ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক নব নির্বাচিত হরিরামপুর প্রেসক্লাবের মাসিক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ভৈরবে ভবানী পুর সালিশ বৈঠকে ২ বংশের মাঝে সংঘর্ষে ১জন নিহত ২০ জন হাহত হয় খামেনিকে বাদশাহ সালমানের চিঠি পৌঁছে দিলেন সৌদির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে: পাকিস্তান রাতেই ৯ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস, সতর্ক সংকেত বোট ক্লাবের ৩২ কোটি টাকা বেনজীরের পেটে মোংলায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৩১ কেজি হরিণের মাংস জব্দ বেড়েছে তেল, চাল ও পেঁয়াজের দাম, কমেছে মুরগির চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সেচ সঙ্কটে নষ্ট হচ্ছে রবিশস্যসহ ধানের ক্ষেত

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ৩২৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।

দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে কলাপাড়ায় খাল-বিল পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে গেছে। কৃষকরা পড়েছেন সেচ সঙ্কটে। রবিশস্য এবং অনেকে আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কারও কারও আমনক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে গেছে অনেক কৃষকের রবিশস্যের ক্ষেত। ফলন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘ খরায় খাল-বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারার খালটির উপর নির্ভর দুই পাড়ের আট গ্রামের কৃষক। এখন ওই খালটির কুমিরমারার পাশ দিয়ে যুগীর স্লুইসের সংযোগের স্থলে প্রায় আধাকিলোমিটার শুকিয়ে চলার পথ হয়ে গেছে। যুবকরা এখন প্রতিদিন বিকেলে ফুটবল খেলে। আশপাশের কৃষক সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। আমনক্ষেতও শুকিয়ে গেছে। কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ খরায় কৃষকের সমস্যা অন্তহীন। কুমিরমারা গ্রামের কৃষক মাসুম চৌধুরী দেখালেন, ৩৩ শতক জমির পাতা কপির একটি ক্ষেত ফলনসহ রোদে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। শত শত পাতা কপি ক্ষেতে শুকিয়ে আছে। চিচিঙ্গার ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেননা অলিউদ্দিন। আর আমনক্ষেতও অধিকাংশ কৃষকের সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। কৃষকরা জানান, পাখিমারার খালের যে অংশ শুকিয়ে চৌচির হয়ে চলাচলের পথ ও খেলার মাঠ হয়েছে জরুরিভাবে ওই অংশ খনন করার প্রয়োজন । নইলে কৃষকের বড় ধরনের সমস্যার শঙ্কা রয়েছে। কৃষকরা জানান, যুগীর স্লুইসের সঙ্গে পাখিমারার এই খালটির সংযোগ রয়েছে। পানি ওঠানামা করে এই স্থান থেকে। পানির সঙ্গে আসা পলিতে খালটির প্রায় আধাকিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে। এখন শুকিয়ে গেছে। ফলে আশপাশের কৃষক তাঁদের রবিশস্য ও আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রবীন কৃষক সুলতান গাজী জানান, এই খালটি খনন না করলে তাঁদের জীবন-জীবীকা বন্ধের উপক্রম হবে। কারণ এই খালের দুই পাড়ের মানুষ ১২ মাস কোন না কোন ফসল ফলায়। জীবন-জীবীকা নির্ভরশীল এই ফসলাদির ওপরে। কিন্তু বর্তমানে সেচ সঙ্কটের কারণে রবিশস্যসহ আগাম বর্ষাকালীন ক্ষেত তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় খালটির ভরাট হওয়া অংশ খননের উদ্যোগ নেয়া হবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান কোন ইটভাঁটির মালিকদের এই মাটি নেয়ার সুযোগ করে দিলেও সমস্যার অনেকটা লাঘব হতো।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সেচ সঙ্কটে নষ্ট হচ্ছে রবিশস্যসহ ধানের ক্ষেত

আপডেট টাইম : ০৯:৩২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।

দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে কলাপাড়ায় খাল-বিল পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে গেছে। কৃষকরা পড়েছেন সেচ সঙ্কটে। রবিশস্য এবং অনেকে আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কারও কারও আমনক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে গেছে অনেক কৃষকের রবিশস্যের ক্ষেত। ফলন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘ খরায় খাল-বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারার খালটির উপর নির্ভর দুই পাড়ের আট গ্রামের কৃষক। এখন ওই খালটির কুমিরমারার পাশ দিয়ে যুগীর স্লুইসের সংযোগের স্থলে প্রায় আধাকিলোমিটার শুকিয়ে চলার পথ হয়ে গেছে। যুবকরা এখন প্রতিদিন বিকেলে ফুটবল খেলে। আশপাশের কৃষক সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। আমনক্ষেতও শুকিয়ে গেছে। কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ খরায় কৃষকের সমস্যা অন্তহীন। কুমিরমারা গ্রামের কৃষক মাসুম চৌধুরী দেখালেন, ৩৩ শতক জমির পাতা কপির একটি ক্ষেত ফলনসহ রোদে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। শত শত পাতা কপি ক্ষেতে শুকিয়ে আছে। চিচিঙ্গার ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেননা অলিউদ্দিন। আর আমনক্ষেতও অধিকাংশ কৃষকের সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। কৃষকরা জানান, পাখিমারার খালের যে অংশ শুকিয়ে চৌচির হয়ে চলাচলের পথ ও খেলার মাঠ হয়েছে জরুরিভাবে ওই অংশ খনন করার প্রয়োজন । নইলে কৃষকের বড় ধরনের সমস্যার শঙ্কা রয়েছে। কৃষকরা জানান, যুগীর স্লুইসের সঙ্গে পাখিমারার এই খালটির সংযোগ রয়েছে। পানি ওঠানামা করে এই স্থান থেকে। পানির সঙ্গে আসা পলিতে খালটির প্রায় আধাকিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে। এখন শুকিয়ে গেছে। ফলে আশপাশের কৃষক তাঁদের রবিশস্য ও আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রবীন কৃষক সুলতান গাজী জানান, এই খালটি খনন না করলে তাঁদের জীবন-জীবীকা বন্ধের উপক্রম হবে। কারণ এই খালের দুই পাড়ের মানুষ ১২ মাস কোন না কোন ফসল ফলায়। জীবন-জীবীকা নির্ভরশীল এই ফসলাদির ওপরে। কিন্তু বর্তমানে সেচ সঙ্কটের কারণে রবিশস্যসহ আগাম বর্ষাকালীন ক্ষেত তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় খালটির ভরাট হওয়া অংশ খননের উদ্যোগ নেয়া হবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান কোন ইটভাঁটির মালিকদের এই মাটি নেয়ার সুযোগ করে দিলেও সমস্যার অনেকটা লাঘব হতো।