ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মঠবাড়িয়ায় বাবাকে হ’ত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রে’ফ’তা’র Logo আশুলিয়ার বাইপাইলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গাঁজাসহ ক্রেতা বিক্রেতা ৪ জন আটক! Logo নাসিরনগরে খাবারে বিষ মিশিয়ে ৩৫০০ হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ Logo পিকেএসএফ ভবন-২ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা, সরকারের নিন্দা Logo প্রশাসনে সমন্বয়হীনতায় রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা রাজনৈতিক আনুগত্যের ছায়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ-ক্ষোভ আওয়ামী-জামায়াত বিরোধীরা কোণঠাসা Logo আসুন আমরা হরিণ শিকারী এবং হরিণের মাংস ভক্ষক সকলকে একসাথে বয়কট করি Logo জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহার Logo সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া বাজারে সরকারি জায়গায় ইউঃ পরিষদের মাধ্যমে তৈরি করা পাকা টলসেট দখল করে দোকান ঘর বানাচ্ছে মর্মে স্থানীয় জনসাধারণ এর মাধ্যমে অভিযোগ Logo পিরোজপুর (৩) মঠবাড়ীয়া জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

তিন দশকের লুটের বিচার, নতুন সংবিধান চায় নেপালের তরুণরা

নেপালের ‘জেনারেশন জি’ বিক্ষোভকারীরা যারা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করতে বাধ্য করেছিলেন, তারা এখন একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবি পেশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার এবং গত তিন দশক ধরে রাজনীতিবিদদের দ্বারা লুট করা সম্পদের তদন্তের আহ্বান।

এর পাশাপাশি বিক্ষোভের সময় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সকলকে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার, তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সম্মান, স্বীকৃতি এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করার আহ্বান অজানানো হয়েছে। আন্দোলনের আয়োজকরা বেকারত্ব মোকাবেলা, অভিবাসন রোধ এবং সামাজিক অবিচার মোকাবেলায় বিশেষ কর্মসূচির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির জন্য নয় বরং সমগ্র প্রজন্ম এবং জাতির ভবিষ্যতের জন্য। শান্তি অপরিহার্য, তবে এটি কেবল একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করেই সম্ভব।

আন্দোলনকারীরা আশা প্রকাশ করেছেন, প্রেসিডেন্ট এবং নেপালি সেনাবাহিনী তাদের প্রস্তাবগুলো ইতিবাচকভাবে বাস্তবায়ন করবে।

মূল দাবি
বর্তমান প্রতিনিধি পরিষদের তাৎক্ষণিক বিলুপ্তি, বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন যে এটি জনসাধারণের আস্থা হারিয়েছে, নাগরিক, বিশেষজ্ঞ এবং তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সংবিধান সংশোধন বা সম্পূর্ণ পুনর্লিখন, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের পরে নতুন নির্বাচন পরিচালনা করা, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে সেগুলি স্বাধীন, সুষ্ঠু এবং প্রত্যক্ষ জনসাধারণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে হবে,

সরাসরি নির্বাচিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা

গত তিন দশকে লুট হওয়া সম্পদের তদন্ত, অবৈধ সম্পত্তি জাতীয়করণ করা হবে,

পাঁচটি মৌলিক প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সংস্কার এবং পুনর্গঠন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায়বিচার, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ-

নেপাল জুড়ে সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর, প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি পদত্যাগ এবং দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে বুধবার ভোর থেকেই কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য শহর জুড়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের পতন সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা দেশের সংসদ ভবনে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয়ার জেরে দেশে অস্থির পরিস্থিতি ছিল। সেনাবাহিনী গত রাতে দেশব্যাপী নিরাপত্তা অভিযানের নেতৃত্ব গ্রহণ করে এবং অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডু, ললিতপুর এবং ভক্তপুর শহরসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করে।

এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যারা কঠিন পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে এবং সাধারণ নাগরিক এবং সরকারি সম্পত্তির মারাত্মক ক্ষতি করছে । সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় বাবাকে হ’ত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রে’ফ’তা’র

তিন দশকের লুটের বিচার, নতুন সংবিধান চায় নেপালের তরুণরা

আপডেট সময় ০১:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালের ‘জেনারেশন জি’ বিক্ষোভকারীরা যারা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করতে বাধ্য করেছিলেন, তারা এখন একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবি পেশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার এবং গত তিন দশক ধরে রাজনীতিবিদদের দ্বারা লুট করা সম্পদের তদন্তের আহ্বান।

এর পাশাপাশি বিক্ষোভের সময় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সকলকে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার, তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সম্মান, স্বীকৃতি এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করার আহ্বান অজানানো হয়েছে। আন্দোলনের আয়োজকরা বেকারত্ব মোকাবেলা, অভিবাসন রোধ এবং সামাজিক অবিচার মোকাবেলায় বিশেষ কর্মসূচির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির জন্য নয় বরং সমগ্র প্রজন্ম এবং জাতির ভবিষ্যতের জন্য। শান্তি অপরিহার্য, তবে এটি কেবল একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করেই সম্ভব।

আন্দোলনকারীরা আশা প্রকাশ করেছেন, প্রেসিডেন্ট এবং নেপালি সেনাবাহিনী তাদের প্রস্তাবগুলো ইতিবাচকভাবে বাস্তবায়ন করবে।

মূল দাবি
বর্তমান প্রতিনিধি পরিষদের তাৎক্ষণিক বিলুপ্তি, বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন যে এটি জনসাধারণের আস্থা হারিয়েছে, নাগরিক, বিশেষজ্ঞ এবং তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সংবিধান সংশোধন বা সম্পূর্ণ পুনর্লিখন, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের পরে নতুন নির্বাচন পরিচালনা করা, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে সেগুলি স্বাধীন, সুষ্ঠু এবং প্রত্যক্ষ জনসাধারণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে হবে,

সরাসরি নির্বাচিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা

গত তিন দশকে লুট হওয়া সম্পদের তদন্ত, অবৈধ সম্পত্তি জাতীয়করণ করা হবে,

পাঁচটি মৌলিক প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সংস্কার এবং পুনর্গঠন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায়বিচার, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ-

নেপাল জুড়ে সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর, প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি পদত্যাগ এবং দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে বুধবার ভোর থেকেই কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য শহর জুড়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের পতন সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা দেশের সংসদ ভবনে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয়ার জেরে দেশে অস্থির পরিস্থিতি ছিল। সেনাবাহিনী গত রাতে দেশব্যাপী নিরাপত্তা অভিযানের নেতৃত্ব গ্রহণ করে এবং অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডু, ললিতপুর এবং ভক্তপুর শহরসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করে।

এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যারা কঠিন পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে এবং সাধারণ নাগরিক এবং সরকারি সম্পত্তির মারাত্মক ক্ষতি করছে । সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে


প্রিন্ট