ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

সরবরাহ কম হওয়ায় চালের দাম বেশি ॥ অর্থমন্ত্রী

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:০১:০২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
  • ২২০ ০.০০০ বার পাঠক

সময়েরকন্ঠ রিপোর্টার ॥

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে কৃষকরা ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় চলতি বছর চালের সরবরাহ কম হয়েছে, ফলে বাজারে চালের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

৮-১০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতির পরও বাজারে চালের দাম অনেক বেশি, এর কারণ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ধান, চাল এবং গম প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। আমরা দাবি করি- আমরা খাদ্যশস্যে স্বাবলম্বী। খাদ্যশস্যে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারি সেই বছর যে বছর আমাদের প্রকৃতি স্বাভাবিক থাকে। যদি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ আসে সেটা আমরা মেইনটেইন করতে পারি না। আমাদের এখানে যে পরিমাণ জমি, দক্ষতা ও সক্ষমতা আছে তা যথাযথ কাজে লাগাতে পারলে আমরা সফল সেই বছর।

তিনি বলেন, গত বছরও আমাদের অনেক বোরো নষ্ট হয়েছে, সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য একটি প্যাকেজ নেয়া হচ্ছে, সেভাবেই কাজটি করা হচ্ছে। ভারতেও সেভাবে কৃষিতে সফলতা পায়নি। আমাদের পাশের যেসব দেশ যেমন থাইল্যান্ড তাদেরও ঘাটতি আছে। করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বই আমাদের চেয়ে অনেক দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর কারণে কৃষিকাজ কৃষকরা করতে পারেনি। স্বাভাবিক কাজ যেমন ব্যাহত হয়েছে তেমনি কৃষিও ব্যাহত হয়েছে। এর কারণে সরবরাহ কমে গেছে, ফলে চালের দামটা বেশি।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের কৃষি খাতের যে যে জায়গায় হাত দেয়া উচিত সেখানে আমরা সহযোগিতা করব। কৃষি আমাদের লাইফলাইন। সুতরাং সব ধরনের কৃষিজাত প্রোডাক্টে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করব। এবং আমাদের যারা শিক্ষিত কৃষিতে আসতে চায় তাদের উৎসাহিত করার জন্য কিছু কিছু প্রণোদনা রেখে আমরা চেষ্টা করব। আর কৃষি ম্যানুয়াল থেকে ম্যাকানাইজড হবে, সেটা আমরা অলরেডি কাজ শুরু করেছি। গতবার বাজেটেও এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য ছিল, কিছু অর্থও আমরা সেই খাতে রেখেছিলাম। আমি মনে করি আমাদের কৃষি অনেক ভালো কাজ করছে এবং কৃষিকে আরও গতিশীল, বেগবান ও শক্তিশালী করার জন্য যা যা প্রয়োজন সরকার তা করবে।

অর্থের অপচয়রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের পরামর্শের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নের জন্য আমাদের একটি টিম আছে, সেই টিম কাজগুলো করবে। আমরা পরামর্শগুলো পেয়েছি, সেগুলো আমরা বিবেচনা করব। আমরা টিম নিয়ে আবার একসাথে বসব, বসে সেখানে সিদ্ধান্ত নেবো যে, এর মধ্যে কোনগুলো বাজেট প্রণয়নে কাজে লাগাব। যতটা আমাদের সাধ্যে কুলায় সেভাবেই গ্রহণযোগ্য পরামর্শ আমরা গ্রহণ করব।’

গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন পরামর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাইখ সিরাজ খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানো, পোল্ট্রি শিল্পের দিকে নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। নঈম নিজাম নিউজপ্রিন্টের ওপর আরোপিত কর কমানো, করপোরেট ট্যাক্স কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। নাইমুল ইসলাম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন আন্তর্জাতিক মানের নয় বলে উল্লেখ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কিভাবে স্বীকৃত করা যায়, গবেষণার মাধ্যমে আরও বেশি আন্তর্জাতিক মানের করার বিষয়ে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া আমাদের বিভিন্ন কাজ সময়মতো হয় না বলে অপচয় হয়, সেই অপচয় বন্ধ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান আলোচনায় অংশ নেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

