ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্চিত

,বাঁশখালী চট্টগ্রাম।
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৩:৫২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৪৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত ননী মাশি নামে এক আয়া (ক্লিনার) টয়লেটের কমেট থেকে পরিত্যক্ত ডায়াপার (প্যাম্পার্স) এনে মেডিকেলের ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়াতে দূর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে রোগী নিয়ে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়লো অভিভাবকরা। দীর্ঘ ২ ঘন্টা যাবৎ ওয়ার্ডে ঢুকতে পারেননি মর্মে অভিযোগ করেন রোগীর অভিভাবকরা।

৭ অক্টোবর (শনিবার) সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটেছে। টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত ডায়াপার (প্যাম্পার্স) এনে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীরদের ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়াতে দুর্গন্ধ সহ্যকরতে না পেরে মুমূর্ষু শিশু রোগীদের নিয়ে ওই ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়েন অভিভাবকরা। দীর্ঘ ২ ঘন্টা যাবৎ মুমূর্ষু শিশু রোগীদের নিয়ে ওয়ার্ডের বাহিরে অপেক্ষা করলেও পরিস্কার করেননি হাসপাতাল কতৃপক্ষ। পরে রোগীর এক অভিভাবক ১’শ টাকা দেয়ার পর পরিস্কার করলো ওই আয়া।

অভিযোগ পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ডা. অশুং সাহা এক সাংবাদিকের প্রেসকার্ড ছিনতাই করে।দৈনিক সকালের সময় প্রতিবেদক মোঃ দিদার হোসাইন এবং চ্যানেল এস ও দৈনিক জনবাণী প্রতিবেদক মোঃ এরশাদ হাসপাতালে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করাকালে হঠাৎ সাংবাদিকদের উপর উত্তেজিত হয়ে পড়ে হাসপাতালের কর্মরত অড়ং অফিসার ডাঃ অশুং সাহা নামে এক ডাক্তার।

এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে ওই ডাক্তার বলেন, আপনাদেরকে এখানে ঢুকার পারমেশন দিয়েছে কে?পারমিশন নিছেন? কার্ড দেখান, এইসব কথা বলতে বলতে তার হাতে থাকা মোবাইল দ্বারা উল্টো সাংবাদিকদের ভিডিও করতে থাকেন ঐ ডাক্তার, একপর্যায়ে এক সাংবাদিকের হাত থেকে প্রেস কার্ডও ছিনিয়ে নেন ওই ডাক্তার।কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে হাসপাতালের স্টাফদের লক্ষ্য করে বলে উঠেন, “অই তোমরা কোথায়? সবাই এসো এদেরকে ধরো, এরা পারমিশন ছাড়া হাসপাতালে ভিডিও করতেছে,এদেরকে ধরো। তার এমন দাম্ভিক আচরণ যেনো বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে চলছে তার একক আধিপত্য। হাসপাতালে অনিয়ম ও রোগীদের হয়রানি করলেও দেখার কেউ নেই।রোগীর অভিভাবকরা বলেন,হাসপাতালের নার্স এবং ক্লিনারদের খারাপ ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে চিকিৎসা না নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে রোগী নিয়ে চলে যাচ্ছেন তাঁরা।চিকিৎসারত শিশু রোগী মোঃ আনাস এর মা মনোয়ারা বেগম, রোগী মালিহা’র বাবা মোঃ মঈনুদ্দিনসহ অন্তত ২০ রোগীর অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানান যায়, অসুস্থ বাচ্চাদের নিয়ে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে এসে নার্স এবং স্টাফদের হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তাঁরা। টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত ডায়াপার (পেম্পাস) এনে ওয়ার্ডের ফ্লোরে ছিটিয়ে দেয়াতে দুর্গন্ধ সহ্যকরতে না পেরে মুমূর্ষু শিশুদের নিয়ে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়েছিল সবাই, হাসপাতাল কতৃপক্ষকে বার বার অবহিত করলেও কোন কর্ণপাত করেননি তারা। পেম্পাস ছিটিয়ে রাখার একটি ভিডিও চিত্র সাংবাদিকদের কাছে দেন রোগীর অভিভাবকরা।এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ শফিউর রহমান মজুমদার হাসপাতালে দায়িত্বরত স্টাফদের তাঁর কক্ষে ডেকে এনে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে ঘটনার সত্যতা শিকার করেন স্টাফরা। পরিত্যক্ত ডায়াপার (পেম্পাস) টয়লেটের কমেড থেকে এনে ওয়ার্ডে ছিটিয়ে রাখার সাথে জড়িত কে বা কারা এবং ঘটনার মুলহোতাদের খোঁজে বের করা হবে এবং তাদের বেতন বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।অভিযুক্ত আইয়া ননী মাশি ওই কর্মকর্তার সামনে বিষয়টি শিকার করে বলেন, রোগীদের পরিত্যক্ত ডায়াপার প্যাম্পার্স
গুলো টয়লেটে না রাখার জন্যে বললেও তারা টয়লেটে ফেলে আসে প্যাম্পার্স। তাই রাগ করে তাদের ওয়ার্ডের ফ্লোরে ওই প্যাম্পার্স ছিটিয়ে দিয়েছি।
এইসব ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলেও কোন ভাবেই মেনে নিতে রাজি নন অভিযুক্ত আড়ং অফিসার ডাঃ অশুং সাহা। কথা চলাকালে আবারও উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যতো পারেন নিউজ করেনগা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমি ডাক্তারি করেছি,সাংবাদিকরা নিউজ করে কি করতে পারবে সেটাও আমার জানা আছে।এইসব কথা বলে সাংবাদিকদের উল্টো হুমকি দেন ওই ডাক্তার।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,তথ্য সংগ্রহ করতে হলে হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে গণমাধ্যম কর্মীর কাছ থেকে কার্ড ছিনিয়ে নেয়া অন্যায়।কার্ড কে ছিনিয়ে নিয়েছে তা আপনারা বিস্তারিত উল্লেখ করে লিখি অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রামের বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্চিত

