ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে, দালাল সাংবাদিক ও খুনি পুলিশ সদস্যদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি মানববন্ধনে

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : ০১:৫১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০ ৫০০০.০ বার পাঠক

আওয়ামী লীগ আমলে গড়ে ওঠা লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে এনে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়ার দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি গণ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিক ও আন্দোলনে গুলি করে ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিও করেন তারা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা এসব দাবি করেন। আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামার হুশিয়ারিও জানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোষর লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। তারাই এখন অন্তর্বর্তিকালীন সরকারকে বিপদে ফেলতে কোন কারণ ছাড়াই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব বন্ধ করার দাবি জানান তারা।

সমন্বয়করা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলন নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছিলো চট্টগ্রামের কতিপয় সাংবাদিক। তারা বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি পুলিশের সোর্স হিসেবে সরাসরি কাজ করেছে। তাদের কারণেই অসংখ্য আন্দোলনরত ছাত্রজনতা হতাহত হয়েছে।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের কেউ কেউ প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ডেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে এমন মিথ্যাচারও করেছে। এই ধরনের চিহ্নিত সাংবাদিক নামধারী দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী বলেন, যে সব অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যরা বিনা উস্কানীতে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রেজাউর রহমান বলেন, গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে এখনো প্রতি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে পতিত স্বৈরাচারের দোসরা।
দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তি সরকারকে শিক্ষার্থীদের এই দাবি মেনে দোষীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। ‘

সমন্বয়ক নীলা আফরোজ বলেন, দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা, ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের বিচারের দাবি আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামবে শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের সভাপতিত্ব অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক
ইয়াসির আরেফিন চৌধুরী, ওমর ফারুক সাগর,
জুবায়ের আলম, রেজাউর রহমান, নীলা আফরোজ, সাফায়েত হোসেন, একেএম ইসতিয়াক সম্রাট।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে থাকার কারণে চট্টগ্রামের আন্দোলনে হতাহতদের সঠিক তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার হয়নি। চট্টগ্রামের আন্দোলন সংগ্রামের সঠিক তথ্য প্রচার না হওয়ার দায় ঐ সকল ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের। গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ যদি ফ্যাসিবাদের দোষর সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবার মাঠে নামবো।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে, দালাল সাংবাদিক ও খুনি পুলিশ সদস্যদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি মানববন্ধনে

আপডেট টাইম : ০১:৫১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

আওয়ামী লীগ আমলে গড়ে ওঠা লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে এনে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়ার দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি গণ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিক ও আন্দোলনে গুলি করে ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিও করেন তারা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা এসব দাবি করেন। আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামার হুশিয়ারিও জানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোষর লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। তারাই এখন অন্তর্বর্তিকালীন সরকারকে বিপদে ফেলতে কোন কারণ ছাড়াই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব বন্ধ করার দাবি জানান তারা।

সমন্বয়করা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলন নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছিলো চট্টগ্রামের কতিপয় সাংবাদিক। তারা বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি পুলিশের সোর্স হিসেবে সরাসরি কাজ করেছে। তাদের কারণেই অসংখ্য আন্দোলনরত ছাত্রজনতা হতাহত হয়েছে।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের কেউ কেউ প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ডেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে এমন মিথ্যাচারও করেছে। এই ধরনের চিহ্নিত সাংবাদিক নামধারী দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী বলেন, যে সব অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যরা বিনা উস্কানীতে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রেজাউর রহমান বলেন, গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে এখনো প্রতি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে পতিত স্বৈরাচারের দোসরা।
দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তি সরকারকে শিক্ষার্থীদের এই দাবি মেনে দোষীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। ‘

সমন্বয়ক নীলা আফরোজ বলেন, দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা, ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের বিচারের দাবি আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামবে শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের সভাপতিত্ব অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক
ইয়াসির আরেফিন চৌধুরী, ওমর ফারুক সাগর,
জুবায়ের আলম, রেজাউর রহমান, নীলা আফরোজ, সাফায়েত হোসেন, একেএম ইসতিয়াক সম্রাট।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে থাকার কারণে চট্টগ্রামের আন্দোলনে হতাহতদের সঠিক তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার হয়নি। চট্টগ্রামের আন্দোলন সংগ্রামের সঠিক তথ্য প্রচার না হওয়ার দায় ঐ সকল ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের। গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ যদি ফ্যাসিবাদের দোষর সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবার মাঠে নামবো।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।