ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

মোটা চালের দাম কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:১১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • ২৩৮ ০.০০০ বার পাঠক

অর্থনৈতিক রিপোর্ট।।

মোটা চালের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের । সরবরাহ বাড়ায় কমেছে শাক-সবিজর দাম। আটা, ডাল, চিনি, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে মাছ-মাংসের দাম।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, মুগদা বড় বাজার ও যাত্রাবাড়ী বাজার ঘুওে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত কয়েক মাস ধরে উর্ধমুখী চালের বাজার। স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত মোটা চাল এখন বছরের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর খুচরা বাজারে। তবে টানা বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৪-৪৮, সরু নাজির ও মিনিকেট ৫৮-৬২ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫০-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপ্তান বাজারের নুরু রাইচ এজেন্সীর সত্বাধিকারী মো. নুরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সব ধরনের চালের দাম একটু কমেছে। তবে এইদামও অনেক বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তিনি বলেন, দাম কমাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে। এসব চাল বাজারে আসলে দাম কমে আসবে।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম। গত কয়েকমাস ধরে দাম বাড়লেও আর কমছে না। প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১২০ পাঁচ লিটারের ক্যান ৬০০-৬৫০, সয়াবিন তেল বোতল একলিটার ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বাজারে আটা খোলা প্রতিকেজি ৩০-৩২, আটা প্যাকেট ৩৩-৩৫, ময়দা প্যাকেট ৪০-৪৫, ডাল মসুর প্রতিকেজি ৬৫-১৪০, চিনি ৬৫-৭০, প্রতিডজন ডিম ৯০-১০০ এবং প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০, এবং দেশী পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। আমদানিকৃত মোটা পেঁয়াজ ১৫-২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শীতের সবজির দাম আরও কমেছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস।

ফকিরাপুল বাজারের ব্যবসায়ী মো. হারুন জনকণ্ঠকে বলেন, শীতের সবজি এখনো ভরপুর পাওয় যাচ্ছে। এ কারণে ক্রেতারা কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। আরও মাসখানেক হয়তো সবজির এমন দাম থাকবে। তারপর দাম বেড়ে যেতে পারে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মোটা চালের দাম কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের

আপডেট টাইম : ১১:২৮:১১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

অর্থনৈতিক রিপোর্ট।।

মোটা চালের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের । সরবরাহ বাড়ায় কমেছে শাক-সবিজর দাম। আটা, ডাল, চিনি, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে মাছ-মাংসের দাম।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, মুগদা বড় বাজার ও যাত্রাবাড়ী বাজার ঘুওে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত কয়েক মাস ধরে উর্ধমুখী চালের বাজার। স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত মোটা চাল এখন বছরের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর খুচরা বাজারে। তবে টানা বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৪-৪৮, সরু নাজির ও মিনিকেট ৫৮-৬২ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫০-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপ্তান বাজারের নুরু রাইচ এজেন্সীর সত্বাধিকারী মো. নুরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সব ধরনের চালের দাম একটু কমেছে। তবে এইদামও অনেক বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তিনি বলেন, দাম কমাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে। এসব চাল বাজারে আসলে দাম কমে আসবে।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম। গত কয়েকমাস ধরে দাম বাড়লেও আর কমছে না। প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১২০ পাঁচ লিটারের ক্যান ৬০০-৬৫০, সয়াবিন তেল বোতল একলিটার ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বাজারে আটা খোলা প্রতিকেজি ৩০-৩২, আটা প্যাকেট ৩৩-৩৫, ময়দা প্যাকেট ৪০-৪৫, ডাল মসুর প্রতিকেজি ৬৫-১৪০, চিনি ৬৫-৭০, প্রতিডজন ডিম ৯০-১০০ এবং প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০, এবং দেশী পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। আমদানিকৃত মোটা পেঁয়াজ ১৫-২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শীতের সবজির দাম আরও কমেছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস।

ফকিরাপুল বাজারের ব্যবসায়ী মো. হারুন জনকণ্ঠকে বলেন, শীতের সবজি এখনো ভরপুর পাওয় যাচ্ছে। এ কারণে ক্রেতারা কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। আরও মাসখানেক হয়তো সবজির এমন দাম থাকবে। তারপর দাম বেড়ে যেতে পারে।