ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্রলীগ, যুবলীগের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে আমরা প্রস্তুত আছি: হাসনাত আবদুল্লাহ সন্ধ্যায় শপথ উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ছে পীরগঞ্জে আগাম শীত- স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশু সহ বয়োবৃদ্ধরা ২৪ ঘণ্টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকরা, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা হাসিনাসহ পলাতকদের ফেরাতে রেড নোটিশ জারি করছে সরকার আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ বৈষমহীন দেশ গঠনে রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কালীতলায় ইউপি সদস্য মফিজুল হকের জবরদখল করা একটি আস্তানায় গোপন ক্যমেরায় বখাটেদের মাদক সেবন করার সত্যতা উঠে আসে মধ্যপ্রাচ্য বৈরুতের লেবানিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ইসরায়েলের বিমান হামলা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টে আসার ডাক আওয়ামী লীগের

মৌসুমি এখন সময় পলাশের

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
  • / ২৮১ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

এই বসন্তে রঙের আগুন ছড়িয়ে ফুটে আছে ফুল। সংস্কৃতে এটি ‘কিংশুক’ এবং মনিপুরী ভাষায় ‘পাঙ গোঙ’ নামে পরিচিত। পলাশ মাঝারি আকারের পাতাঝরা বৃক্ষ। বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গাতে কমবেশি পলাশগাছ দেখতে পাওয়া যায়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব অংশে অনেক পলাশগাছ চোখে পড়ে। ছবিটি গত ৫ মার্চ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধের উত্তর পাশ থেকে তুলেছি।

পলাশগাছ ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। শীতে গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্তে ফুল ফোটায়। টকটকে লাল ছাড়াও হলুদ ও লালচে কমলা রঙের পলাশ ফুলও চোখে পড়ে। মূলত বসন্তের শেষে গাছগুলি যখন তাদের পাতা হারায়, তখনই প্রকৃতি তার আপন লীলায় মত্ত হয়ে উজ্জ্বল লাল বা গাঢ় কমলা রঙের এই পলাশ ফোটায়।পাতাহীন গাছের যত্রতত্র ফুটতে দেখা যায় পলাশ। দেখে মনে হয় যেন রঙের আগুন লেগেছে। এর বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী, দেখতে অনেকটা মান্দারগাছের পাতার মতো হলেও আকারে বড়। পলাশের ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মায়। বাড়েও দ্রুত।

পলাশের ভেষজগুণ রয়েছে অনেক। দেহের লাবণ্যহীনতা, বিছার কামড়, পেটের সমস্যা, কৃমির উপদ্রব ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহূত হয়। একসময় পলাশগাছের শিকড় দিয়ে মজবুত দড়ি তৈরি করা হতো। পলাশের পাতা দিয়ে তৈরি হতো থালা। আজো কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পলাশপাতার ছোট্ট বাটিতে ফুচকা বা পানিপুরি বিক্রি করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌসুমি এখন সময় পলাশের

আপডেট টাইম : ১১:১৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

এই বসন্তে রঙের আগুন ছড়িয়ে ফুটে আছে ফুল। সংস্কৃতে এটি ‘কিংশুক’ এবং মনিপুরী ভাষায় ‘পাঙ গোঙ’ নামে পরিচিত। পলাশ মাঝারি আকারের পাতাঝরা বৃক্ষ। বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গাতে কমবেশি পলাশগাছ দেখতে পাওয়া যায়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব অংশে অনেক পলাশগাছ চোখে পড়ে। ছবিটি গত ৫ মার্চ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধের উত্তর পাশ থেকে তুলেছি।

পলাশগাছ ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। শীতে গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্তে ফুল ফোটায়। টকটকে লাল ছাড়াও হলুদ ও লালচে কমলা রঙের পলাশ ফুলও চোখে পড়ে। মূলত বসন্তের শেষে গাছগুলি যখন তাদের পাতা হারায়, তখনই প্রকৃতি তার আপন লীলায় মত্ত হয়ে উজ্জ্বল লাল বা গাঢ় কমলা রঙের এই পলাশ ফোটায়।পাতাহীন গাছের যত্রতত্র ফুটতে দেখা যায় পলাশ। দেখে মনে হয় যেন রঙের আগুন লেগেছে। এর বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী, দেখতে অনেকটা মান্দারগাছের পাতার মতো হলেও আকারে বড়। পলাশের ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মায়। বাড়েও দ্রুত।

পলাশের ভেষজগুণ রয়েছে অনেক। দেহের লাবণ্যহীনতা, বিছার কামড়, পেটের সমস্যা, কৃমির উপদ্রব ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহূত হয়। একসময় পলাশগাছের শিকড় দিয়ে মজবুত দড়ি তৈরি করা হতো। পলাশের পাতা দিয়ে তৈরি হতো থালা। আজো কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পলাশপাতার ছোট্ট বাটিতে ফুচকা বা পানিপুরি বিক্রি করা হয়।