ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালপুরে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটায় কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গাঁ টাঙ্গাইল গোপালপুর পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই এই অনুষ্ঠান নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাপুরে ফ্লাইওভারের সাথে সংযুক্ত নির্মাণাধীন সিঁড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মসজিদে ঢুকে ছুরিকাঘাতের মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার জামালপুরে বিষমুক্ত কুমড়ার চাষ হচ্ছে নবাবগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী সন্তানের মৃত্যু কিরাটন লাখপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মাস্টার আর নেই সুন্দরবনের জীববৈচিত্র, জলজপ্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করুন পল্টন থানা মামলায় মনোহরদী উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাম্মির রহমান টিপু গ্রেফতার

সেচ সঙ্কটে নষ্ট হচ্ছে রবিশস্যসহ ধানের ক্ষেত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।

দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে কলাপাড়ায় খাল-বিল পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে গেছে। কৃষকরা পড়েছেন সেচ সঙ্কটে। রবিশস্য এবং অনেকে আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কারও কারও আমনক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে গেছে অনেক কৃষকের রবিশস্যের ক্ষেত। ফলন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘ খরায় খাল-বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারার খালটির উপর নির্ভর দুই পাড়ের আট গ্রামের কৃষক। এখন ওই খালটির কুমিরমারার পাশ দিয়ে যুগীর স্লুইসের সংযোগের স্থলে প্রায় আধাকিলোমিটার শুকিয়ে চলার পথ হয়ে গেছে। যুবকরা এখন প্রতিদিন বিকেলে ফুটবল খেলে। আশপাশের কৃষক সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। আমনক্ষেতও শুকিয়ে গেছে। কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ খরায় কৃষকের সমস্যা অন্তহীন। কুমিরমারা গ্রামের কৃষক মাসুম চৌধুরী দেখালেন, ৩৩ শতক জমির পাতা কপির একটি ক্ষেত ফলনসহ রোদে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। শত শত পাতা কপি ক্ষেতে শুকিয়ে আছে। চিচিঙ্গার ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেননা অলিউদ্দিন। আর আমনক্ষেতও অধিকাংশ কৃষকের সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। কৃষকরা জানান, পাখিমারার খালের যে অংশ শুকিয়ে চৌচির হয়ে চলাচলের পথ ও খেলার মাঠ হয়েছে জরুরিভাবে ওই অংশ খনন করার প্রয়োজন । নইলে কৃষকের বড় ধরনের সমস্যার শঙ্কা রয়েছে। কৃষকরা জানান, যুগীর স্লুইসের সঙ্গে পাখিমারার এই খালটির সংযোগ রয়েছে। পানি ওঠানামা করে এই স্থান থেকে। পানির সঙ্গে আসা পলিতে খালটির প্রায় আধাকিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে। এখন শুকিয়ে গেছে। ফলে আশপাশের কৃষক তাঁদের রবিশস্য ও আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রবীন কৃষক সুলতান গাজী জানান, এই খালটি খনন না করলে তাঁদের জীবন-জীবীকা বন্ধের উপক্রম হবে। কারণ এই খালের দুই পাড়ের মানুষ ১২ মাস কোন না কোন ফসল ফলায়। জীবন-জীবীকা নির্ভরশীল এই ফসলাদির ওপরে। কিন্তু বর্তমানে সেচ সঙ্কটের কারণে রবিশস্যসহ আগাম বর্ষাকালীন ক্ষেত তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় খালটির ভরাট হওয়া অংশ খননের উদ্যোগ নেয়া হবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান কোন ইটভাঁটির মালিকদের এই মাটি নেয়ার সুযোগ করে দিলেও সমস্যার অনেকটা লাঘব হতো।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটায় কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গাঁ

সেচ সঙ্কটে নষ্ট হচ্ছে রবিশস্যসহ ধানের ক্ষেত

আপডেট টাইম : ০৯:৩২:১৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।

দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে কলাপাড়ায় খাল-বিল পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে গেছে। কৃষকরা পড়েছেন সেচ সঙ্কটে। রবিশস্য এবং অনেকে আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কারও কারও আমনক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে গেছে অনেক কৃষকের রবিশস্যের ক্ষেত। ফলন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘ খরায় খাল-বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারার খালটির উপর নির্ভর দুই পাড়ের আট গ্রামের কৃষক। এখন ওই খালটির কুমিরমারার পাশ দিয়ে যুগীর স্লুইসের সংযোগের স্থলে প্রায় আধাকিলোমিটার শুকিয়ে চলার পথ হয়ে গেছে। যুবকরা এখন প্রতিদিন বিকেলে ফুটবল খেলে। আশপাশের কৃষক সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। আমনক্ষেতও শুকিয়ে গেছে। কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ খরায় কৃষকের সমস্যা অন্তহীন। কুমিরমারা গ্রামের কৃষক মাসুম চৌধুরী দেখালেন, ৩৩ শতক জমির পাতা কপির একটি ক্ষেত ফলনসহ রোদে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। শত শত পাতা কপি ক্ষেতে শুকিয়ে আছে। চিচিঙ্গার ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেননা অলিউদ্দিন। আর আমনক্ষেতও অধিকাংশ কৃষকের সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। কৃষকরা জানান, পাখিমারার খালের যে অংশ শুকিয়ে চৌচির হয়ে চলাচলের পথ ও খেলার মাঠ হয়েছে জরুরিভাবে ওই অংশ খনন করার প্রয়োজন । নইলে কৃষকের বড় ধরনের সমস্যার শঙ্কা রয়েছে। কৃষকরা জানান, যুগীর স্লুইসের সঙ্গে পাখিমারার এই খালটির সংযোগ রয়েছে। পানি ওঠানামা করে এই স্থান থেকে। পানির সঙ্গে আসা পলিতে খালটির প্রায় আধাকিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে। এখন শুকিয়ে গেছে। ফলে আশপাশের কৃষক তাঁদের রবিশস্য ও আমনক্ষেত নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রবীন কৃষক সুলতান গাজী জানান, এই খালটি খনন না করলে তাঁদের জীবন-জীবীকা বন্ধের উপক্রম হবে। কারণ এই খালের দুই পাড়ের মানুষ ১২ মাস কোন না কোন ফসল ফলায়। জীবন-জীবীকা নির্ভরশীল এই ফসলাদির ওপরে। কিন্তু বর্তমানে সেচ সঙ্কটের কারণে রবিশস্যসহ আগাম বর্ষাকালীন ক্ষেত তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় খালটির ভরাট হওয়া অংশ খননের উদ্যোগ নেয়া হবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান কোন ইটভাঁটির মালিকদের এই মাটি নেয়ার সুযোগ করে দিলেও সমস্যার অনেকটা লাঘব হতো।