কিশোরগঞ্জ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদুল ফিতরের জামাত নিরাপদ নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত
- আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩
- / ৩৩৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
লাখো লাখো মুসল্লী অংশগ্রহণে কিশোরগঞ্জ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৬ তম পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।২২ (এপ্রিল )রোজ: শনিবার সকাল ১০.০০টায় উক্ত ঈদগাহে ঈদের জামাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ঈস মাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এ সময় কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে এসেছেন লাখো মুসল্লী।বেশি মুসল্লী একসঙ্গে জামাত আদায় করলে দোয়া কবুল হয় এমন বিশ্বাসে দূর দূরান্তের মুসল্লিদের ঈদগাহে জামাতের জন্য জড়ো হতে থাকেন। ঈদগাহের মাঠে আসার সুবিধার্থে ঈদের দিন সকালে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেন যাতায়াত করে। ঈদের জামাত শেষে মোনাজাত করা হয় এবং মহান আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করা হয়। সেই সাথে দেশ ও মুসলিম উম্মার শান্তি কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল কালাম আজাদ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও পৌর মেয়র পারভেজ মাহমুদ প্রমুখ সহ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুধীজন, ও সাংবাদিক বৃন্দ। জানা যায় যে, ঈদের জামাতে মুসল্লিদের জন্য প্রশাসনের নির্দেশনা থাকায় জামাতে আসার সময় শুধু টুপি ও জায়নামাজ সঙ্গে আনতে দেখা যায়।নামাজের সময় পাঁচ প্লাটুন বিজিপি, বিপুল সংখ্যক পুলিশ,র্যাব,আনসার সদস্যের, সমন্বয়ে নিরাপত্তা ও পাশাপাশি সাদা পোশাকে নজরদারি করা হয়।বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মাঠ প্রবেশের পথ গুলোতে সিসি ক্যামেরা,ওয়াচ টাওয়ার, নিরাপত্তা বলয়ের এর মাধ্যমে মুসল্লিরা নিরাপদ নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে নামাজ আদায় করেন। স্থানীয়দের মতে ১৮২৮ সালে এ মাঠে ঈদের জামাত সোয়া লাখ মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সে থেকে এ মাঠের নাম হয় সোয়া লাখিয়া এরপর ধীরে ধীরে সেই থেকে পরিচিত হয়ে শোলাকিয়া নামে।