ঢাকা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারতের হামলায় ২৬ বেসামরিক নিহত, আহত ৪৬: পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারত-পাকিস্তান সংঘাত, যা বললেন জামায়াত আমির ভারতের সাময়িক আনন্দ স্থায়ী দুঃখে পরিণত হবে: পাকিস্তান পাক-ভারত সংঘাতের মধ্যে সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান আসিফ-হাসনাতের ভারতের হামলার পর তাৎক্ষণিক যেসব পদক্ষেপ নিলো পাকিস্তান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর আকাশে দেখা গেল টর্নেডো নারী যেমন পুরুষকে বুঝবে পুরুষও নারীকে বুঝতে হবে: এতেই শান্তি আসবে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির মুট কোর্ট সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে বললেন ড. ইউনূস বাতিল হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি আইনের ৯টি ধারা ও ৯০ শতাংশ মামলা

মা-বাবাকে হত্যার দায়ে সিলেটে ছেলের মৃ-ত্যুদ-ণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
  • / ২০৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক

মা-বাবাকে হত্যার দায়ে সিলেটে ছেলের মৃ-ত্যুদ-ণ্ড
বাবা-মা হত্যার দায়ে সিলেটে আতিকুর রহমান রাহেলের (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) সকালে সিলেটের দায়রা জজ আদালতে সিনিয়র বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আতিকুর রহমান রাহেল সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুনামপুর গ্রামের আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনার ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিজাম উদ্দিন জানান, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সিলেটের গোলাপগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা আবদুল করিম খান (৬০) ও মা মিনারা বেগম (৪৫) কে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আতিক হোসেন খান ওরফে আতিকুর রহমান রাহেল (৩৫) নামক এক ব্যক্তি।

পরে, তার ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২৮ মার্চ গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত আতিককে আটক করে। এরপর ধারাবাহিক বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের কুশলী এডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমদ জানান, সকল সাক্ষ্য প্রমাণে আতিকুর রহমান দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

তবে, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সকালে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামে আবদুল করিম খান এর ছেলে রাহেল আহমদ বাড়ির সামনের গাছ কাটতে গেলে তার বাবা করিম খান ও তার মাতা মিনারা বেগম বাধা দেন। এ সময় তাদের সাথে ছেলের বাকবিতণ্ডা হলে এক পর্যায়ে রাহেল আহমদ উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কোদাল ও দা দিয়ে বাবা ও মাতার উপর হামলা করে।

স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শোনে এগিয়ে আসলে ছেলে রাহেল আহমদ পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই করিম খান মৃত্যুবরণ করেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা মিনারা বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে মিনারা বেগমকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে হঠাৎ আবার শরীর খারাপ হয়ে গেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মা-বাবাকে হত্যার দায়ে সিলেটে ছেলের মৃ-ত্যুদ-ণ্ড

আপডেট টাইম : ০৬:১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

মা-বাবাকে হত্যার দায়ে সিলেটে ছেলের মৃ-ত্যুদ-ণ্ড
বাবা-মা হত্যার দায়ে সিলেটে আতিকুর রহমান রাহেলের (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) সকালে সিলেটের দায়রা জজ আদালতে সিনিয়র বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আতিকুর রহমান রাহেল সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুনামপুর গ্রামের আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনার ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিজাম উদ্দিন জানান, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সিলেটের গোলাপগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা আবদুল করিম খান (৬০) ও মা মিনারা বেগম (৪৫) কে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আতিক হোসেন খান ওরফে আতিকুর রহমান রাহেল (৩৫) নামক এক ব্যক্তি।

পরে, তার ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২৮ মার্চ গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত আতিককে আটক করে। এরপর ধারাবাহিক বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের কুশলী এডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমদ জানান, সকল সাক্ষ্য প্রমাণে আতিকুর রহমান দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

তবে, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সকালে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামে আবদুল করিম খান এর ছেলে রাহেল আহমদ বাড়ির সামনের গাছ কাটতে গেলে তার বাবা করিম খান ও তার মাতা মিনারা বেগম বাধা দেন। এ সময় তাদের সাথে ছেলের বাকবিতণ্ডা হলে এক পর্যায়ে রাহেল আহমদ উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কোদাল ও দা দিয়ে বাবা ও মাতার উপর হামলা করে।

স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শোনে এগিয়ে আসলে ছেলে রাহেল আহমদ পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই করিম খান মৃত্যুবরণ করেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা মিনারা বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে মিনারা বেগমকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে হঠাৎ আবার শরীর খারাপ হয়ে গেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।