ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উগান্ডা থেকে নিউইয়র্ক—সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানির অভূতপূর্ব উত্থান Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত

তিন দশকের লুটের বিচার, নতুন সংবিধান চায় নেপালের তরুণরা

নেপালের ‘জেনারেশন জি’ বিক্ষোভকারীরা যারা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করতে বাধ্য করেছিলেন, তারা এখন একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবি পেশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার এবং গত তিন দশক ধরে রাজনীতিবিদদের দ্বারা লুট করা সম্পদের তদন্তের আহ্বান।

এর পাশাপাশি বিক্ষোভের সময় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সকলকে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার, তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সম্মান, স্বীকৃতি এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করার আহ্বান অজানানো হয়েছে। আন্দোলনের আয়োজকরা বেকারত্ব মোকাবেলা, অভিবাসন রোধ এবং সামাজিক অবিচার মোকাবেলায় বিশেষ কর্মসূচির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির জন্য নয় বরং সমগ্র প্রজন্ম এবং জাতির ভবিষ্যতের জন্য। শান্তি অপরিহার্য, তবে এটি কেবল একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করেই সম্ভব।

আন্দোলনকারীরা আশা প্রকাশ করেছেন, প্রেসিডেন্ট এবং নেপালি সেনাবাহিনী তাদের প্রস্তাবগুলো ইতিবাচকভাবে বাস্তবায়ন করবে।

মূল দাবি
বর্তমান প্রতিনিধি পরিষদের তাৎক্ষণিক বিলুপ্তি, বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন যে এটি জনসাধারণের আস্থা হারিয়েছে, নাগরিক, বিশেষজ্ঞ এবং তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সংবিধান সংশোধন বা সম্পূর্ণ পুনর্লিখন, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের পরে নতুন নির্বাচন পরিচালনা করা, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে সেগুলি স্বাধীন, সুষ্ঠু এবং প্রত্যক্ষ জনসাধারণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে হবে,

সরাসরি নির্বাচিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা

গত তিন দশকে লুট হওয়া সম্পদের তদন্ত, অবৈধ সম্পত্তি জাতীয়করণ করা হবে,

পাঁচটি মৌলিক প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সংস্কার এবং পুনর্গঠন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায়বিচার, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ-

নেপাল জুড়ে সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর, প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি পদত্যাগ এবং দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে বুধবার ভোর থেকেই কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য শহর জুড়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের পতন সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা দেশের সংসদ ভবনে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয়ার জেরে দেশে অস্থির পরিস্থিতি ছিল। সেনাবাহিনী গত রাতে দেশব্যাপী নিরাপত্তা অভিযানের নেতৃত্ব গ্রহণ করে এবং অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডু, ললিতপুর এবং ভক্তপুর শহরসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করে।

এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যারা কঠিন পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে এবং সাধারণ নাগরিক এবং সরকারি সম্পত্তির মারাত্মক ক্ষতি করছে । সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উগান্ডা থেকে নিউইয়র্ক—সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানির অভূতপূর্ব উত্থান

তিন দশকের লুটের বিচার, নতুন সংবিধান চায় নেপালের তরুণরা

আপডেট সময় ০১:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালের ‘জেনারেশন জি’ বিক্ষোভকারীরা যারা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করতে বাধ্য করেছিলেন, তারা এখন একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবি পেশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার এবং গত তিন দশক ধরে রাজনীতিবিদদের দ্বারা লুট করা সম্পদের তদন্তের আহ্বান।

এর পাশাপাশি বিক্ষোভের সময় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সকলকে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার, তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সম্মান, স্বীকৃতি এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করার আহ্বান অজানানো হয়েছে। আন্দোলনের আয়োজকরা বেকারত্ব মোকাবেলা, অভিবাসন রোধ এবং সামাজিক অবিচার মোকাবেলায় বিশেষ কর্মসূচির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির জন্য নয় বরং সমগ্র প্রজন্ম এবং জাতির ভবিষ্যতের জন্য। শান্তি অপরিহার্য, তবে এটি কেবল একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করেই সম্ভব।

আন্দোলনকারীরা আশা প্রকাশ করেছেন, প্রেসিডেন্ট এবং নেপালি সেনাবাহিনী তাদের প্রস্তাবগুলো ইতিবাচকভাবে বাস্তবায়ন করবে।

মূল দাবি
বর্তমান প্রতিনিধি পরিষদের তাৎক্ষণিক বিলুপ্তি, বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন যে এটি জনসাধারণের আস্থা হারিয়েছে, নাগরিক, বিশেষজ্ঞ এবং তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সংবিধান সংশোধন বা সম্পূর্ণ পুনর্লিখন, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের পরে নতুন নির্বাচন পরিচালনা করা, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে সেগুলি স্বাধীন, সুষ্ঠু এবং প্রত্যক্ষ জনসাধারণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে হবে,

সরাসরি নির্বাচিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা

গত তিন দশকে লুট হওয়া সম্পদের তদন্ত, অবৈধ সম্পত্তি জাতীয়করণ করা হবে,

পাঁচটি মৌলিক প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সংস্কার এবং পুনর্গঠন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায়বিচার, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ-

নেপাল জুড়ে সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর, প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি পদত্যাগ এবং দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে বুধবার ভোর থেকেই কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য শহর জুড়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের পতন সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা দেশের সংসদ ভবনে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয়ার জেরে দেশে অস্থির পরিস্থিতি ছিল। সেনাবাহিনী গত রাতে দেশব্যাপী নিরাপত্তা অভিযানের নেতৃত্ব গ্রহণ করে এবং অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডু, ললিতপুর এবং ভক্তপুর শহরসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করে।

এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যারা কঠিন পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে এবং সাধারণ নাগরিক এবং সরকারি সম্পত্তির মারাত্মক ক্ষতি করছে । সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে


প্রিন্ট