ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
বলিউড সিনেমা ‘লাক’ এর গল্প চুরি করে তৈরি ‘স্কুইড গেম’! শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত এ সময় প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টার সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ হবে ঢাবি ও জাবিতে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই: কমিশনকে নজরে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলো দিনের শুরুতেই হাসানের তিন উইকেট, উড়ন্ত শুরু বাংলাদেশের যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে নিউইয়র্কে হচ্ছে না ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক গণহত্যায় শহীদ পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা বরাবর, মাননীয় – প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাপ্রধান – বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চাঁদা নিতেন?

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৬:০১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১১ ৫০০০.০ বার পাঠক

গত ১৩ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তার এই সফরের খরচ মেটাতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এটিএম ওবায়দুল্লাহ’র বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও নির্ধারিত চাঁদা না দিলে বেতন আটকিয়ে রাখার ভয় দেখানোর পাশাপাশি জোরপূর্বক চাঁদা আদায় নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই সফরের খরচ মেটাতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ, সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী মিলে মোট ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন অনুযায়ী ৪০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নির্ধারণ করেন তিনি। এই চাঁদা কালেকশনের জন্য তার পছন্দের কর্মচারীকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরতদের সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে কেউ প্রকাশ্যে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও। নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবিষয়ে বিস্তারিত জানান।

নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএইচসিপি ও স্বাস্থ্য সহকারী জানান, স্বাস্থ্য সহকারী প্রতি ৪০০ ও সিএইচসিপিদের ৬০০ টাকা চাঁদার জন্য নিয়মিত চাপ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। টাকা না দিলে বেতন বন্ধ রাখার ভয় দেখাচ্ছেন এটা আসলেই লজ্জাজনক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নার্স ও চিকিৎসক জানান, বেতন অনুযায়ী আমাদের ১০০০-৩০০০ টাকা চাঁদার জন্য চাপ দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তবে আমরা এখনও কেউ চাঁদা দেইনি। এই চাঁদা তিনি প্রতিদিন নিজেই চাচ্ছেন।

চাঁদা কালেকশনের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এটিএম ওবায়দুল্লাহ বলেন, মন্ত্রীর সফরের খরচের জন্য নয় এটি আপ্যায়ন বিল মেটাতে নেওয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেন যে আপ্যায়ন বাবদ কোন বিল সরকার থেকে পাওয়া যায় না তাই অফিসে আগত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও অতিথিদের আপ্যায়ন মেটাতে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে চাঁদা না দিলে বেতন আটকিয়ে রাখার বিষয়টা অস্বীকার করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

এবিষয়ে সিভিল সার্জনের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. শরীফ মুঠোফোনে বলেন, কোন ভিআইপি’র সফর শুধু নয় যেকোনো বিষয়ে চাঁদা কালেকশন নিয়মবহির্ভূত কাজ। এবিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে আপ্যায়ন বিলের বরাদ্দ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিসের জন্য সামগ্রিক বিষয়ে বাৎসরিক একটা বরাদ্দ থাকে সেটা কোন খাত ব্যয় করবে তাদের বিষয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চাঁদা নিতেন?

আপডেট টাইম : ০৬:০১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত ১৩ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তার এই সফরের খরচ মেটাতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এটিএম ওবায়দুল্লাহ’র বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও নির্ধারিত চাঁদা না দিলে বেতন আটকিয়ে রাখার ভয় দেখানোর পাশাপাশি জোরপূর্বক চাঁদা আদায় নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই সফরের খরচ মেটাতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ, সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী মিলে মোট ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন অনুযায়ী ৪০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নির্ধারণ করেন তিনি। এই চাঁদা কালেকশনের জন্য তার পছন্দের কর্মচারীকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরতদের সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে কেউ প্রকাশ্যে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও। নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবিষয়ে বিস্তারিত জানান।

নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএইচসিপি ও স্বাস্থ্য সহকারী জানান, স্বাস্থ্য সহকারী প্রতি ৪০০ ও সিএইচসিপিদের ৬০০ টাকা চাঁদার জন্য নিয়মিত চাপ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। টাকা না দিলে বেতন বন্ধ রাখার ভয় দেখাচ্ছেন এটা আসলেই লজ্জাজনক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নার্স ও চিকিৎসক জানান, বেতন অনুযায়ী আমাদের ১০০০-৩০০০ টাকা চাঁদার জন্য চাপ দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তবে আমরা এখনও কেউ চাঁদা দেইনি। এই চাঁদা তিনি প্রতিদিন নিজেই চাচ্ছেন।

চাঁদা কালেকশনের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এটিএম ওবায়দুল্লাহ বলেন, মন্ত্রীর সফরের খরচের জন্য নয় এটি আপ্যায়ন বিল মেটাতে নেওয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেন যে আপ্যায়ন বাবদ কোন বিল সরকার থেকে পাওয়া যায় না তাই অফিসে আগত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও অতিথিদের আপ্যায়ন মেটাতে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে চাঁদা না দিলে বেতন আটকিয়ে রাখার বিষয়টা অস্বীকার করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

এবিষয়ে সিভিল সার্জনের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. শরীফ মুঠোফোনে বলেন, কোন ভিআইপি’র সফর শুধু নয় যেকোনো বিষয়ে চাঁদা কালেকশন নিয়মবহির্ভূত কাজ। এবিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে আপ্যায়ন বিলের বরাদ্দ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিসের জন্য সামগ্রিক বিষয়ে বাৎসরিক একটা বরাদ্দ থাকে সেটা কোন খাত ব্যয় করবে তাদের বিষয়।