ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রায়পুরের শিশুরা উপহার পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ০২:৪২:৪৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৪৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সরকারি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন শিশুপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পৌরসভা সংলগ্ন চরপাতা ইউনিয়নের শিংয়ের পুল এলাকায় রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের খাল পাড়ে পাড়ে প্রায় ৩ একর জমির উপর শিশু পার্কটি তৈরি করছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে স্থানীয় সাংসদ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম শিশুদের বিনোদনকে সামনে রেখে জন্য রায়পুরে একটি শিশু পার্ক নির্মাণ করায় দারুন খুশি স্থানীয় জনসাধারণ ও শিশু কিশোররা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চরপাতা ইউনিয়নের চরপাতা গ্রামের প্রায় সাড়ে ৫ একর সরকারি জায়গা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজন অবৈধভাবে দখলপূর্বক ভোগ করে আসছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন দাশ গত বছর যোগদান করেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইকবালকে সাথে নিয়ে ওই জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন সেখানে শিশুদের জন্য একটি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে নির্মাণাধীন এই পার্কের নাম রাখা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক। চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলার সামগ্রী স্থাপন করা হয় দ্রুততম  সময়ের মধ্যে। বর্তমানে পার্কটিতে শিশুদের দোলনা-সহ বসার অনেকগুলো নান্দনিক বেঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পার্কের শতভাগ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন সবুজ সেনা ঘেলাঘর আসরের সভাপতি প্রদীপ রায় বলেন, ড়শিশুদের  জন্য পার্ক নির্মানের জন্য আমরা দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছিলাম। আমার শিশুদের বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরী করতে প্রশাসনের উদ্যোগটি অভিন্দনযোগ্য।

সাংবাদিক সংস্কৃতজন শংকর মজুমদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তসহ সংশিষ্ট বসার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন শিশুরা যেন নামমাত্র মূল্যে পার্কে অবাধ প্রবেশাধিকার পায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
স্থানীয় শরিফ হোসেন, ফকরুল আলম, কাউছারসহ ১০ এলাকাবাসী জানান, রায়পুরে শিশুদের বিনোদনের জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় শিশুরা অনেকটা ঘরবন্দি ছিল। এই শিশু পার্কটি নির্মাণ হলে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা হবে। তাছাড়াও অবসর সময়ে পার্কে গেলে সব বয়সীদের কান্তি দূর হবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ মামুন বলেন, রায়পুরে শিশু কিশোরদের বিনোদনের কোনো সু-ব্যবস্থা নেই, দীর্ঘদিন পরে হলে ও আমাদের ইউনিয়নে একটি শিশু পার্ক নির্মাণ হচ্ছে জেনে আনন্দিত। পার্কটি নির্মানের আনন্দে মাঝে মধ্যে আমি নিজেই গিয়ে পার্কের কিছু কাজে সহযোগিতা করে আসছি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইকবাল বলেন, রায়পুরে শিশুদের জন্য কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই। দীর্ঘ বছর জায়গাটি বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে ছিল। পরে অভিযান চালিয়ে জায়গাটি উদ্ধার করে পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত সময়ে এই শিশু পার্কের কাজ শেষ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনমদিন সামনে রেখেই আমরা কাজটি মানসম্পন্নভারে শেষ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উন্মুক্ত হবে এই দৃষ্টিনন্দন শিশু পার্ক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্জন দাশ বলেন, আপাতত কিছু খেলার সামগ্রী বসানো হচ্ছে। এখানে আরও খেলার সামগ্রী বসানো হবে। শিশুদের চড়ার জন্য ছোট বড় বেশ কয়েকটি রাইড স্থাপন করা হয়েছে এ পার্কে। এর ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক হবে। দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর জন্য পার্কের বাইরে ও ভেতরের কাজ যত্ন করে তদারক করেছি আমরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রায়পুরের শিশুরা উপহার পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক

আপডেট টাইম : ০২:৪২:৪৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সরকারি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন শিশুপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পৌরসভা সংলগ্ন চরপাতা ইউনিয়নের শিংয়ের পুল এলাকায় রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের খাল পাড়ে পাড়ে প্রায় ৩ একর জমির উপর শিশু পার্কটি তৈরি করছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে স্থানীয় সাংসদ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম শিশুদের বিনোদনকে সামনে রেখে জন্য রায়পুরে একটি শিশু পার্ক নির্মাণ করায় দারুন খুশি স্থানীয় জনসাধারণ ও শিশু কিশোররা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চরপাতা ইউনিয়নের চরপাতা গ্রামের প্রায় সাড়ে ৫ একর সরকারি জায়গা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজন অবৈধভাবে দখলপূর্বক ভোগ করে আসছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন দাশ গত বছর যোগদান করেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইকবালকে সাথে নিয়ে ওই জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন সেখানে শিশুদের জন্য একটি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে নির্মাণাধীন এই পার্কের নাম রাখা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক। চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলার সামগ্রী স্থাপন করা হয় দ্রুততম  সময়ের মধ্যে। বর্তমানে পার্কটিতে শিশুদের দোলনা-সহ বসার অনেকগুলো নান্দনিক বেঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পার্কের শতভাগ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন সবুজ সেনা ঘেলাঘর আসরের সভাপতি প্রদীপ রায় বলেন, ড়শিশুদের  জন্য পার্ক নির্মানের জন্য আমরা দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছিলাম। আমার শিশুদের বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরী করতে প্রশাসনের উদ্যোগটি অভিন্দনযোগ্য।

সাংবাদিক সংস্কৃতজন শংকর মজুমদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তসহ সংশিষ্ট বসার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন শিশুরা যেন নামমাত্র মূল্যে পার্কে অবাধ প্রবেশাধিকার পায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
স্থানীয় শরিফ হোসেন, ফকরুল আলম, কাউছারসহ ১০ এলাকাবাসী জানান, রায়পুরে শিশুদের বিনোদনের জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় শিশুরা অনেকটা ঘরবন্দি ছিল। এই শিশু পার্কটি নির্মাণ হলে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা হবে। তাছাড়াও অবসর সময়ে পার্কে গেলে সব বয়সীদের কান্তি দূর হবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ মামুন বলেন, রায়পুরে শিশু কিশোরদের বিনোদনের কোনো সু-ব্যবস্থা নেই, দীর্ঘদিন পরে হলে ও আমাদের ইউনিয়নে একটি শিশু পার্ক নির্মাণ হচ্ছে জেনে আনন্দিত। পার্কটি নির্মানের আনন্দে মাঝে মধ্যে আমি নিজেই গিয়ে পার্কের কিছু কাজে সহযোগিতা করে আসছি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইকবাল বলেন, রায়পুরে শিশুদের জন্য কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই। দীর্ঘ বছর জায়গাটি বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে ছিল। পরে অভিযান চালিয়ে জায়গাটি উদ্ধার করে পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত সময়ে এই শিশু পার্কের কাজ শেষ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনমদিন সামনে রেখেই আমরা কাজটি মানসম্পন্নভারে শেষ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উন্মুক্ত হবে এই দৃষ্টিনন্দন শিশু পার্ক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্জন দাশ বলেন, আপাতত কিছু খেলার সামগ্রী বসানো হচ্ছে। এখানে আরও খেলার সামগ্রী বসানো হবে। শিশুদের চড়ার জন্য ছোট বড় বেশ কয়েকটি রাইড স্থাপন করা হয়েছে এ পার্কে। এর ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক হবে। দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর জন্য পার্কের বাইরে ও ভেতরের কাজ যত্ন করে তদারক করেছি আমরা।