ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মতিঝিল উত্তর থানা জামায়াত কর্তৃক সেহরি ও ইফতার ফুড প্যাকেট উপহার প্রদান জামায়াতে ইসলামী শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে মূল্যায়ন করে – ডা. শফিকুর রহমান ৩ বছর পর পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ নিখোঁজ আনোয়ার হোসেন শিকদার কে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন আ.লীগ নিষিদ্ধ হবে নাকি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে- কী বলছেন ড. ইউনূস আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত, জানালেন উপদেষ্টা আসিফ বিসিবির ১৮তম সভা আজ, জানা যাবে সিমন্সের ভাগ্য নতি স্বীকার জেলেনস্কির, জানালেন চুক্তি সইয়ে প্রস্তুত ইউক্রেন অগ্রনী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বকতিয়ার আহম্মেদ এর পদত্যাগ ও অপসারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ক্রমান্বয়ে দেশের মানুষ জামায়াতের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠছে –রুহুল আমিন ভুইঁয়া

৩ বছর পর পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ

গংগাচড়া, রংপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৭:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক

দীর্ঘ তিন বছরের আইনি লড়াই শেষে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আইনজীবী শামছুল হুদা। আজ সোমবার (৩ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বড়বিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদ চৌধুরী দ্বীপ ৬,২৩৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল হুদা পান ৬,১০০ ভোট। তবে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে রংপুর ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন শামছুল হুদা।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত পুনর্গণনা করে দেখেন, শামছুল হুদা ৪০২ ভোট বেশি পেয়েছেন। এ অনুযায়ী আদালত তাঁকে চেয়ারম্যান হিসেবে বৈধ ঘোষণা করেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহীদ চৌধুরী দ্বীপ হাইকোর্টে আপিল করেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আপিল খারিজ করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে এবং শামছুল হুদার শপথ গ্রহণের অনুমতি দেয়। এরপর স্থানীয় সরকার রংপুরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শামছুল হুদার শপথ গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়।

শপথ গ্রহণ শেষে শামছুল হুদা বলেন, “আদালতের রায়ে নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বড়বিল ইউনিয়নের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা তাঁদের প্রত্যক্ষ ভোটে আমাকে নির্বাচিত করেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক চক্রান্তের কারণে আমার প্রাপ্ত বিজয় আটকে রাখা হয়েছিল। আদালতের মাধ্যমে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি এবং জনগণের সেবা করতে পারব বলে আশাবাদী।”

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ চৌধুরী দ্বীপ এ রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে শামছুল হুদার সমর্থকরা এই রায়কে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ তিন বছর দুই মাস পর নির্বাচিত চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বড়বিল ইউনিয়নে নতুন নেতৃত্বের যাত্রা শুরু হলো

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৩ বছর পর পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ

আপডেট টাইম : ০৩:১৭:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

দীর্ঘ তিন বছরের আইনি লড়াই শেষে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আইনজীবী শামছুল হুদা। আজ সোমবার (৩ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বড়বিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদ চৌধুরী দ্বীপ ৬,২৩৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল হুদা পান ৬,১০০ ভোট। তবে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে রংপুর ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন শামছুল হুদা।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত পুনর্গণনা করে দেখেন, শামছুল হুদা ৪০২ ভোট বেশি পেয়েছেন। এ অনুযায়ী আদালত তাঁকে চেয়ারম্যান হিসেবে বৈধ ঘোষণা করেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহীদ চৌধুরী দ্বীপ হাইকোর্টে আপিল করেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আপিল খারিজ করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে এবং শামছুল হুদার শপথ গ্রহণের অনুমতি দেয়। এরপর স্থানীয় সরকার রংপুরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শামছুল হুদার শপথ গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়।

শপথ গ্রহণ শেষে শামছুল হুদা বলেন, “আদালতের রায়ে নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বড়বিল ইউনিয়নের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা তাঁদের প্রত্যক্ষ ভোটে আমাকে নির্বাচিত করেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক চক্রান্তের কারণে আমার প্রাপ্ত বিজয় আটকে রাখা হয়েছিল। আদালতের মাধ্যমে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি এবং জনগণের সেবা করতে পারব বলে আশাবাদী।”

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ চৌধুরী দ্বীপ এ রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে শামছুল হুদার সমর্থকরা এই রায়কে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ তিন বছর দুই মাস পর নির্বাচিত চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বড়বিল ইউনিয়নে নতুন নেতৃত্বের যাত্রা শুরু হলো