনা কর্মকর্তাদের
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে দুটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা হয়েছে। অপর একটি মামলা জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসংক্রান্ত।

এ তিন মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা সহ মোট ৩২ জন আসামি রয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে আটক আছেন।

গুম-নির্যাতন সংক্রান্ত একটি মামলায় আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

আরও পড়ুন
কারাগারে যেভাবে প্রথম দিন কাটালেন সেই ১৫ সেনা কর্মকর্তা
কারাগারে যেভাবে প্রথম দিন কাটালেন সেই ১৫ সেনা কর্মকর্তা
এ মামলায় র‌্যাবের সাবেক তিন মহাপরিচালক- বেনজীর আহমেদ (পরবর্তীতে আইজিপি), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ পলাতক রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে আরও আছেন শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র‌্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, এরা প্রত্যেকেই পলাতক।

অন্যদিকে, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। রেদোয়ানুল ও রাফাত বর্তমানে সেনানিবাসের সাবজেলে আছেন, আর বাকি দুইজন পলাতক।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

সেই ১৫ সেনা কর্মকর্তার পক্ষে লড়বেন না ব্যারিস্টার সারওয়ার ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেহ

আপডেট সময় ০২:২৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম ও অপহরণের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আটক সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে আর আইনি লড়াই করবেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন। রোববার (৯ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল ১-এ তিনি নিজের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।

আদালত থেকে বেরিয়ে সারওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে আমরা পাঁচজন আইনজীবী ২২ অক্টোবর ওকালতনামা দাখিল করেছিলাম। পরে বুঝতে পারি, আমি নিজে আগে একটি অভিযোগ করেছিলাম—যে মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে এই মামলার আসামিরাও রয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পেশাগত নৈতিকতা ও আচরণবিধি অনুযায়ী আমি ওই মামলায় ডিফেন্স আইনজীবী হতে পারি না। তাই আইসিটি আইনের বিধান ও পেশাগত নৈতিকতার ভিত্তিতে আবেদন করেছি, ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করেছে।’

আরও পড়ুন
সাব-জেলে যেভাবে রাখা হয়েছে সেনা কর্মকর্তাদের
সাব-জেলে যেভাবে রাখা হয়েছে সেনা কর্মকর্তাদের
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে দুটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা হয়েছে। অপর একটি মামলা জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসংক্রান্ত।

এ তিন মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা সহ মোট ৩২ জন আসামি রয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে আটক আছেন।

গুম-নির্যাতন সংক্রান্ত একটি মামলায় আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

আরও পড়ুন
কারাগারে যেভাবে প্রথম দিন কাটালেন সেই ১৫ সেনা কর্মকর্তা
কারাগারে যেভাবে প্রথম দিন কাটালেন সেই ১৫ সেনা কর্মকর্তা
এ মামলায় র‌্যাবের সাবেক তিন মহাপরিচালক- বেনজীর আহমেদ (পরবর্তীতে আইজিপি), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ পলাতক রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে আরও আছেন শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র‌্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, এরা প্রত্যেকেই পলাতক।

অন্যদিকে, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। রেদোয়ানুল ও রাফাত বর্তমানে সেনানিবাসের সাবজেলে আছেন, আর বাকি দুইজন পলাতক।


প্রিন্ট