জেলায় জেলায় কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ বিএনপির
- আপডেট টাইম : ০১:৪৫:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১
- / ২৪৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
পূর্বঘোষিত জেলায় জেলায় দলীয় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এ অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
করোনা মোকাবেলায় সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। এ কারণে করোনা সংক্রামণ মারাত্মকভাবে বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ একটা ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে কিন্তু এটা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অথচ বলা হচ্ছে সরকার নাকি চমৎকারভাবে করোনা সমস্যাটাকে সমাধান করছে এবং তা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছে।
ফখরুল বলেন, যারা করোনা টেস্ট করাতে যাচ্ছেন তাদের শতকরা ১০ভাগও টেস্ট করাতে পারছে না। আমার বাসার কাজের ছেলে গিয়েছিলো টেস্ট করতে, এক ঘন্টার মধ্যে বলেছে যে, টেস্ট হবে না, তার পরের দিন আসো। এভাবে টেস্টগুলো হচ্ছে না। শুধু ঢাকাতেই না সারা বাংলাদেশেই টেস্টেগুলো হচ্ছে না। এই অবস্থার জন্য দায়ী সরকার। আর এই যে জনগনের সচেতনতার অভাব, আমরা দেখতে পারছি-মাস্ক পরে না। কেনো পরে না? কারণ, সরকার সেটা তাদেরকে বুঝাতে পারছে না।
করোনা সংক্রামণ থেকে রক্ষায় বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী কর্মসূচি স্থগিত করার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি। তবে আমরা আবার রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধ্য হয়েছি যখন সরকার আমাদের জনগনের ওপর আক্রমণ করেছে, হামলা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
ফখরুল বলেন, নওগাঁয় জেলা বিএনপির মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে নওগাঁ জেলা মহিলাদল নেত্রী কুহিনুর ইসলাম মিলি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবস্থায় চিকিৎসাধীন। কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে মিছিলের জন্য বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হওয়া বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ওপর পুলিশ গুলি ও লাঠিচার্জ করেছে। এই আক্রমণে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সহ-সভাপতি সাঈদ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম নিশাত, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল, সদর থানা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক এমদাদ হোসেন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনসহ ৪০ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী ও নাটোরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ব্যাপকভাবে বাধা দিয়েছে। পটুয়াখালীতে বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়ে তিনজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত ও নয়জনকে গ্রেফতার করেছে। ভোলায় বিএনপির মিছিলে পুলিশি বাধা ও হামলা চালানো হয়েছে। বরগুনায় পুলিশ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে। কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় পুলিশ ঘেরাও করে রাখে।