ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল বাংলা ৫২ নিউজ ডটকম এর ৯ম বর্ষপূর্তি আজশনিবার সকাল দশটায় পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় উদযাপিত হয় কোনাবাড়িতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন মোংলা পৌর শাখার উদ্যোগে মোংলা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসায় দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

সেচ সঙ্কটে নষ্ট হচ্ছে রবিশস্যসহ ধানের ক্ষেত

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ৩০১ ৫০০০.০ বার পাঠক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।

দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে কলাপাড়ায় খাল-বিল পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে গেছে। কৃষকরা পড়েছেন সেচ সঙ্কটে। রবিশস্য এবং অনেকে আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কারও কারও আমনক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে গেছে অনেক কৃষকের রবিশস্যের ক্ষেত। ফলন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘ খরায় খাল-বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারার খালটির উপর নির্ভর দুই পাড়ের আট গ্রামের কৃষক। এখন ওই খালটির কুমিরমারার পাশ দিয়ে যুগীর স্লুইসের সংযোগের স্থলে প্রায় আধাকিলোমিটার শুকিয়ে চলার পথ হয়ে গেছে। যুবকরা এখন প্রতিদিন বিকেলে ফুটবল খেলে। আশপাশের কৃষক সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। আমনক্ষেতও শুকিয়ে গেছে। কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ খরায় কৃষকের সমস্যা অন্তহীন। কুমিরমারা গ্রামের কৃষক মাসুম চৌধুরী দেখালেন, ৩৩ শতক জমির পাতা কপির একটি ক্ষেত ফলনসহ রোদে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। শত শত পাতা কপি ক্ষেতে শুকিয়ে আছে। চিচিঙ্গার ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেননা অলিউদ্দিন। আর আমনক্ষেতও অধিকাংশ কৃষকের সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। কৃষকরা জানান, পাখিমারার খালের যে অংশ শুকিয়ে চৌচির হয়ে চলাচলের পথ ও খেলার মাঠ হয়েছে জরুরিভাবে ওই অংশ খনন করার প্রয়োজন । নইলে কৃষকের বড় ধরনের সমস্যার শঙ্কা রয়েছে। কৃষকরা জানান, যুগীর স্লুইসের সঙ্গে পাখিমারার এই খালটির সংযোগ রয়েছে। পানি ওঠানামা করে এই স্থান থেকে। পানির সঙ্গে আসা পলিতে খালটির প্রায় আধাকিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে। এখন শুকিয়ে গেছে। ফলে আশপাশের কৃষক তাঁদের রবিশস্য ও আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রবীন কৃষক সুলতান গাজী জানান, এই খালটি খনন না করলে তাঁদের জীবন-জীবীকা বন্ধের উপক্রম হবে। কারণ এই খালের দুই পাড়ের মানুষ ১২ মাস কোন না কোন ফসল ফলায়। জীবন-জীবীকা নির্ভরশীল এই ফসলাদির ওপরে। কিন্তু বর্তমানে সেচ সঙ্কটের কারণে রবিশস্যসহ আগাম বর্ষাকালীন ক্ষেত তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় খালটির ভরাট হওয়া অংশ খননের উদ্যোগ নেয়া হবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান কোন ইটভাঁটির মালিকদের এই মাটি নেয়ার সুযোগ করে দিলেও সমস্যার অনেকটা লাঘব হতো।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সেচ সঙ্কটে নষ্ট হচ্ছে রবিশস্যসহ ধানের ক্ষেত

আপডেট টাইম : ০৯:৩২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।

দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে কলাপাড়ায় খাল-বিল পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে গেছে। কৃষকরা পড়েছেন সেচ সঙ্কটে। রবিশস্য এবং অনেকে আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কারও কারও আমনক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে গেছে অনেক কৃষকের রবিশস্যের ক্ষেত। ফলন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘ খরায় খাল-বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারার খালটির উপর নির্ভর দুই পাড়ের আট গ্রামের কৃষক। এখন ওই খালটির কুমিরমারার পাশ দিয়ে যুগীর স্লুইসের সংযোগের স্থলে প্রায় আধাকিলোমিটার শুকিয়ে চলার পথ হয়ে গেছে। যুবকরা এখন প্রতিদিন বিকেলে ফুটবল খেলে। আশপাশের কৃষক সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। আমনক্ষেতও শুকিয়ে গেছে। কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ খরায় কৃষকের সমস্যা অন্তহীন। কুমিরমারা গ্রামের কৃষক মাসুম চৌধুরী দেখালেন, ৩৩ শতক জমির পাতা কপির একটি ক্ষেত ফলনসহ রোদে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। শত শত পাতা কপি ক্ষেতে শুকিয়ে আছে। চিচিঙ্গার ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেননা অলিউদ্দিন। আর আমনক্ষেতও অধিকাংশ কৃষকের সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। কৃষকরা জানান, পাখিমারার খালের যে অংশ শুকিয়ে চৌচির হয়ে চলাচলের পথ ও খেলার মাঠ হয়েছে জরুরিভাবে ওই অংশ খনন করার প্রয়োজন । নইলে কৃষকের বড় ধরনের সমস্যার শঙ্কা রয়েছে। কৃষকরা জানান, যুগীর স্লুইসের সঙ্গে পাখিমারার এই খালটির সংযোগ রয়েছে। পানি ওঠানামা করে এই স্থান থেকে। পানির সঙ্গে আসা পলিতে খালটির প্রায় আধাকিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে। এখন শুকিয়ে গেছে। ফলে আশপাশের কৃষক তাঁদের রবিশস্য ও আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রবীন কৃষক সুলতান গাজী জানান, এই খালটি খনন না করলে তাঁদের জীবন-জীবীকা বন্ধের উপক্রম হবে। কারণ এই খালের দুই পাড়ের মানুষ ১২ মাস কোন না কোন ফসল ফলায়। জীবন-জীবীকা নির্ভরশীল এই ফসলাদির ওপরে। কিন্তু বর্তমানে সেচ সঙ্কটের কারণে রবিশস্যসহ আগাম বর্ষাকালীন ক্ষেত তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় খালটির ভরাট হওয়া অংশ খননের উদ্যোগ নেয়া হবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান কোন ইটভাঁটির মালিকদের এই মাটি নেয়ার সুযোগ করে দিলেও সমস্যার অনেকটা লাঘব হতো।