ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

যুক্তরাজ্যের সুপ্রীম কোর্ট: সামীমা বেগম যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন না

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৪:৪৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • / ২৮৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।।
লন্ডন থেকে কিশোর বয়সে পালিয়ে সিরিয়া গিয়ে জঙ্গিদল ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া শামীমা বেগমকে যুক্তরাজ্য ফিরতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে লন্ডনরে সুপ্রীম কোর্ট। শুক্রবার এ রায় দেওয়া হয় বলে জানায় বিবিসি।

সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া ওই রায়ে বলা হয়, শামীমাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি না দেওয়া তার অধিকারের লঙ্ঘন নয়।

আইএসে যোগ দিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পূর্ব লন্ডনের আরো দুই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সিরিয়া পালিয়ে যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা। পরে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করে। যার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়তে দেশে ফেরার আবেদন করেছিলেন শামীমা।

২১ বছরের শামীমা এখন উত্তর সিরিয়ায় সশস্ত্র রক্ষীদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি শরণার্থী শিবিরে আছেন। সিরিয়ায় আইএস উৎখাত অভিযানে আশ্রয় হারিয়ে শামীমার এই শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই হয়। ২০১৯ সালে সেখানে প্রথম তার খোঁজ মেলে। সেখানে তার একটি সন্তানও হয়েছিল, যে পরে মারা যায়। তখন থেকেই শামীমা দেশে ফেরার আবেদন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে ওই সময়ের যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামীমার দেশে ফেরায় বাধা দেন। শামীমার দেশে ফেরার পথ চিরতরে বন্ধ করতে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্বও কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর শামীমা তার আইনজীবীর মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন।

শামীমার আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, ব্রিটিশ সরকার `অবৈধভাবে’ তাকে রাষ্ট্রহীন করেছে এবং তার জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাছাড়া, যুক্তরাজ্যে ফিরতে না পারলে শামীমার পক্ষে আইনি লড়াইও ঠিকমত চালানো সম্ভব নয়। কারণ, সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে শামীমা তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে কিংবা ভিডিও কলের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না।

গত বছরের জুলাইয়ে আপিল আদালত তাদের রায়ে জানায়, শামীমাকে সুষ্ঠু নানি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, সিরিয়ার ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় তার পক্ষে আইনি লড়াই চালানো সম্ভব নয়। এ কারণেই তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেওয়া উচিত।

যুক্তরাজ্য সরকার পরে সুপ্রীম কোর্টকে আপিল আদালতের ওই রায় পুনর্বিবেচনা করতে বলে। শুক্রবার তার রায় এলো। শুক্রবার সুপ্রীম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লর্ড রিড বলেন, সরকারের শামীমা বেগমকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে বাধা দেওয়ার পূর্ণ অধিকার আছে। তিনি বলেন, সুপ্রীম কোর্ট সর্বসম্মতিক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব আপিল গ্রহণ করছে এবং শামীমা বেগমের ক্রস-আপিল বাতিল করছে।

শামীমার বিষয়ে আপিল আদালত ভুল রায় দিয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মামলার বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মত দেন লর্ড রিড।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাজ্যের সুপ্রীম কোর্ট: সামীমা বেগম যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন না

আপডেট টাইম : ০৪:৩৪:৪৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।।
লন্ডন থেকে কিশোর বয়সে পালিয়ে সিরিয়া গিয়ে জঙ্গিদল ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া শামীমা বেগমকে যুক্তরাজ্য ফিরতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে লন্ডনরে সুপ্রীম কোর্ট। শুক্রবার এ রায় দেওয়া হয় বলে জানায় বিবিসি।

সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া ওই রায়ে বলা হয়, শামীমাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি না দেওয়া তার অধিকারের লঙ্ঘন নয়।

আইএসে যোগ দিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পূর্ব লন্ডনের আরো দুই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সিরিয়া পালিয়ে যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা। পরে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করে। যার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়তে দেশে ফেরার আবেদন করেছিলেন শামীমা।

২১ বছরের শামীমা এখন উত্তর সিরিয়ায় সশস্ত্র রক্ষীদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি শরণার্থী শিবিরে আছেন। সিরিয়ায় আইএস উৎখাত অভিযানে আশ্রয় হারিয়ে শামীমার এই শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই হয়। ২০১৯ সালে সেখানে প্রথম তার খোঁজ মেলে। সেখানে তার একটি সন্তানও হয়েছিল, যে পরে মারা যায়। তখন থেকেই শামীমা দেশে ফেরার আবেদন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে ওই সময়ের যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামীমার দেশে ফেরায় বাধা দেন। শামীমার দেশে ফেরার পথ চিরতরে বন্ধ করতে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্বও কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর শামীমা তার আইনজীবীর মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন।

শামীমার আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, ব্রিটিশ সরকার `অবৈধভাবে’ তাকে রাষ্ট্রহীন করেছে এবং তার জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাছাড়া, যুক্তরাজ্যে ফিরতে না পারলে শামীমার পক্ষে আইনি লড়াইও ঠিকমত চালানো সম্ভব নয়। কারণ, সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে শামীমা তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে কিংবা ভিডিও কলের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না।

গত বছরের জুলাইয়ে আপিল আদালত তাদের রায়ে জানায়, শামীমাকে সুষ্ঠু নানি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, সিরিয়ার ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় তার পক্ষে আইনি লড়াই চালানো সম্ভব নয়। এ কারণেই তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেওয়া উচিত।

যুক্তরাজ্য সরকার পরে সুপ্রীম কোর্টকে আপিল আদালতের ওই রায় পুনর্বিবেচনা করতে বলে। শুক্রবার তার রায় এলো। শুক্রবার সুপ্রীম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লর্ড রিড বলেন, সরকারের শামীমা বেগমকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে বাধা দেওয়ার পূর্ণ অধিকার আছে। তিনি বলেন, সুপ্রীম কোর্ট সর্বসম্মতিক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব আপিল গ্রহণ করছে এবং শামীমা বেগমের ক্রস-আপিল বাতিল করছে।

শামীমার বিষয়ে আপিল আদালত ভুল রায় দিয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মামলার বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মত দেন লর্ড রিড।