ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের

যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : ০৭:০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু না করার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত জিম্মিদের নামের তালিকা প্রকাশ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে না। খবর আল জাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আজ যুদ্ধবিরতি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়ার কথা। রোববার (১৯ জানুয়ারি) নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আইডিএফকে নির্দেশ দিয়েছে যে হামাস জিম্মিদের নামের তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে না।

তবে হামাস জানিয়েছে, কারিগরি কারণে নামের তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে।

আল জাজিরার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার হন্য হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষেই ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক বলছে, আমি নিশ্চিত জিম্মিদের নামের তালিকা দেওয়ার জন্য কাতার হামাসের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করবে।এর আগে নেতানিয়াহু বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি অস্থায়ী এবং তার দেশ গাজায় পুনরায় হামলা চালানোর অধিকার রাখে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সরকার গতকাল শনিবার হামাসের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করে। চুক্তি অনুযায়ী হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে।

একই সঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী লরিগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’।

আর তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একইসঙ্গে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু

আপডেট টাইম : ০৭:০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু না করার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত জিম্মিদের নামের তালিকা প্রকাশ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে না। খবর আল জাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আজ যুদ্ধবিরতি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়ার কথা। রোববার (১৯ জানুয়ারি) নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আইডিএফকে নির্দেশ দিয়েছে যে হামাস জিম্মিদের নামের তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে না।

তবে হামাস জানিয়েছে, কারিগরি কারণে নামের তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে।

আল জাজিরার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার হন্য হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষেই ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক বলছে, আমি নিশ্চিত জিম্মিদের নামের তালিকা দেওয়ার জন্য কাতার হামাসের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করবে।এর আগে নেতানিয়াহু বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি অস্থায়ী এবং তার দেশ গাজায় পুনরায় হামলা চালানোর অধিকার রাখে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সরকার গতকাল শনিবার হামাসের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করে। চুক্তি অনুযায়ী হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে।

একই সঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী লরিগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’।

আর তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একইসঙ্গে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।