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩:৫২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত ননী মাশি নামে এক আয়া (ক্লিনার) টয়লেটের কমেট থেকে পরিত্যক্ত ডায়াপার (প্যাম্পার্স) এনে মেডিকেলের ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়াতে দূর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে রোগী নিয়ে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়লো অভিভাবকরা। দীর্ঘ ২ ঘন্টা যাবৎ ওয়ার্ডে ঢুকতে পারেননি মর্মে অভিযোগ করেন রোগীর অভিভাবকরা।

৭ অক্টোবর (শনিবার) সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটেছে। টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত ডায়াপার (প্যাম্পার্স) এনে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীরদের ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়াতে দুর্গন্ধ সহ্যকরতে না পেরে মুমূর্ষু শিশু রোগীদের নিয়ে ওই ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়েন অভিভাবকরা। দীর্ঘ ২ ঘন্টা যাবৎ মুমূর্ষু শিশু রোগীদের নিয়ে ওয়ার্ডের বাহিরে অপেক্ষা করলেও পরিস্কার করেননি হাসপাতাল কতৃপক্ষ। পরে রোগীর এক অভিভাবক ১’শ টাকা দেয়ার পর পরিস্কার করলো ওই আয়া।

অভিযোগ পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ডা. অশুং সাহা এক সাংবাদিকের প্রেসকার্ড ছিনতাই করে।দৈনিক সকালের সময় প্রতিবেদক মোঃ দিদার হোসাইন এবং চ্যানেল এস ও দৈনিক জনবাণী প্রতিবেদক মোঃ এরশাদ হাসপাতালে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করাকালে হঠাৎ সাংবাদিকদের উপর উত্তেজিত হয়ে পড়ে হাসপাতালের কর্মরত অড়ং অফিসার ডাঃ অশুং সাহা নামে এক ডাক্তার।

এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে ওই ডাক্তার বলেন, আপনাদেরকে এখানে ঢুকার পারমেশন দিয়েছে কে?পারমিশন নিছেন? কার্ড দেখান, এইসব কথা বলতে বলতে তার হাতে থাকা মোবাইল দ্বারা উল্টো সাংবাদিকদের ভিডিও করতে থাকেন ঐ ডাক্তার, একপর্যায়ে এক সাংবাদিকের হাত থেকে প্রেস কার্ডও ছিনিয়ে নেন ওই ডাক্তার।কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে হাসপাতালের স্টাফদের লক্ষ্য করে বলে উঠেন, “অই তোমরা কোথায়? সবাই এসো এদেরকে ধরো, এরা পারমিশন ছাড়া হাসপাতালে ভিডিও করতেছে,এদেরকে ধরো। তার এমন দাম্ভিক আচরণ যেনো বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে চলছে তার একক আধিপত্য। হাসপাতালে অনিয়ম ও রোগীদের হয়রানি করলেও দেখার কেউ নেই।রোগীর অভিভাবকরা বলেন,হাসপাতালের নার্স এবং ক্লিনারদের খারাপ ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে চিকিৎসা না নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে রোগী নিয়ে চলে যাচ্ছেন তাঁরা।চিকিৎসারত শিশু রোগী মোঃ আনাস এর মা মনোয়ারা বেগম, রোগী মালিহা’র বাবা মোঃ মঈনুদ্দিনসহ অন্তত ২০ রোগীর অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানান যায়, অসুস্থ বাচ্চাদের নিয়ে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে এসে নার্স এবং স্টাফদের হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তাঁরা। টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত ডায়াপার (পেম্পাস) এনে ওয়ার্ডের ফ্লোরে ছিটিয়ে দেয়াতে দুর্গন্ধ সহ্যকরতে না পেরে মুমূর্ষু শিশুদের নিয়ে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়েছিল সবাই, হাসপাতাল কতৃপক্ষকে বার বার অবহিত করলেও কোন কর্ণপাত করেননি তারা। পেম্পাস ছিটিয়ে রাখার একটি ভিডিও চিত্র সাংবাদিকদের কাছে দেন রোগীর অভিভাবকরা।এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ শফিউর রহমান মজুমদার হাসপাতালে দায়িত্বরত স্টাফদের তাঁর কক্ষে ডেকে এনে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে ঘটনার সত্যতা শিকার করেন স্টাফরা। পরিত্যক্ত ডায়াপার (পেম্পাস) টয়লেটের কমেড থেকে এনে ওয়ার্ডে ছিটিয়ে রাখার সাথে জড়িত কে বা কারা এবং ঘটনার মুলহোতাদের খোঁজে বের করা হবে এবং তাদের বেতন বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।অভিযুক্ত আইয়া ননী মাশি ওই কর্মকর্তার সামনে বিষয়টি শিকার করে বলেন, রোগীদের পরিত্যক্ত ডায়াপার প্যাম্পার্স
গুলো টয়লেটে না রাখার জন্যে বললেও তারা টয়লেটে ফেলে আসে প্যাম্পার্স। তাই রাগ করে তাদের ওয়ার্ডের ফ্লোরে ওই প্যাম্পার্স ছিটিয়ে দিয়েছি।
এইসব ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলেও কোন ভাবেই মেনে নিতে রাজি নন অভিযুক্ত আড়ং অফিসার ডাঃ অশুং সাহা। কথা চলাকালে আবারও উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যতো পারেন নিউজ করেনগা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমি ডাক্তারি করেছি,সাংবাদিকরা নিউজ করে কি করতে পারবে সেটাও আমার জানা আছে।এইসব কথা বলে সাংবাদিকদের উল্টো হুমকি দেন ওই ডাক্তার।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,তথ্য সংগ্রহ করতে হলে হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে গণমাধ্যম কর্মীর কাছ থেকে কার্ড ছিনিয়ে নেয়া অন্যায়।কার্ড কে ছিনিয়ে নিয়েছে তা আপনারা বিস্তারিত উল্লেখ করে লিখি অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।