ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত

মার্কিন দূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল থেকে প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫০:৪১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বিএনপিতে মুসলমান আছে কিনা আমি জানি না। ভোটে দাঁড়ালেও আমেরিকার সমর্থন নেওয়া বিএনপিকে মুসলমানের ভোট দেওয়া উচিত না।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজার জিয়ারত করতে এসে এসব কথা বলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

কাদের সিদ্দিকী মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে উদ্দেশ করে বলেন, আমরা আমেরিকায় বাস করি না, আমরা বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে আমরা ভয়ে বিয়ে করব না, বউ তালাক দেব, মেয়ের বিয়ে হবে না, ছেলেকে বিয়ে করাব- এ চিন্তাভাবনা করা উচিত না। এটা জিএম কাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তার দেশের ইলেকশন না, ইলেকশন আমাদের দেশের। তিনি তিনটা দলকে চিঠি দিয়েছেন, বাংলাদেশে আর মানুষ নাই। বাংলাদেশে আর দল নেই। তিনিও তিনটা দলকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশকে ভাগ করে ফেলেছেন, দেশকে বিভক্ত করেছেন। এটা অন্যায়, এজন্য তার স্যাংশন পাওয়া উচিত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে। আমাদের ছোট দেশ বলে গরিব মানুষের সুন্দরী বউয়ের মতো যে যা খুশি তাই আমাদের করবেন- এটা হতে পারে না।

তিনি বলেন, কোনো বিদেশির এভাবে দৌড়ঝাঁপ করার কোনো সুযোগ ছিল না। তারা যে তিনটা দলকে চিঠি দিয়েছেন, এটা দেশের সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তিনি জঘন্য অপরাধ করেছেন। এ জন্য তাকে আইনের আওতায় নেওয়া যেতে পারে।

তফসিল ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এতে অনেকেই খুশি না, আমিও খুশি না। তারপরও আমি বলব গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পরপর অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন- ‘সরকারি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আমি চাই।’ আমি আজকে বলব, এখন তো আর সরকার নেই। এখনকার সরকার নির্বাচন কমিশন। তাদের যেন বোধদয় হয়, ইচ্ছা স্বাধীন যখন যা খুশি তাই করবার চেষ্টা না করেন। গতবারের মতো ভোটারবিহীন ভোট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের। তারচেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমার বোন শেখ হাসিনার। সেজন্য কোন দল নির্বাচনে এলো, কোন দল এলো না, এটা বিবেচনা না; যাতে সমস্ত ভোটার ঈদ, পূজার উৎসাহ নিয়ে তার ইচ্ছামতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন- এ ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও আমার বোনকে বলব আপনার শয়তানগুলোকে গলায় পাড়া দেন। গরুকে যেমন পাগা (টোপা) দিতে হয়, যাতে খেত না খায়। আপনার কিছু দুষ্ট লোক আছে তাদেরও পাগা দেন। তা না হলে আপনার সমস্ত সম্মান ধ্বংস হয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আসলে নির্বাচন হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আমরা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটই করি, তাহলে নির্বাচন করব কার সঙ্গে। বিএনপি নির্বাচনে নাই, জাতীয় পার্টি টানাটানি করছে, আমরা যদি জোট বাঁধি মানুষ ভোট দেবে কাকে। ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না। আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী নাও দিতে পারি। আমরা এত বড় দল না; কিন্তু আমরা অসংখ্য আসনে প্রার্থী দেব। আমরা অন্য দলের প্রার্থীদেরও গামছা মার্কা উপহার দেব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মার্কিন দূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না: কাদের সিদ্দিকী

আপডেট টাইম : ০৯:৫০:৪১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বিএনপিতে মুসলমান আছে কিনা আমি জানি না। ভোটে দাঁড়ালেও আমেরিকার সমর্থন নেওয়া বিএনপিকে মুসলমানের ভোট দেওয়া উচিত না।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজার জিয়ারত করতে এসে এসব কথা বলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

কাদের সিদ্দিকী মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে উদ্দেশ করে বলেন, আমরা আমেরিকায় বাস করি না, আমরা বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে আমরা ভয়ে বিয়ে করব না, বউ তালাক দেব, মেয়ের বিয়ে হবে না, ছেলেকে বিয়ে করাব- এ চিন্তাভাবনা করা উচিত না। এটা জিএম কাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তার দেশের ইলেকশন না, ইলেকশন আমাদের দেশের। তিনি তিনটা দলকে চিঠি দিয়েছেন, বাংলাদেশে আর মানুষ নাই। বাংলাদেশে আর দল নেই। তিনিও তিনটা দলকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশকে ভাগ করে ফেলেছেন, দেশকে বিভক্ত করেছেন। এটা অন্যায়, এজন্য তার স্যাংশন পাওয়া উচিত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে। আমাদের ছোট দেশ বলে গরিব মানুষের সুন্দরী বউয়ের মতো যে যা খুশি তাই আমাদের করবেন- এটা হতে পারে না।

তিনি বলেন, কোনো বিদেশির এভাবে দৌড়ঝাঁপ করার কোনো সুযোগ ছিল না। তারা যে তিনটা দলকে চিঠি দিয়েছেন, এটা দেশের সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তিনি জঘন্য অপরাধ করেছেন। এ জন্য তাকে আইনের আওতায় নেওয়া যেতে পারে।

তফসিল ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এতে অনেকেই খুশি না, আমিও খুশি না। তারপরও আমি বলব গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পরপর অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন- ‘সরকারি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আমি চাই।’ আমি আজকে বলব, এখন তো আর সরকার নেই। এখনকার সরকার নির্বাচন কমিশন। তাদের যেন বোধদয় হয়, ইচ্ছা স্বাধীন যখন যা খুশি তাই করবার চেষ্টা না করেন। গতবারের মতো ভোটারবিহীন ভোট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের। তারচেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমার বোন শেখ হাসিনার। সেজন্য কোন দল নির্বাচনে এলো, কোন দল এলো না, এটা বিবেচনা না; যাতে সমস্ত ভোটার ঈদ, পূজার উৎসাহ নিয়ে তার ইচ্ছামতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন- এ ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও আমার বোনকে বলব আপনার শয়তানগুলোকে গলায় পাড়া দেন। গরুকে যেমন পাগা (টোপা) দিতে হয়, যাতে খেত না খায়। আপনার কিছু দুষ্ট লোক আছে তাদেরও পাগা দেন। তা না হলে আপনার সমস্ত সম্মান ধ্বংস হয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আসলে নির্বাচন হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আমরা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটই করি, তাহলে নির্বাচন করব কার সঙ্গে। বিএনপি নির্বাচনে নাই, জাতীয় পার্টি টানাটানি করছে, আমরা যদি জোট বাঁধি মানুষ ভোট দেবে কাকে। ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না। আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী নাও দিতে পারি। আমরা এত বড় দল না; কিন্তু আমরা অসংখ্য আসনে প্রার্থী দেব। আমরা অন্য দলের প্রার্থীদেরও গামছা মার্কা উপহার দেব।