ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা

ভয়ংকর কে-২ : বিশ্বাসঘাতকতার এই দিনে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৫৬০ ৫০০০.০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে ১৯৫৩ সালের ১৯ মে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট স্পর্শ করে সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেন। সেই পর্বতজয়ের আনন্দে যখন সবাই ভাসছে, তার পরের বছর ১৯৫৪ সালের ৩১ জুলাই পৃথিবীর দ্বিতীয় পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট কে-২ জয়ের কথা ছড়িয়ে পরে চারদিকে। এবার কিন্তু এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে নয়। ইতালিয়ান পর্বতারোহী আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি স্থানীয় সময় অনুসারে বিকেল ৬ টায় সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছান।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮ হাজার ৬১১ মিটার বা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট। ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ০২৯ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টের তুলনায় কে-২ মাত্র ২৩৭ মিটার বা ৭৭৮ ফুট ছোট। হিমালয় পর্বতমালার কারাকোরাম পর্বতমালার অন্তর্গত এই পর্বতশৃঙ্গটি পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান ও চীনের জিংজিয়ানের তাক্সকোরগান সীমান্তে অবস্থিত।

 

এই পর্বতশৃঙ্গে প্রথম ১৯০২ সালে আরোহণের চেষ্টা করেন একটি অ্যাংলো-সুইস অভিযাত্রী দল এবং তাঁরা শৃঙ্গের উত্তর-পূর্ব ধার বরাবর ১৮ হাজার ৬শ’ ফুট বা ৫ হাজার ৬৭০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন। অন্য অসফল প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯০৯ সালে লুইগি আমেদিও, ডিউক অব আবুরাজ্জির অভিযান এবং তাঁরা প্রায় ২০ হাজার ফুট বা ৬ হাজার ১শ’ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন। এরপর ১৯৩৮ সালে একটি আমেরিকান অভিযাত্রী দল চার্লস হাউস্টনের নেতৃত্বে প্রায় ২৬ হাজার ফুট বা ৭ হাজার ৯২৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন।

 

শেষপর্যন্ত ১৯৫৪ সালে একটি ইতালিয় অভিযাত্রী দল ভূ-তাত্ত্বিক আরদিতো দেসিওর নেতৃত্বে কে-২ জয় করেন আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এই কঠিন পর্বত জয় করে বিশ্বাসঘাতক হিসেবেও পরিচিত আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এর কারণ তাদের এই কে-২ অভিযান দলের সদস্য পাকিস্তানের আমির মেহদী ও ওয়াল্টার বোনাট্টিকে মাঝপথে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে সামিটে যান। হয়তো সেদিন বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই প্রথম কে-২ চূড়ায় পদচিহ্ন আঁকতে পেরেছিলেন তারা।

 

কে-২ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করা অত্যন্ত দুর্গম ও বর্বর হওয়ায় এটি জংলি পর্বত নামেও পরিচিত। অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের পর আট-হাজারি পর্বতশৃঙ্গগুলোতে আরোহণে মৃত্যুর হারের দিক থেকেও কে-২ এর অবস্থান দ্বিতীয়। এর চূড়ায় আরোহণকারী প্রতি চার জনের মধ্যে মৃত্যুর হার একজন। ফলে বোঝাই যায় কে-২ কত ভয়ংকর পর্বত।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভয়ংকর কে-২ : বিশ্বাসঘাতকতার এই দিনে

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭

এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে ১৯৫৩ সালের ১৯ মে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট স্পর্শ করে সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেন। সেই পর্বতজয়ের আনন্দে যখন সবাই ভাসছে, তার পরের বছর ১৯৫৪ সালের ৩১ জুলাই পৃথিবীর দ্বিতীয় পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট কে-২ জয়ের কথা ছড়িয়ে পরে চারদিকে। এবার কিন্তু এডমুন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে নয়। ইতালিয়ান পর্বতারোহী আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি স্থানীয় সময় অনুসারে বিকেল ৬ টায় সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছান।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮ হাজার ৬১১ মিটার বা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট। ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ০২৯ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টের তুলনায় কে-২ মাত্র ২৩৭ মিটার বা ৭৭৮ ফুট ছোট। হিমালয় পর্বতমালার কারাকোরাম পর্বতমালার অন্তর্গত এই পর্বতশৃঙ্গটি পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান ও চীনের জিংজিয়ানের তাক্সকোরগান সীমান্তে অবস্থিত।

 

এই পর্বতশৃঙ্গে প্রথম ১৯০২ সালে আরোহণের চেষ্টা করেন একটি অ্যাংলো-সুইস অভিযাত্রী দল এবং তাঁরা শৃঙ্গের উত্তর-পূর্ব ধার বরাবর ১৮ হাজার ৬শ’ ফুট বা ৫ হাজার ৬৭০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন। অন্য অসফল প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯০৯ সালে লুইগি আমেদিও, ডিউক অব আবুরাজ্জির অভিযান এবং তাঁরা প্রায় ২০ হাজার ফুট বা ৬ হাজার ১শ’ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন। এরপর ১৯৩৮ সালে একটি আমেরিকান অভিযাত্রী দল চার্লস হাউস্টনের নেতৃত্বে প্রায় ২৬ হাজার ফুট বা ৭ হাজার ৯২৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন।

 

শেষপর্যন্ত ১৯৫৪ সালে একটি ইতালিয় অভিযাত্রী দল ভূ-তাত্ত্বিক আরদিতো দেসিওর নেতৃত্বে কে-২ জয় করেন আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এই কঠিন পর্বত জয় করে বিশ্বাসঘাতক হিসেবেও পরিচিত আচিলে কম্পাগননি এবং লিনো লাসেডেলি। এর কারণ তাদের এই কে-২ অভিযান দলের সদস্য পাকিস্তানের আমির মেহদী ও ওয়াল্টার বোনাট্টিকে মাঝপথে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে সামিটে যান। হয়তো সেদিন বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই প্রথম কে-২ চূড়ায় পদচিহ্ন আঁকতে পেরেছিলেন তারা।

 

কে-২ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করা অত্যন্ত দুর্গম ও বর্বর হওয়ায় এটি জংলি পর্বত নামেও পরিচিত। অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের পর আট-হাজারি পর্বতশৃঙ্গগুলোতে আরোহণে মৃত্যুর হারের দিক থেকেও কে-২ এর অবস্থান দ্বিতীয়। এর চূড়ায় আরোহণকারী প্রতি চার জনের মধ্যে মৃত্যুর হার একজন। ফলে বোঝাই যায় কে-২ কত ভয়ংকর পর্বত।