ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

এবার বেড়েছে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা: “বন্দর জেটিতে ৮ মিটারের জাহাজ ভিড়তে শুরু করেছে”

  • ওমর ফারুক :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৯:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • ১০৭ ০.০০০ বার পাঠক

মোংলা বন্দরে সবচেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনারবাহী জাহাজ এম ভি মার্কস শিয়ামেন বন্দর জেটিতে ভিড়েছে। আগে যেসব জাহাজ বন্দরে এসেছে তার বেশিরভারই ছিল ৭ মিটার গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনার জাহাজ। জেটিতে প্রতিনিয়ত ড্রেজিং করার ফলে মোংলা বন্দর এ সাফল্য অর্জন করলো। পশুর চ্যানেলে ও জেটি ফ্রন্টে ড্রেজিংয়ের ফলে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হয়েছে। ২৭ মার্চ বিকাল ৫ টায় বন্দরের ০৬ নম্বর জেটিতে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী

‘এমভি মার্কস শিয়ামেন’ জাহাজটি নোঙর করে। জাহাজটিতে আমদানি পন্য ও খালিসহ মোট ১৭৯টি কন্টেইনার এসেছে এর মধ্যে আমদানী পন্য ছিল ১১০ টিতে ও বাকি ৬৯ টি খালি কন্টেইনার। এই জাহাজেই ২২১ কন্টেইনার নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দর
থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দ্যেশে গমন করবে। রপ্তানিকৃত কন্টেইনারে রয়েছে
ইপিজেড কার্গো, জুট, জুট গুডস, ফিস ফ্রোজেন, ট্রাভেল ব্যাগ, ভিআইপি
লাগেজ, টাইলস, কটন ইয়ার্ণ ইত্যাদি।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রি. তারিখে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমবারের মত কন্টেইনারবাহী জাহাজ এমসিসি টোকিও বন্দর জেটিতে আগমন
করেছিল।
মোংলা বন্দর জেটিতে এমভি মার্কস শিয়ামের আগমনের মধ্যদিয়ে এ বন্দরের
সক্ষমতা প্রকাম পেলো। দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে ড্রেজিংয়ের ফলে এ সফলতা এসেছে।
এখন থেকে আট মিটার গভীরতার জাহাজ আসতে আর কোনও বাধা থাকবে না এবং
ভবিষ্যতে আরও অধিক ড্রাফটের জাহাজ কীভাবে এখানে ভেড়ানো যায় সে লক্ষ্যে
কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে
কর্মযজ্ঞ চলমান যার ফলে বন্দরের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন,
“এমভি মার্কস শিয়ামেন এর মাধ্যমে ৮ মি. গভীরতার কন্টেইনার জাহাজ আগমন
মোংলা বন্দরের জন্য একটি নতুন অধ্যায় সূচীত হলো। বর্তমান সরকারের
ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মোংলা বন্দর এখন বিশ্বমানের বন্দরে রূপান্তরিত
হয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েক গুন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকার
গার্মেন্টস পন্যসহ অন্যান্য সকল ব্যবসায়ীদের মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রতি
আগ্রহ বেড়েছে। এর সুফল হিসাবে মোংলা বন্দর জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করছে। মোংলা বন্দর তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সার্বিক
উন্নয়নের স্বার্থে সরকার পশুর চ্যানেলের ড্রেজিং কাজ চলমান রেখেছে
ফলশ্রুতিতে মোংলা বন্দরে এখন থেকে আরোও অধিক গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ
অনায়াসে আসা-যাওয়া করতে পারবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভৈরবে আগানগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ

এবার বেড়েছে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা: “বন্দর জেটিতে ৮ মিটারের জাহাজ ভিড়তে শুরু করেছে”

আপডেট টাইম : ০৩:৩৯:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

মোংলা বন্দরে সবচেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনারবাহী জাহাজ এম ভি মার্কস শিয়ামেন বন্দর জেটিতে ভিড়েছে। আগে যেসব জাহাজ বন্দরে এসেছে তার বেশিরভারই ছিল ৭ মিটার গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনার জাহাজ। জেটিতে প্রতিনিয়ত ড্রেজিং করার ফলে মোংলা বন্দর এ সাফল্য অর্জন করলো। পশুর চ্যানেলে ও জেটি ফ্রন্টে ড্রেজিংয়ের ফলে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হয়েছে। ২৭ মার্চ বিকাল ৫ টায় বন্দরের ০৬ নম্বর জেটিতে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী

‘এমভি মার্কস শিয়ামেন’ জাহাজটি নোঙর করে। জাহাজটিতে আমদানি পন্য ও খালিসহ মোট ১৭৯টি কন্টেইনার এসেছে এর মধ্যে আমদানী পন্য ছিল ১১০ টিতে ও বাকি ৬৯ টি খালি কন্টেইনার। এই জাহাজেই ২২১ কন্টেইনার নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দর
থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দ্যেশে গমন করবে। রপ্তানিকৃত কন্টেইনারে রয়েছে
ইপিজেড কার্গো, জুট, জুট গুডস, ফিস ফ্রোজেন, ট্রাভেল ব্যাগ, ভিআইপি
লাগেজ, টাইলস, কটন ইয়ার্ণ ইত্যাদি।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রি. তারিখে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমবারের মত কন্টেইনারবাহী জাহাজ এমসিসি টোকিও বন্দর জেটিতে আগমন
করেছিল।
মোংলা বন্দর জেটিতে এমভি মার্কস শিয়ামের আগমনের মধ্যদিয়ে এ বন্দরের
সক্ষমতা প্রকাম পেলো। দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে ড্রেজিংয়ের ফলে এ সফলতা এসেছে।
এখন থেকে আট মিটার গভীরতার জাহাজ আসতে আর কোনও বাধা থাকবে না এবং
ভবিষ্যতে আরও অধিক ড্রাফটের জাহাজ কীভাবে এখানে ভেড়ানো যায় সে লক্ষ্যে
কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে
কর্মযজ্ঞ চলমান যার ফলে বন্দরের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন,
“এমভি মার্কস শিয়ামেন এর মাধ্যমে ৮ মি. গভীরতার কন্টেইনার জাহাজ আগমন
মোংলা বন্দরের জন্য একটি নতুন অধ্যায় সূচীত হলো। বর্তমান সরকারের
ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মোংলা বন্দর এখন বিশ্বমানের বন্দরে রূপান্তরিত
হয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েক গুন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকার
গার্মেন্টস পন্যসহ অন্যান্য সকল ব্যবসায়ীদের মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রতি
আগ্রহ বেড়েছে। এর সুফল হিসাবে মোংলা বন্দর জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করছে। মোংলা বন্দর তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সার্বিক
উন্নয়নের স্বার্থে সরকার পশুর চ্যানেলের ড্রেজিং কাজ চলমান রেখেছে
ফলশ্রুতিতে মোংলা বন্দরে এখন থেকে আরোও অধিক গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ
অনায়াসে আসা-যাওয়া করতে পারবে।