ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবন রাজউক কর্তক অবৈধ নকশায় নির্মাণ করার প্রমাণিত হওয়ায় মালিককে চিঠি পর্ব ২ শ্রীপুরে ওসি’র ঘুষ লেনদেনের অডিও ভাইরাল গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। পর্ব ২ জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

কালিয়াকৈরে বজ্রপাতের আঘাতে ঘরের টিনের সাথে বিদ্যুৎ সংযুক্ত হলে এক গৃহবধূর মৃত্যু

মোঃ ফরিদ আহমেদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (গাজীপুর)
  • আপডেট টাইম : ০১:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / ১১১ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ২ নং চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের নামাশুলাই এলাকায় (৪ জুন) মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে বাড়ির গোয়াল ঘরে পালিত গাভীকে (গরু) বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে গরুর মৃত্যু সাথে আছমা আক্তার (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

নিহত আছমা আক্তারের শাশুড়ি সূর্যবানু জানান, উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের গাবতলী গ্রামের পশ্চিমপাড়া আমাদের বাড়ি। গত ১৫-২০ বছর আগে আমার ছেলে নুরুমিয়া ২ নং চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের নামাশুলাই গ্রামে এই বাড়ি তৈরি করে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছে। আমার ছেলে কৃষি কাজ করে। দিনের অধিকাংশ সময় বাড়ির বাইরে কৃষি কাজে মাঠে ব্যস্ত থাকে। আজ কুলা দিয়ে ধানের চাল থেকে কুঁড়া আলাদা করতে ছিলাম আমি ও আমার পুত্রবধু আছমা আক্তার। ওই সময় বেলা ১২ টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাত হলে বাড়ির গোয়াল ঘরে রাখা গাভী চিৎকার (হাম্বা) দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এমন অবস্থা দেখে আমার পুত্রবধূ আছমা আক্তার দ্রুত দৌড়ে গোয়াল ঘরে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরা গরুকে স্পর্শ করলে তিনিও মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ উপস্থিত না থাকায় উত্তর ঘরের বারান্দা থেকে বাড়ির উঠানে গিয়ে বাঁচাও গো বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকলে, আশপাশের বাড়ির লোকজন দ্রুত আমাদের বাড়িতে আসে। তাদের মধ্যে কোন এক ব্যক্তি ঘরের টিনের সাথে ছোঁয়া দিলে বিদ্যুৎ সংযুক্ত হয়েছে বলে জানান এবং উপস্থিত সবাইকে সতর্ক করেন। এমন সময় নিহতের প্রতিবেশী ইলেকট্রিশিয়ান তোতা মিয়া দ্রুত মিটার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে বিচ্ছিন্ন করেন।
পরে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় এরইমধ্যে উপস্থিত নিহতের স্বজনেরা আছমা আক্তারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে বলে জানান সূর্য বানু ।
পরে নিহতের লাশ বাড়িতে আনলে ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে উপস্থিত আত্মীয় স্বজনদের কান্নার আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে । নুরু মিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী আছমা আক্তারের এমন মৃত্যুতে।
নিহত আছমা আক্তার উপজেলার টান কালিয়াকৈর গ্রামের মৃত আজমত আলীর মেয়ে।
গত ৩০ আগে সোনামদ্দিনের বড় ছেলে নুরু মিয়ার সাথে আছমা আক্তারের বিয়ে হয়েছিল।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম নাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি। বজ্রপাতের কারণে আছমা আক্তার নামের এক ভদ্র মহিলা মারা গেছেন। সেই সাথে তার গৃহপালিত একটি গাভীও মারা গেছে। যেহেতু ঘটনাটি একটি প্রাকৃতিক দূর্ঘটনা, সেহেতু এলাকার ও নিহতের পরিবারের মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতের লাশ দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কালিয়াকৈরে বজ্রপাতের আঘাতে ঘরের টিনের সাথে বিদ্যুৎ সংযুক্ত হলে এক গৃহবধূর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০১:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ২ নং চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের নামাশুলাই এলাকায় (৪ জুন) মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে বাড়ির গোয়াল ঘরে পালিত গাভীকে (গরু) বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে গরুর মৃত্যু সাথে আছমা আক্তার (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

নিহত আছমা আক্তারের শাশুড়ি সূর্যবানু জানান, উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের গাবতলী গ্রামের পশ্চিমপাড়া আমাদের বাড়ি। গত ১৫-২০ বছর আগে আমার ছেলে নুরুমিয়া ২ নং চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের নামাশুলাই গ্রামে এই বাড়ি তৈরি করে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছে। আমার ছেলে কৃষি কাজ করে। দিনের অধিকাংশ সময় বাড়ির বাইরে কৃষি কাজে মাঠে ব্যস্ত থাকে। আজ কুলা দিয়ে ধানের চাল থেকে কুঁড়া আলাদা করতে ছিলাম আমি ও আমার পুত্রবধু আছমা আক্তার। ওই সময় বেলা ১২ টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাত হলে বাড়ির গোয়াল ঘরে রাখা গাভী চিৎকার (হাম্বা) দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এমন অবস্থা দেখে আমার পুত্রবধূ আছমা আক্তার দ্রুত দৌড়ে গোয়াল ঘরে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরা গরুকে স্পর্শ করলে তিনিও মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ উপস্থিত না থাকায় উত্তর ঘরের বারান্দা থেকে বাড়ির উঠানে গিয়ে বাঁচাও গো বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকলে, আশপাশের বাড়ির লোকজন দ্রুত আমাদের বাড়িতে আসে। তাদের মধ্যে কোন এক ব্যক্তি ঘরের টিনের সাথে ছোঁয়া দিলে বিদ্যুৎ সংযুক্ত হয়েছে বলে জানান এবং উপস্থিত সবাইকে সতর্ক করেন। এমন সময় নিহতের প্রতিবেশী ইলেকট্রিশিয়ান তোতা মিয়া দ্রুত মিটার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে বিচ্ছিন্ন করেন।
পরে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় এরইমধ্যে উপস্থিত নিহতের স্বজনেরা আছমা আক্তারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে বলে জানান সূর্য বানু ।
পরে নিহতের লাশ বাড়িতে আনলে ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে উপস্থিত আত্মীয় স্বজনদের কান্নার আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে । নুরু মিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী আছমা আক্তারের এমন মৃত্যুতে।
নিহত আছমা আক্তার উপজেলার টান কালিয়াকৈর গ্রামের মৃত আজমত আলীর মেয়ে।
গত ৩০ আগে সোনামদ্দিনের বড় ছেলে নুরু মিয়ার সাথে আছমা আক্তারের বিয়ে হয়েছিল।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম নাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি। বজ্রপাতের কারণে আছমা আক্তার নামের এক ভদ্র মহিলা মারা গেছেন। সেই সাথে তার গৃহপালিত একটি গাভীও মারা গেছে। যেহেতু ঘটনাটি একটি প্রাকৃতিক দূর্ঘটনা, সেহেতু এলাকার ও নিহতের পরিবারের মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতের লাশ দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।