কক্সবাজার থেকে তেতুলিয়া ভ্রমণ রিক্সাযোগে
- আপডেট টাইম : ০৯:২৬:২৮ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১
- / ৩৪৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রতিনিধি,।।
০৩মার্চ বুধবার দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার হাসপাতাল মোড় (কলাবাগান) নামক স্থানে হটাৎ চোখে পড়ে একটি রিক্সা, রিক্সাটির বিভিন্ন প্রকার ব্যানার ও পোস্টারে মোড়ানো। রিক্সাটির উপর ফুলদিয়ে সাজানো একটি নৌকা এবং তার উপর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। রিক্সা চালকের শরিরের পোশাকে বাংলাদেশ নিয়ে ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন প্রকার ছন্দ ও কবিতা লেখা।
কৌতুহলবসত উক্ত রিক্সার চালককে ডেকে নিয়ে পাশে বসায়ে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নাম শুক্কুর বাঙালী, বাড়ি কক্সবাজার। তিনি আরো বলেন তিনি নাকি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের শরনার্থী। তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ২৮শে জানুয়ারী তিনি কক্সবাজার থেকে পায়ে চালিত রিক্সাযোগে রওনা দিয়েছেন তার গন্তব্য তেতুলিয়া। তিনি তেতুলিয়া পৌঁছার পর সেখানে দু এক দিন অবস্থান করে আবার দেশের উত্তর পুর্ব জেলাগুলো দিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন।
বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্তর প্রান্তে রিক্সাযোগে এই দীর্ঘ ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শুক্কুর বাঙালী বলেন, ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্টে মহান বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর দেশে অনেক সরকার এসেছে অনেক বিচারপতি এসেছে অনেক এমপি মন্ত্রী এসেছে ও পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু বাঙালী জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে কতটুকু। এবং তিনি আরো বলেন কোন সরকারের আমলে দেশের মানুষের জীবন জীবিকার উন্নয়ন হয়েছে কতটুকু এটা দেখা ও জানাই আমার কৌতুহল।
তার রিক্সাটিতে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় ৪ নেতা এবং তৎকালীন সময়ের নির্যাতিতো ও নিহত অনেক নেতানেতৃর ছবি ও তাদের উক্তি সম্বলিত বেশকিছু ব্যানার পোস্টারে আচ্ছাদিত করা আছে।
তার ডান পায়ে একটি বড় কাটার দাগ দেখতে পেয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামাত বিএনপি সরকারের আমলে মিছিল করতে গিয়ে জামাতের ক্যাডারবাহিনী আমার পায়ে কোপদিয়ে কেটে দেয়।
এই দীর্ঘ ভ্রমণে দেশের কোনো নেতা নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শুক্কুর বাঙালী বলেন, রাস্তায় চলারপথে অনেক এমপি, দলিয় চেয়ারম্যান সহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তারা অনেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন এবং অনেক কথাও বলেছেন।
সর্বশেষ শুক্কুর বাঙালীকে কিছু খাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তিনি খাইতে অস্বীকার করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগের যে নেতা কর্মীরা জেল, জুলুম, অত্যাচার,নির্যাতন শয্য করে দলকে সংগঠিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ক্ষমতায় এনেছে তারা আজও অবহেলিত ও নির্যাতিত। ৭৫ পরবর্তীতে যারা জিয়া,এরশাদ, খালেদা জিয়া সরকারের আমলে সুবিধা ভোগ করেছে বর্তমান সরকারের আমলে ঠিক ঐ ব্যক্তিরাই আবারো নিজের চরিত্র পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের হাইব্রিড প্রকৃতির নেতাদের ছত্রছায়ায় সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান নিয়েছে। আর দলের সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত নেতাকর্মীদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।।
দিনাজপুর।
দৈনিক সময়ের কন্ঠ ও দৈনিক ভোরের ধ্বনি।