ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় রুহিয়ায় পুলিশের অভিযানে আটক ২  কোস্টগার্ডের অভিযানে ১টি দেশীয় স্যুটার গান সহ ৩ জন আটক কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি, নগদ টাকা সহ ৬জন আসামী গ্রেপ্তার শান্তি নিবিড় সেবা ফাউন্ডেশন ও শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক প্রদান করা হলো পাথরঘাটায় শূন্য থেকে কোটিপতি ফ্রিল্যান্সার বেলাল হোসেন, করছেন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ফুলবাড়ী অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন সড়কে ঝরলো যুবকের প্রান

মৌসুমি এখন সময় পলাশের

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

এই বসন্তে রঙের আগুন ছড়িয়ে ফুটে আছে ফুল। সংস্কৃতে এটি ‘কিংশুক’ এবং মনিপুরী ভাষায় ‘পাঙ গোঙ’ নামে পরিচিত। পলাশ মাঝারি আকারের পাতাঝরা বৃক্ষ। বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গাতে কমবেশি পলাশগাছ দেখতে পাওয়া যায়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব অংশে অনেক পলাশগাছ চোখে পড়ে। ছবিটি গত ৫ মার্চ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধের উত্তর পাশ থেকে তুলেছি।

পলাশগাছ ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। শীতে গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্তে ফুল ফোটায়। টকটকে লাল ছাড়াও হলুদ ও লালচে কমলা রঙের পলাশ ফুলও চোখে পড়ে। মূলত বসন্তের শেষে গাছগুলি যখন তাদের পাতা হারায়, তখনই প্রকৃতি তার আপন লীলায় মত্ত হয়ে উজ্জ্বল লাল বা গাঢ় কমলা রঙের এই পলাশ ফোটায়।পাতাহীন গাছের যত্রতত্র ফুটতে দেখা যায় পলাশ। দেখে মনে হয় যেন রঙের আগুন লেগেছে। এর বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী, দেখতে অনেকটা মান্দারগাছের পাতার মতো হলেও আকারে বড়। পলাশের ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মায়। বাড়েও দ্রুত।

পলাশের ভেষজগুণ রয়েছে অনেক। দেহের লাবণ্যহীনতা, বিছার কামড়, পেটের সমস্যা, কৃমির উপদ্রব ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহূত হয়। একসময় পলাশগাছের শিকড় দিয়ে মজবুত দড়ি তৈরি করা হতো। পলাশের পাতা দিয়ে তৈরি হতো থালা। আজো কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পলাশপাতার ছোট্ট বাটিতে ফুচকা বা পানিপুরি বিক্রি করা হয়।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

মৌসুমি এখন সময় পলাশের

আপডেট টাইম : ১১:১৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

এই বসন্তে রঙের আগুন ছড়িয়ে ফুটে আছে ফুল। সংস্কৃতে এটি ‘কিংশুক’ এবং মনিপুরী ভাষায় ‘পাঙ গোঙ’ নামে পরিচিত। পলাশ মাঝারি আকারের পাতাঝরা বৃক্ষ। বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গাতে কমবেশি পলাশগাছ দেখতে পাওয়া যায়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব অংশে অনেক পলাশগাছ চোখে পড়ে। ছবিটি গত ৫ মার্চ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধের উত্তর পাশ থেকে তুলেছি।

পলাশগাছ ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। শীতে গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্তে ফুল ফোটায়। টকটকে লাল ছাড়াও হলুদ ও লালচে কমলা রঙের পলাশ ফুলও চোখে পড়ে। মূলত বসন্তের শেষে গাছগুলি যখন তাদের পাতা হারায়, তখনই প্রকৃতি তার আপন লীলায় মত্ত হয়ে উজ্জ্বল লাল বা গাঢ় কমলা রঙের এই পলাশ ফোটায়।পাতাহীন গাছের যত্রতত্র ফুটতে দেখা যায় পলাশ। দেখে মনে হয় যেন রঙের আগুন লেগেছে। এর বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী, দেখতে অনেকটা মান্দারগাছের পাতার মতো হলেও আকারে বড়। পলাশের ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মায়। বাড়েও দ্রুত।

পলাশের ভেষজগুণ রয়েছে অনেক। দেহের লাবণ্যহীনতা, বিছার কামড়, পেটের সমস্যা, কৃমির উপদ্রব ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহূত হয়। একসময় পলাশগাছের শিকড় দিয়ে মজবুত দড়ি তৈরি করা হতো। পলাশের পাতা দিয়ে তৈরি হতো থালা। আজো কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পলাশপাতার ছোট্ট বাটিতে ফুচকা বা পানিপুরি বিক্রি করা হয়।