ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে নির্বাচনী গনসংযোগে পিছিয়ে নেই হাছিনা আক্তার গোমস্তাপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়া তরুণীকে মারধরের ঘটনায় আটক -৩ রানিশংকৈলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সহযোগীতা পেলো কুট্টেজান বিবি পঞ্চগড় উপজেলা নির্বাচন প্রথম ধাপে মনোনয়ন দাখিল ১১ প্রার্থীর পঞ্চগড়: জামালপুরে পারিবারিক পুষ্টি বাগান বাড়ছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সাবেক ভিপিনুরের নামে উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত নেতারাও অনলাইন সংস্করণ ইসরাইল এখন কেন ইরান কে ভয় করে নরমের যম শব্দের দম শুভ নববর্ষ এবং ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে কালিহাতী উত্তর বেতডোবা হিন্দু মুসলিম যুব সংঘের উদ্যোগে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে হাডুডু খেলার বিশেষ আয়োজন

মৌসুমি এখন সময় পলাশের

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

এই বসন্তে রঙের আগুন ছড়িয়ে ফুটে আছে ফুল। সংস্কৃতে এটি ‘কিংশুক’ এবং মনিপুরী ভাষায় ‘পাঙ গোঙ’ নামে পরিচিত। পলাশ মাঝারি আকারের পাতাঝরা বৃক্ষ। বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গাতে কমবেশি পলাশগাছ দেখতে পাওয়া যায়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব অংশে অনেক পলাশগাছ চোখে পড়ে। ছবিটি গত ৫ মার্চ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধের উত্তর পাশ থেকে তুলেছি।

পলাশগাছ ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। শীতে গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্তে ফুল ফোটায়। টকটকে লাল ছাড়াও হলুদ ও লালচে কমলা রঙের পলাশ ফুলও চোখে পড়ে। মূলত বসন্তের শেষে গাছগুলি যখন তাদের পাতা হারায়, তখনই প্রকৃতি তার আপন লীলায় মত্ত হয়ে উজ্জ্বল লাল বা গাঢ় কমলা রঙের এই পলাশ ফোটায়।পাতাহীন গাছের যত্রতত্র ফুটতে দেখা যায় পলাশ। দেখে মনে হয় যেন রঙের আগুন লেগেছে। এর বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী, দেখতে অনেকটা মান্দারগাছের পাতার মতো হলেও আকারে বড়। পলাশের ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মায়। বাড়েও দ্রুত।

পলাশের ভেষজগুণ রয়েছে অনেক। দেহের লাবণ্যহীনতা, বিছার কামড়, পেটের সমস্যা, কৃমির উপদ্রব ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহূত হয়। একসময় পলাশগাছের শিকড় দিয়ে মজবুত দড়ি তৈরি করা হতো। পলাশের পাতা দিয়ে তৈরি হতো থালা। আজো কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পলাশপাতার ছোট্ট বাটিতে ফুচকা বা পানিপুরি বিক্রি করা হয়।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরে নির্বাচনী গনসংযোগে পিছিয়ে নেই হাছিনা আক্তার

মৌসুমি এখন সময় পলাশের

আপডেট টাইম : ১১:১৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

এই বসন্তে রঙের আগুন ছড়িয়ে ফুটে আছে ফুল। সংস্কৃতে এটি ‘কিংশুক’ এবং মনিপুরী ভাষায় ‘পাঙ গোঙ’ নামে পরিচিত। পলাশ মাঝারি আকারের পাতাঝরা বৃক্ষ। বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গাতে কমবেশি পলাশগাছ দেখতে পাওয়া যায়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব অংশে অনেক পলাশগাছ চোখে পড়ে। ছবিটি গত ৫ মার্চ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধের উত্তর পাশ থেকে তুলেছি।

পলাশগাছ ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। শীতে গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্তে ফুল ফোটায়। টকটকে লাল ছাড়াও হলুদ ও লালচে কমলা রঙের পলাশ ফুলও চোখে পড়ে। মূলত বসন্তের শেষে গাছগুলি যখন তাদের পাতা হারায়, তখনই প্রকৃতি তার আপন লীলায় মত্ত হয়ে উজ্জ্বল লাল বা গাঢ় কমলা রঙের এই পলাশ ফোটায়।পাতাহীন গাছের যত্রতত্র ফুটতে দেখা যায় পলাশ। দেখে মনে হয় যেন রঙের আগুন লেগেছে। এর বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী, দেখতে অনেকটা মান্দারগাছের পাতার মতো হলেও আকারে বড়। পলাশের ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মায়। বাড়েও দ্রুত।

পলাশের ভেষজগুণ রয়েছে অনেক। দেহের লাবণ্যহীনতা, বিছার কামড়, পেটের সমস্যা, কৃমির উপদ্রব ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহূত হয়। একসময় পলাশগাছের শিকড় দিয়ে মজবুত দড়ি তৈরি করা হতো। পলাশের পাতা দিয়ে তৈরি হতো থালা। আজো কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পলাশপাতার ছোট্ট বাটিতে ফুচকা বা পানিপুরি বিক্রি করা হয়।