ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে ‘পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপন অভিযান’ বিষয়ক আলোচনা সভা ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও ৩ মাস সময় চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা সেমিনারে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অর্ধেক সুবিধাভোগীই ভুয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে দুদকের চিঠি সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় অভিযোগ, প্রশাসনের নিরবতার প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ সমাবেশ বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার দাবী জানিয়ে ব্যাবসায়ীদের মানববন্ধন বিরামপুর রেলগেটে ট্রেন ও ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত—২

ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:২৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক

সৎ মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফাহিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নার তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।পাশাপাশি আদালত মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে শুনানির জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এদিন মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ছিল। আইয়ুব আলী ফাহিম চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। চার্জশিট আসায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষে আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

গত ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আইয়ুব আলী ফাহিমের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়।ওই দিনই রাত ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী অর্থাৎ ভুক্তভোগী নারী সম্পর্কে আসামি আইয়ুব আলী ফাহিমের সৎ মেয়ে। বাদীর বয়স যখন আট বছর তখন তার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাদীর মায়ের সঙ্গে ফাহিমের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাদীর মা আমেরিকা চলে যান। বাদীর বাংলাদেশে বিয়ে হয়। তবে তারও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বাদীর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ভুক্তভোগীর শিশুসন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন আইয়ুব আলী। এরপর প্রায় পাঁচ মাস ধরে নানা সময় একইভাবে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।

মামলাটি তদন্ত করে ধানমন্ডি মডেল থানার উপপরিদর্শক খোকন মিয়া গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে

আপডেট টাইম : ১২:২৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সৎ মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফাহিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নার তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।পাশাপাশি আদালত মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে শুনানির জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এদিন মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ছিল। আইয়ুব আলী ফাহিম চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। চার্জশিট আসায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষে আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

গত ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আইয়ুব আলী ফাহিমের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়।ওই দিনই রাত ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী অর্থাৎ ভুক্তভোগী নারী সম্পর্কে আসামি আইয়ুব আলী ফাহিমের সৎ মেয়ে। বাদীর বয়স যখন আট বছর তখন তার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাদীর মায়ের সঙ্গে ফাহিমের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাদীর মা আমেরিকা চলে যান। বাদীর বাংলাদেশে বিয়ে হয়। তবে তারও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বাদীর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ভুক্তভোগীর শিশুসন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন আইয়ুব আলী। এরপর প্রায় পাঁচ মাস ধরে নানা সময় একইভাবে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।

মামলাটি তদন্ত করে ধানমন্ডি মডেল থানার উপপরিদর্শক খোকন মিয়া গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।