টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা খান বাহাদুর এর বিরুদ্ধে কামুটিয়া গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসার ওয়াকফ জমি বিক্রি ও বিক্রিকৃত অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ১৫৯২শতাংশ বিক্রিত জমির অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে । সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খান বাহাদুর কর্তৃক বাথুলী সাদী মৌজার ৮৯শতাংশ জমি তবল মির্জার নিকট হস্তান্তর করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। কাশিল মৌজার ৬৫৫শতাংশ জমি লিজপ্রদানের অর্থ আত্মসাৎ, বাহাতৈর গ্রামের মৌজার যথাক্রমে ২২শতাংশ, ৪৮শতাংশ জমি বিক্রি ও বাহাতৈর গ্রামের ২৯৫শতাংশ জমি সংক্রান্ত অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
কাশিল বটতলা ৯২শতাংশ জমি রাস্তার সংলগ্ন এলাকায় মসজিদ প্রাঙ্গন ৫২লাখ টাকায় বিক্রি, বাহাতৈর গ্রামে কাশিল চায়না ফিট ফ্যাক্টরির কাছে ২২.৪৮শতাংশ জমি ৭৩লাখ টাকা বিক্রি করেছে।
মসজিদ মাঠ দখল করে ভবন নির্মাণ করেছে।
কামুটিয়া গ্রামে মাদ্রাসা সরায়ে নদী পাড়ে জমিতে খান বাহাদুরের ডাক বাংলো তুলেছে মাদ্রাসার জায়গায়।
মাদ্রাসার ওয়াকফ জমি জোরপূর্বক পুকুর কেটে
মাটি বিক্রি করেছে ৩লাখ টাকা। বর্তমানে টাকা ও জমি ফেরত দিচ্ছে না।
প্রতি বছর এতিম ছাত্রদের জন্য সমাজ সেবা অধিদপ্তর হতে ক্যাপিটিশন হতে প্রাপ্ত ২লাখ ৪০হাজার টাকা
কোনো কাজ করে না।
নাজমুল হুদা খান বাহাদুর আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা সেজে তার অপকর্ম অদ্যাবধি চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্যাপিটিশন এর টাকার কোনো খাতাপত্র হিসাব ক্যাসিয়ার ও সেক্রেটারি মিলে ১০/১৫লাখ টাকার কোনো হদিস নেই। সেক্রেটারি লালজু মিয়াকে মাদ্রাসার
২০হাজার টাকা হাওলাদ দেওয়া হয়েছে।
সে টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।
বাৎসরিক সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ৬৫হাজার টাকা মাদ্রাসা নির্মান কাজের জন্য দিয়েছিল, সে টাকার চেক
ক্যাসিয়ার আবু সাইদের নিকট হতে জোরপূর্বক নিয়ে নিছে।
এতিম মাদ্রাসার জন্য সরকারি ১টন করে চাউল দিয়েছিল, সেই চাউল বিক্রি করে টাকা দিয়েছে ৭৫হাজার এবং সে টাকার হিসাব দেয় নাই।
প্রতি বৎসর বাৎসরিক সভায় এলাকাবাসী মাদ্রাসায় দান করে, সভা শেষে খান বাহাদুর বলে ক্ষতি গেছে।
থানা পর্যায়ে চেয়ারম্যান, এমপিদের সভায় দাওয়াত কার্ড দেয়, সেই কার্ডধারী লোকদের কথা বলে টাকা বাকী রেখেছে দেয়নি, মাদ্রাসা বিল্ডিং করার সময় দেবে।
মসজিদে আযান দেওয়ার মাইক-সরঞ্জামাদি ও মুয়াজ্জিন এর বেতন খরচ বাবদ জনৈক ব্যক্তি ৩২শতাংশ জায়গা ওয়াকফ করে দিয়েছিল, সেই জায়গায় পুকুর কেটে ৩লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছে। কিন্তু কোনো টাকা মাদ্রাসা-মসজিদ ফান্ডে জমা দেয় নাই। মাছ বিক্রি করে প্রতি বছর ৩০হাজার টাকাও খান বাহাদুর এর দখলে।
বাথুলী সাদী বাজার সংলগ্ন ৮৬শতাংশ জমির ৪৩শতাংশ পাপ্পুর নিকট বিক্রি করেছে, বাকী ৪৩শতাংশ লিজ দিয়েছে, এই লিজের ২লাখ ২০হাজার টাকা খান বাহাদুর নিজে আত্মসাৎ করেছে।
৪৩শতাংশ বিক্রি বাবদ টাকা পেয়েছে ২৩লাখ। তার কোনো হদিস নেই।
বাথুলী সাদী তবল মির্জার নিকট ৮২শতাংশ জমির ধান প্রতি বছর তিনি নিজে ভক্ষণ করে।
কাশিল মৌজায় জজ বাড়ির উত্তর পাশে চায়না বিদ্যুৎ টাওয়ার পড়েছে, ওই খানে ৩লাখ ৫০হাজার টাকা।
কামুটিয়া ইট ভাটায় সুদি করে টাকা লাগিয়েছিল ৩লাখ, ইট এনে নিজের কাজ করেছে।
দেওয়ান ইন্নছ কামুটিয়াতে মাদ্রাসা কাজের জন্য একটন রড ও এক গাড়ি ইট দিয়েছিল, সেগুলোর কোনো হদিস নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খান বাহাদুর একজন বড় মাপের আত্মসাৎকারী। মসজিদ-মাদ্রাসার টাকা নয়-ছয় ও আত্মসাৎ করে দীর্ঘ দিন যাবত বহাল তবিয়তে রয়েছে।
প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না।
এর মধ্যে যারা প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে আওয়ামী লীগ আমলে নানা মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়েছে।
এর প্রতিকার হওয়া জরুরি।
প্রিন্ট