ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ

হয় চুক্তি নয়তো ১৫৫ শতাংশ শুল্ক’— চীনকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: নিক্কেই এশিয়া
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘ন্যায়সঙ্গত’ চুক্তি সম্পন্ন করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চীন যদি এই চুক্তিতে রাজি হয়, তাহলে ভালো, আর না হলে দেশটির পণ্যের ওপর ১৫৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক জারি করা হতে পারে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গে একটি ন্যায্য বাণিজ্যিক চুক্তি করতে চাই এবং আমি আশা করছি, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসবেন।’

চীন যদি বাণিজ্য সমঝোতায় আগ্রহী না হয়, সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটন কী পদক্ষেপ নেবে— এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা একটি ন্যায্য চুক্তিতে সম্মত না হয়, তাহলে চীনা পণ্যের পর ১৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। হয় তারা সমঝোতায় আসবে, নয়তো উচ্চ শুল্ক দিতে বাধ্য থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অন্যায্য ফায়দা লুটছে। এটা বন্ধ করতে হবে।’

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, যার মধ্যে খাদ্য থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালও রয়েছে। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প বলে আসছিলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনাকে প্রাধান্য দেবেন তিনি।

গত আগস্ট মাসে চীনের সঙ্গে ‘শুল্কযুদ্ধ’ শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের। ওই মাসে চীনের ওপর ধার্যকৃত রপ্তানি শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ থেকে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন ট্রাম্প। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর নির্ধারিত শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১২৫ শতাংশ বর্ধিত করে। পরে অবশ্য ওই মাসেই বেইজিং-ওয়াশিংটন উভয়েই পরস্পরের ওপর আরোপিত বর্ধিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে, যা নভেম্বর মাসে শেষ হবে।

এদিকে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প এবং জিনপিং— উভয়েরই সেই সম্মেলনে অতিথি হিসেবে যাওয়ার কথা আছে এবং মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প ও জিনপিংয়ের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র: এএফপি


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস

হয় চুক্তি নয়তো ১৫৫ শতাংশ শুল্ক’— চীনকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১০:৩৮:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: নিক্কেই এশিয়া
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘ন্যায়সঙ্গত’ চুক্তি সম্পন্ন করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চীন যদি এই চুক্তিতে রাজি হয়, তাহলে ভালো, আর না হলে দেশটির পণ্যের ওপর ১৫৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক জারি করা হতে পারে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গে একটি ন্যায্য বাণিজ্যিক চুক্তি করতে চাই এবং আমি আশা করছি, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসবেন।’

চীন যদি বাণিজ্য সমঝোতায় আগ্রহী না হয়, সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটন কী পদক্ষেপ নেবে— এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা একটি ন্যায্য চুক্তিতে সম্মত না হয়, তাহলে চীনা পণ্যের পর ১৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। হয় তারা সমঝোতায় আসবে, নয়তো উচ্চ শুল্ক দিতে বাধ্য থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অন্যায্য ফায়দা লুটছে। এটা বন্ধ করতে হবে।’

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, যার মধ্যে খাদ্য থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালও রয়েছে। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প বলে আসছিলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনাকে প্রাধান্য দেবেন তিনি।

গত আগস্ট মাসে চীনের সঙ্গে ‘শুল্কযুদ্ধ’ শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের। ওই মাসে চীনের ওপর ধার্যকৃত রপ্তানি শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ থেকে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন ট্রাম্প। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর নির্ধারিত শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১২৫ শতাংশ বর্ধিত করে। পরে অবশ্য ওই মাসেই বেইজিং-ওয়াশিংটন উভয়েই পরস্পরের ওপর আরোপিত বর্ধিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে, যা নভেম্বর মাসে শেষ হবে।

এদিকে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প এবং জিনপিং— উভয়েরই সেই সম্মেলনে অতিথি হিসেবে যাওয়ার কথা আছে এবং মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প ও জিনপিংয়ের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র: এএফপি


প্রিন্ট