মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার দীর্ঘ সংগ্রাম ও নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ সম্মাননা দিয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার যাচ্ছে এক সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ নেত্রীর কাছে, যিনি ক্রমবর্ধমান অন্ধকারের মধ্যেও গণতন্ত্রের শিখা জ্বালিয়ে রেখেছেন।”
তবে মাচাদোর নোবেল জয়কে ঘিরে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও সাক্ষাৎকারগুলোতে দেখা গেছে, তিনি ইসরায়েলের বড় সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
ইসরায়েলি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাচাদো বলেন, “ভেনেজুয়েলা ও ইসরায়েলের মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপন হবে—আমি এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমাদের সরকার ইসরাইলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করবে, এটি ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের সমর্থনের প্রতীক হবে।”
ভেনেজুয়েলান সংবাদমাধ্যম ভেনেজুয়েলান ভয়েস জানিয়েছে, তার দল ভেন্তে ভেনেজুয়েলা সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন লিকুদ পার্টির সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর মাচাদো প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তিনি গাজা যুদ্ধের পর ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮-০৯ সালে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর তৎকালীন সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।
প্রিন্ট