আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ স্কুল এলাকায় কৈগ্রামের সাজ্জাদ হোসেন ( ২১) নিহত

- আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
- / ১৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক
আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় কৈগ্রামের সাজ্জাদ হোসেন ( ২১) নিহত গতকাল রাত ৯টায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ছোটবেলায় মাকে হারায় সে। মা মারা যাওয়ার পর বড় খালা তাকে লালন পালন করে। খালার বাড়ি বৈরাগ ইউপিতে বসবস করে। সম্প্রতি তার বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল। পড়ালেখা করে পাশাপাশি টুকটাক কাজ করে সাজ্জাদ।
গতকাল ( ৮ মে) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সে স্থানীয় একটি মাজারের ওরশে ছিল। সেখান থেকে কাজ আছে বলে মোবাইলে হাদিরপুকুর পাড় মাঝির স্কুলে সামনে ডেকে নিয়ে আসেন এলাকার স্থানীয় আব্দুস সামাদ (৫৫)পিতা- মৃত্যু করম আআলী, মোজাফ্ফর(৩৮) পিতা -মৃত্যু আবুল খায়ের , ইসলাম (২২) মো.রাসেল (২২) পিতা- নুরুল আমিন, মামুনুর রশিদ (৩০) পিতা – আবদু সামাদ, হারুনুর রশিদ (২৫) পিতা-আবদু সামাদ,আবদু সাত্তার (৬৫) করম স
আলী,মিলয় (১৯) পিতা —-,
কিশোর গ্যাং লিডার মো.আবদু সমদ এর নেতৃত্বে
এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
কিছু কাজ আছে বলে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে বিদু্যৎ স্পৃষ্ঠ করে কিংবা শ্বাসরুধ করে সাজ্জাদকে মেরে ফেলা হয় বলে তার মামা শাহজাহান জানান।
সাজ্জাদকে মেরে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে আনোয়ারার কালাবিবির দিঘির একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়, সেখান থেকে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আনোযারা হাসপাতাল থেকে তারা সাজ্জাদকে কারেন্ট ধরেছে মর্মে ফোনে সাজ্জাদের মামিকে জানায়, খবর পেয়ে আনোয়ারা হাসপাতালে ছুটে যান তার মামা শাহজাহান। সেখানে মোজাফফর ছাড়া বাকী যারা ডেকে নিয়ে এসেছেন তারা পালিয়ে যায়।
কৌশলে মামা শাহজাহান মোজাফফরকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটকিয়ে ভাগিনা সাজ্জাদকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এখন লাশ মর্গে আছে। মামা শাহজাহান মোজাফ্ফকে পাচলাইশ থানা পুলিশকে হস্তান্তর করে।
পুলিশ জানায় ঘটনাস্থল যেহেতু আনোয়ারা থানায়, ওখানে মামলা না করলে সন্দেহভাজন মোজাফফরকে বেশিক্ষণ আটকে রাখা যাবে না।
মামা শাহজাহান ভোরে আনোয়ারা পুলিশকে বিষয়টি বলেন, কিন্তু পুলিশ তাকে সহযোগিতা না করে ওল্টো হয়রানি করতে থাকলে সে ৯৯৯ ্ও ফোন করে সাহায্য কামনা করে। তারপরও পুলিশ মামলা নেয়নি। ওদিকে পাচলাইশ পুলিশ সনোদহভাজনকে ছেড়ে দেয়। মামা শাহজাহান মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে এখন লাশ নিয়ে চমেকে আছেন।
মামা শাহজাহান জানায়, পুলিশ মামলা নিলে মোজাফফরকে আটক করা গেলে সব সত্য বেরিয়ে আসতো। আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে ইসলাম, রাসেল, মোজাফফররা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুন করে। যদি সত্যি সত্যি সে বিদুৎ স্পৃষ্ঠ হয়ে মারা যেতো তাহলে সাজ্জাদের বাড়ির লোকজনকে কেন খবর দিল না? সাজ্জাদের বাড়ি আর ঘটনাস্থল নিকটে ।
তারা সাজ্জাদকে সেখানে না নিয়ে, খবর না দিয়ে গোপনে ক্লিনিকে কেন নিয়ে গেল, তাছাড়া সামাদ, ইসলাম ও রাসেল এখনও পলাতক।
তারা সাজ্জাদের মোবাইলও নিয়ে গেছে। আমি লাশ নিয়ে ছুটাছুটির মধ্যেও আনোয়ারা থানায় ভোর থেকে কারও সহযোগিতা পাইনি। আমি আমার ভাগিনার হত্যার বিচার চাই।
পলাতক সামাদ, ইসলাম, রাসেল ও মোজাফফরকে গ্রেফতার করা হলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে।