পিরোজপুরে ১ আসনে ৪ নেতার মধ্যে উন্নয়নে এগিয়ে শ.ম রেজাউল করিম
- আপডেট টাইম : ০২:১৬:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
- / ৪৫১ ৫০০০.০ বার পাঠক
ক্রমাগত রাষ্ট্র পরিবর্তন হলেও পিরোজপুরের বিগত দিনে জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুয়ায়ী তেমন উন্নয়ন স্বাদিত হয়নি। দেশ স্বাধীনের পরে ক্রম্বনয় রাষ্ট্র পরিচালনায় বিভিন্ন রাজনৈতীক দল বার বার সরকার গঠন করেছে তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীত্বের দায়িত্বে নাজিরপুর উপজেলার কৃতি সন্তানরাও ছিলেন। এদের মধ্যে টানা এক নাগারে ৯ বছর সরকারের গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রীও ছিলেন কিন্তু তখন খালে ছিল সাঁকো, যানবহন ছিল মাত্র মাঝির নৌকা।
তবে যিনি ০৯ বছর যাবত মন্ত্রী ছিলেন তিনি হলেন মোস্তফা জামাল হায়দার তিনি সাড়ে ৯ বছর যাবত মন্ত্রীত্বে থাকলেও যতটা জনগণের প্রত্যাশা ছিল ততটা উন্নয়ন সাধিত হয়নি। একই ভাবে সুধাংশু শেখর হালদার সংসদ সদস্য থেকেও বিএনপি সরকারের আমলে বিরোধী আসনে থেকে জনগনের প্রত্যশা পুরন হয়নি। পাশাপশি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ২ বারের মত সংসদ সদস্য হয়ে যতটুুকু উন্নয়ন করেছেন তাও জনগনের প্রত্যশার চেয়ে কম। একই আসনে আওয়ামীলীগ সরকারের সংসদ সদস্য হয়েও একে এম এ আউয়াল দলকে কিছুটা সংগঠিত করলেও পিরোজপুর-১ আসনের অগ্রগতি উন্নয়নে কিছুটা প্রভাব ফেললেও জনগনের প্রত্যশা অনুযায়ী সম্ভব হয়নি। কাজেই অবহেলিত নাজিরপুর,স্বরূপকাঠী ও পিরোজপুরের জনগন দেশের-উন্নয়নের ধারা থেকে একরকম বঞ্চিত ছিলেন। তবে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে পিরোজপুর ১ আসনে অ্যাড শ,ম রেজাউল করিম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রীত্ব লাভ করেই অবহেলিত নাজিরপুর,স্বরূপকাঠী,পিরোজপুরকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে তৈরী করেছেন। তার জন্ম নাজিরপুর উপজেলার তারাবুরিয়া গ্রামে। নাজিরপুরের বিগত নেতাদের তেমন কোন
পরিচিতি না থাকলেও তৃণমূল থেকে বিস্তর পরিচিতি লাভ করেছেন শ.ম রেজাউল করিম।
শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম রোকনুজ্জামান বলেন, জনগণ শ,ম রেজাউল করিমের প্রতি শন্তুষ্ট, আমারা কখনই ভাবতেও পারিনি তিনি আমাদের এ আসনে এতটা উন্নয়ন সাধিত করবেন, উন্নয়নে আমাদের প্রত্যশার অতিক্রম করেছেন তিনি। জনগণ যা চেয়েছে তার অধিক পেয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি এলাকায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ মুক্ত করেছেন কমিশন বানিজ্য বন্ধ করেছেন।
এ আসনে রয়েছে অসংখ্য নদী খাল ও বিলাঞ্চল, ভৌগলিক পরিসংখ্যা অনুযায়ী ৪ থেকে সাড়ে ৪ শত ছোট বড় নদী খাল রয়েছে। সেই বৃটিশ আমল থেকেই এই জনপদটি অবহেলিত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রচন্ড ভঙ্গুল। জনজীবনের যাতায়েত ব্যবস্থা ছিল মাঝি নৌকা তা বর্তমানে এখন কার্পেটিং রাস্তা দিয়ে মানুষ যাতায়ত করছে।
উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ও সার্বিক বিবেচনায় ও মূল্যায়নে পিরোজপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন করিয়েছেন, ইতোমধ্যে উপাচার্য নিয়োগও হয়েছে। পিরোজপুর সদর হাসপাতালকে ২৫০ বেডে উন্নতিকরণ। পিরোজপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের অধিনে হাউজিং স্টেট, পিরোজপুর সদর উপজেলায় বিদ্যুতের গ্রিড/সাবস্টেশন নির্মান, শুধু পিরোজপুর সদর উপজেলায় এলজিইিডি শিক্ষা প্রকৌশল,সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিনে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমানে চলমান এছাড়া নাজিরপুরে ৬ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন বরাদ্দ, নাজিরপুর সদর হাসপাতালকে ১০০ শজ্জ্যায় উন্নতিকরণ, মডেল মসজিদ, ওডিটরিয়াম ভবন, কালিগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধ নির্মান। পিরোজপুরকে অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন, বিসিক শিল্প নগরী স্থাপন এবং টেক্সটাইল কলেজ স্থাপন, আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিস ভবন নির্মাণ, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, অত্যাধুনিক অডিটরিয়াম ও উপজেলা কমপ্লেক্স স্থাপন, স্বরূপকাঠির সন্ধ্যা ও বেলুয়া নদীর উপরে সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন, গোপালগঞ্জ টু স্বরূপকাঠি পর্যন্ত চার লেন বিশিষ্ট রাস্তা একনেক এ অনুমোদন, স্বরূপকাঠি ও শ্রীরামকাঠীতে ২টি ফেরী এবং ইন্দেরহাটে ফায়ারসার্ভিস, টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল কলেজ এবং শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয় স্থাপন, জেলা মডেল মসজিদ নির্সাণসহ অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা এবং মন্দির সংস্কার এবং পুননির্মান, তিন উপজেলায় অসংখ্য ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ এবং নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ, নাজিরপুরে জাতির জনক এর ম্যুরাল ও শহীদ মিনার নির্মাণ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন নতুন ভবন নির্মাণ ও কলেজ ভবন নির্মাণ, শতভাগ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান, শতভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, নাজিরপুরে বাস ষ্ট্যান্ড এবং বাইপাস সড়ক নির্মাণ, তিন উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতিমুক্ত পিরোজপুর গঠন সহ এছাড়াও নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান।