ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

শেরপুরের নকলায় আলী হোসেনের হত্যার মূলহোতা মো. খোকন মিয়া গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১২:০৬:৩০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • / ১১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

২৪ মে, বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল আনুমানিক ভোর ৫ টায় ময়মনসিংহের ফুলপুর থানাধীন পয়ারী গ্রাম থেকে আলী হোসেন হত্যার মূলহোতা মামলার অন্যতম আসামী মো. খোকন মিয়া (২৫), কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব – ১৪। মো. খোকন মিয়া শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চরভাবনা গ্রামের মো. ইদ্রিস আলীর পুত্র।

জানা যায়, জনৈক মো. সেলিম মিয়ার ৫০ শতক জমি আসামী মো. ইদ্রিস আলী গং ওয়ারিশ মূলে দাবী করে আসছেন। এই জমি নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। চলতি বোরো মৌসুমে উক্ত জমি বর্গাচাষী ভিকটিম আলী হোসেন চাষাবাদ করে। আলী হোসেন শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চরবসন্তী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত – নবাব আলীর ছেলে।

বিগত ০৫ মে, শুক্রবার সকাল অনুমান ৬টা ২০মিনিটের সময় বর্গাচাষী আলী হোসেন, তার ছোট ভাই শুক্কুর আলী (৩২) ও ছেলে মো. রাব্বি (২০) সহ তার চাষাবাদকৃত জমিতে ধান কাটতে যায়। ধান কাটার সময় আসামী পক্ষ এসে ধান কাটতে বাঁধা দিলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে, আসামীগন তাদের হাতে থাকা ধারালো দা এবং শুল্কী দিয়ে ভিকটিমের মাথায় ও পেটে আঘাত করলে ভিকটিম গুরুতর জখম হয়। আসামী পক্ষ ভিকটিমের ভাই ও ছেলেকেও গুরুতর জখম করে। সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিম আলী হোসেন (৪৮),কে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ভিকটিমের স্ত্রী মোছা. নাছিমা বেগম (৪২),

বাদী হয়ে মো. খোকন মিয়া সহ ১৯ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামী করে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামী খোকন মিয়াসহ অন্যান্য আসামীগন পলাতক ছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

সিনিয়র সহকারী পরিচালক অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার

মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার না ঘটে সে প্রেক্ষিতে র‌্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে শেরপুর জেলার নকলা থানায় হস্তান্তর করা প্রক্রিয়াধীন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেরপুরের নকলায় আলী হোসেনের হত্যার মূলহোতা মো. খোকন মিয়া গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ১২:০৬:৩০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

২৪ মে, বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল আনুমানিক ভোর ৫ টায় ময়মনসিংহের ফুলপুর থানাধীন পয়ারী গ্রাম থেকে আলী হোসেন হত্যার মূলহোতা মামলার অন্যতম আসামী মো. খোকন মিয়া (২৫), কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব – ১৪। মো. খোকন মিয়া শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চরভাবনা গ্রামের মো. ইদ্রিস আলীর পুত্র।

জানা যায়, জনৈক মো. সেলিম মিয়ার ৫০ শতক জমি আসামী মো. ইদ্রিস আলী গং ওয়ারিশ মূলে দাবী করে আসছেন। এই জমি নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। চলতি বোরো মৌসুমে উক্ত জমি বর্গাচাষী ভিকটিম আলী হোসেন চাষাবাদ করে। আলী হোসেন শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চরবসন্তী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত – নবাব আলীর ছেলে।

বিগত ০৫ মে, শুক্রবার সকাল অনুমান ৬টা ২০মিনিটের সময় বর্গাচাষী আলী হোসেন, তার ছোট ভাই শুক্কুর আলী (৩২) ও ছেলে মো. রাব্বি (২০) সহ তার চাষাবাদকৃত জমিতে ধান কাটতে যায়। ধান কাটার সময় আসামী পক্ষ এসে ধান কাটতে বাঁধা দিলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে, আসামীগন তাদের হাতে থাকা ধারালো দা এবং শুল্কী দিয়ে ভিকটিমের মাথায় ও পেটে আঘাত করলে ভিকটিম গুরুতর জখম হয়। আসামী পক্ষ ভিকটিমের ভাই ও ছেলেকেও গুরুতর জখম করে। সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিম আলী হোসেন (৪৮),কে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ভিকটিমের স্ত্রী মোছা. নাছিমা বেগম (৪২),

বাদী হয়ে মো. খোকন মিয়া সহ ১৯ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামী করে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামী খোকন মিয়াসহ অন্যান্য আসামীগন পলাতক ছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

সিনিয়র সহকারী পরিচালক অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার

মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার না ঘটে সে প্রেক্ষিতে র‌্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে শেরপুর জেলার নকলা থানায় হস্তান্তর করা প্রক্রিয়াধীন।