সরবরাহ কম হওয়ায় চালের দাম বেশি ॥ অর্থমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:০১:০২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

সময়েরকন্ঠ রিপোর্টার ॥

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে কৃষকরা ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় চলতি বছর চালের সরবরাহ কম হয়েছে, ফলে বাজারে চালের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

৮-১০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতির পরও বাজারে চালের দাম অনেক বেশি, এর কারণ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ধান, চাল এবং গম প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। আমরা দাবি করি- আমরা খাদ্যশস্যে স্বাবলম্বী। খাদ্যশস্যে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারি সেই বছর যে বছর আমাদের প্রকৃতি স্বাভাবিক থাকে। যদি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ আসে সেটা আমরা মেইনটেইন করতে পারি না। আমাদের এখানে যে পরিমাণ জমি, দক্ষতা ও সক্ষমতা আছে তা যথাযথ কাজে লাগাতে পারলে আমরা সফল সেই বছর।

তিনি বলেন, গত বছরও আমাদের অনেক বোরো নষ্ট হয়েছে, সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য একটি প্যাকেজ নেয়া হচ্ছে, সেভাবেই কাজটি করা হচ্ছে। ভারতেও সেভাবে কৃষিতে সফলতা পায়নি। আমাদের পাশের যেসব দেশ যেমন থাইল্যান্ড তাদেরও ঘাটতি আছে। করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বই আমাদের চেয়ে অনেক দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর কারণে কৃষিকাজ কৃষকরা করতে পারেনি। স্বাভাবিক কাজ যেমন ব্যাহত হয়েছে তেমনি কৃষিও ব্যাহত হয়েছে। এর কারণে সরবরাহ কমে গেছে, ফলে চালের দামটা বেশি।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের কৃষি খাতের যে যে জায়গায় হাত দেয়া উচিত সেখানে আমরা সহযোগিতা করব। কৃষি আমাদের লাইফলাইন। সুতরাং সব ধরনের কৃষিজাত প্রোডাক্টে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করব। এবং আমাদের যারা শিক্ষিত কৃষিতে আসতে চায় তাদের উৎসাহিত করার জন্য কিছু কিছু প্রণোদনা রেখে আমরা চেষ্টা করব। আর কৃষি ম্যানুয়াল থেকে ম্যাকানাইজড হবে, সেটা আমরা অলরেডি কাজ শুরু করেছি। গতবার বাজেটেও এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য ছিল, কিছু অর্থও আমরা সেই খাতে রেখেছিলাম। আমি মনে করি আমাদের কৃষি অনেক ভালো কাজ করছে এবং কৃষিকে আরও গতিশীল, বেগবান ও শক্তিশালী করার জন্য যা যা প্রয়োজন সরকার তা করবে।

অর্থের অপচয়রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের পরামর্শের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নের জন্য আমাদের একটি টিম আছে, সেই টিম কাজগুলো করবে। আমরা পরামর্শগুলো পেয়েছি, সেগুলো আমরা বিবেচনা করব। আমরা টিম নিয়ে আবার একসাথে বসব, বসে সেখানে সিদ্ধান্ত নেবো যে, এর মধ্যে কোনগুলো বাজেট প্রণয়নে কাজে লাগাব। যতটা আমাদের সাধ্যে কুলায় সেভাবেই গ্রহণযোগ্য পরামর্শ আমরা গ্রহণ করব।’

গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন পরামর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাইখ সিরাজ খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানো, পোল্ট্রি শিল্পের দিকে নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। নঈম নিজাম নিউজপ্রিন্টের ওপর আরোপিত কর কমানো, করপোরেট ট্যাক্স কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। নাইমুল ইসলাম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন আন্তর্জাতিক মানের নয় বলে উল্লেখ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কিভাবে স্বীকৃত করা যায়, গবেষণার মাধ্যমে আরও বেশি আন্তর্জাতিক মানের করার বিষয়ে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া আমাদের বিভিন্ন কাজ সময়মতো হয় না বলে অপচয় হয়, সেই অপচয় বন্ধ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান আলোচনায় অংশ নেন।