ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী সংসারের হাল ধরতে চেয়ে নিজেই এখন বোঝা” বাঁচতে চায় ঠাকুরগাঁওয়ের শামীম জেনেভা ক্যাম্পের শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ড্রিম এলাইভ ফাউন্ডেশন এবং এনএলজে হাই স্কুল পরিচালনা কমিটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত সখিপুর উপজেলা দলিল লেখক ও স্ট্যাম ভেন্ডার কল্যাণ সমবায় সমিতি লি:এর সদস্যদের সাথে মত বিনিময় পরমানু বোমা হামলা থেকে বাচঁতে আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া সশস্ত্র বাহিনী দিবসে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ গণহত্যার সুপ্রিম কমান্ডার ছিলেন পুলিশপ্রধান: তাজুল ইসলাম আজমিরীগঞ্জে ১০৪ পিস ইয়াবা সহ আটক দুই

একটা একটা শিবির ধর’- স্লোগান নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ১১:১৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

হাসনাত আব্দুল্লাহ ছবি

রাষ্ট্র পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা কেন নয়, হাইকোর্টের রুল

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা কেন নয়, হাইকোর্টের রুল

তিনি আরও বলেন, ‘শিবির ও জামায়াতকে ডিহিউম্যানাটাইজ করে ফেলা হয়েছে। একটা একটা শিবির ধর, ধরে ধরে জবাই কর। এই সেনটেন্সটি নরমালাইজ করে ফেলা হয়েছে। অর্থাৎ একটা ন্যূনতম হিউম্যান ডিগনিটি যে একটা মানুষের থাকা উচিত, শিবির করলে সেটাও থাকবে না এটাকেও নরমালাইজ করে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এই আন্দোলনে সবাই নেমে এসেছে। এখন এই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে আমাদেরকে ভাগ করে ফেলা হয়েছে। ডিসট্রাকশনের সময় আমরা সবাই একসাথে চলে এসেছিলাম এখন কন্সট্রাকশন যখন হবে তখন আলাদা করে ফেলা হয়েছে। ৪৭ পরবর্তীতে এটা হয়েছে, ৭১ পরবর্তীতে এটা হয়েছে, ৯০ পরবর্তীতে একটা হয়েছে। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন এই সেপারেট হয়ে যাওয়ার সুফল এটা কি আমদের জন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক।’

ফেসবুক

রাষ্ট্র পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবো আপনারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হঠানোর জন্য ১৬ বছর ধরে অপ্রতিরুদ্ধভাবে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। যেটাকে আমরা বলি ক্লাইম্যাক্স পিরিয়ড তখন আমরা সবাই একসাথে হয়েছিলাম। ঠিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য আপনারা সবাই একসাথে হবেন। একসাথে হয়ে অতীতের যে স্টিগমা কালচার আছে, কিছু ফসিলাইজড কালচার আছে এই কালচারের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা নতুন ধারার যে রাজনীতি বিনির্মাণের চেষ্টা করছি, এই রাজনীতি বিনির্মাণ আপনাদের ছাড়া সম্ভব না। আর ঐক্য যদি না থাকে কখনোই সম্ভব না। সুতরাং আমাদের সমন্বিত কার্যক্রম লাগবে এবং আন্দোলনের যে দ্বিতীয় ধাপটি রয়েছে রাষ্ট্র পুনর্গঠন। এই রাষ্ট্র পুনর্গঠনের আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা লাগবে। নচেৎ এই যে মামলা বাণিজ্য বলি বা এই যে এগুলো কিন্তু কম্পোনেন্ট, এগুলো ইনগ্রেডিয়েন্ট। এগুলো কিন্তু পুরো স্ট্রাকচারের কিছু কিছু উপসর্গ। মামলা বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে পুরো রাজনৈতিক যে কাঠামো সেটি বিনির্মাণের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বিদ্যমান যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে তাদের আমাদের সহায়তা প্রয়োজন।’

কোটায় ২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের রায় প্রকাশকোটায় ২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের রায় প্রকাশ

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত আগস্ট মাসের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার দেশের প্রধান প্রধান খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

একটা একটা শিবির ধর’- স্লোগান নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য

আপডেট টাইম : ১১:১৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হাসনাত আব্দুল্লাহ ছবি

রাষ্ট্র পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা কেন নয়, হাইকোর্টের রুল

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা কেন নয়, হাইকোর্টের রুল

তিনি আরও বলেন, ‘শিবির ও জামায়াতকে ডিহিউম্যানাটাইজ করে ফেলা হয়েছে। একটা একটা শিবির ধর, ধরে ধরে জবাই কর। এই সেনটেন্সটি নরমালাইজ করে ফেলা হয়েছে। অর্থাৎ একটা ন্যূনতম হিউম্যান ডিগনিটি যে একটা মানুষের থাকা উচিত, শিবির করলে সেটাও থাকবে না এটাকেও নরমালাইজ করে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এই আন্দোলনে সবাই নেমে এসেছে। এখন এই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে আমাদেরকে ভাগ করে ফেলা হয়েছে। ডিসট্রাকশনের সময় আমরা সবাই একসাথে চলে এসেছিলাম এখন কন্সট্রাকশন যখন হবে তখন আলাদা করে ফেলা হয়েছে। ৪৭ পরবর্তীতে এটা হয়েছে, ৭১ পরবর্তীতে এটা হয়েছে, ৯০ পরবর্তীতে একটা হয়েছে। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন এই সেপারেট হয়ে যাওয়ার সুফল এটা কি আমদের জন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক।’

ফেসবুক

রাষ্ট্র পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবো আপনারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হঠানোর জন্য ১৬ বছর ধরে অপ্রতিরুদ্ধভাবে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। যেটাকে আমরা বলি ক্লাইম্যাক্স পিরিয়ড তখন আমরা সবাই একসাথে হয়েছিলাম। ঠিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য আপনারা সবাই একসাথে হবেন। একসাথে হয়ে অতীতের যে স্টিগমা কালচার আছে, কিছু ফসিলাইজড কালচার আছে এই কালচারের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা নতুন ধারার যে রাজনীতি বিনির্মাণের চেষ্টা করছি, এই রাজনীতি বিনির্মাণ আপনাদের ছাড়া সম্ভব না। আর ঐক্য যদি না থাকে কখনোই সম্ভব না। সুতরাং আমাদের সমন্বিত কার্যক্রম লাগবে এবং আন্দোলনের যে দ্বিতীয় ধাপটি রয়েছে রাষ্ট্র পুনর্গঠন। এই রাষ্ট্র পুনর্গঠনের আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা লাগবে। নচেৎ এই যে মামলা বাণিজ্য বলি বা এই যে এগুলো কিন্তু কম্পোনেন্ট, এগুলো ইনগ্রেডিয়েন্ট। এগুলো কিন্তু পুরো স্ট্রাকচারের কিছু কিছু উপসর্গ। মামলা বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে পুরো রাজনৈতিক যে কাঠামো সেটি বিনির্মাণের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বিদ্যমান যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে তাদের আমাদের সহায়তা প্রয়োজন।’

কোটায় ২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের রায় প্রকাশকোটায় ২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের রায় প্রকাশ

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত আগস্ট মাসের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার দেশের প্রধান প্রধান খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।