ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে হাজী মো: মকবুল হোসেনের বিশাল জনসভা ফুলবাড়ীতে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত অধিকার ও মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগ মানবাধিকার পরিস্থিতিতে অগ্রগতি নেই বাংলাদেশের হজ ভিসায় জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে যেতে পারবেন না হাজীরা জামালপুরে পাটের পরিবর্তে, পাট শাক চাষ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে গাজা ট্র্যাজেডি থেকে যে শিক্ষা নিতে বললেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধানের চাল কত টাকা কিনা হবে জানালেন মন্ত্রী সুন্দরবনের অগ্নিকান্ডের দায়ভার বনবিভাগকেই নিতে হবে জরুরী বিজ্ঞপ্তি মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

৩ জনের যাবজ্জীবন, ৫ জনের ২০ বছরের দণ্ড, একজন খালাস

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:০৯:৪৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • ২৮৭ ০.০০০ বার পাঠক

  • গফরগাঁওয়ের ৯ মানবতাবিরোধীর রায়

সময়ের কন্ঠ  ডেস্ক ॥

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৫ জনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও আব্দুল লতিফ নামের একজনকে খালাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ রায় ঘোষণা করেন। সদস্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় চারজনকে হত্যা ও ৯ জনকে আটক এবং নির্যাতনের চারটি অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ তাদের বিচার শুরু হয়। বিচারকাজ শেষ হয় গতবছরের ২৬ শে জানুয়ারি। আসামির মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছেন। পাঁচজনকে হাজির করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে।

তবে রায়ের দিন সকালে এসে পলাতক এক আসামি আলিমুদ্দিন খান ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রায় ঘোষণা শেষ হলে সে আসল আসামি কিনা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

গত মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।

এর আগে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছিল।

এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন- প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, সাহিদুর রহমান, জাহিদ ইমাম, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস শুকুর খান ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, গফরগাঁওয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১১ জন। এই ১১ আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় ২০১৮ সালের ৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। পরে গ্রেফতার একজন ও পলাতক একজনের মৃত্যু হয়।

এ মামলায় গ্রেফতার ছিলেন- মো. খলিলুর রহমান মীর, মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আব্দুল লতিফ। আর পলাতক ছিলেন এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা, আলিম উদ্দিন খান ও নুরুল আমিন শাহজাহান। এর মধ্যে বিচার চলাকালে মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার ও পলাতক থাকা অবস্থায় নুরুল আমিন শাজাহানের মৃত্যু হয়।

২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৪ জনকে হত্যা, ৯ জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রাম এলাকায় তারা এসব অপরাধ করেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে হাজী মো: মকবুল হোসেনের বিশাল জনসভা

৩ জনের যাবজ্জীবন, ৫ জনের ২০ বছরের দণ্ড, একজন খালাস

আপডেট টাইম : ০১:০৯:৪৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • গফরগাঁওয়ের ৯ মানবতাবিরোধীর রায়

সময়ের কন্ঠ  ডেস্ক ॥

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৫ জনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও আব্দুল লতিফ নামের একজনকে খালাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ রায় ঘোষণা করেন। সদস্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় চারজনকে হত্যা ও ৯ জনকে আটক এবং নির্যাতনের চারটি অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ তাদের বিচার শুরু হয়। বিচারকাজ শেষ হয় গতবছরের ২৬ শে জানুয়ারি। আসামির মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছেন। পাঁচজনকে হাজির করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে।

তবে রায়ের দিন সকালে এসে পলাতক এক আসামি আলিমুদ্দিন খান ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রায় ঘোষণা শেষ হলে সে আসল আসামি কিনা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

গত মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।

এর আগে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছিল।

এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন- প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, সাহিদুর রহমান, জাহিদ ইমাম, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস শুকুর খান ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, গফরগাঁওয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১১ জন। এই ১১ আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় ২০১৮ সালের ৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। পরে গ্রেফতার একজন ও পলাতক একজনের মৃত্যু হয়।

এ মামলায় গ্রেফতার ছিলেন- মো. খলিলুর রহমান মীর, মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আব্দুল লতিফ। আর পলাতক ছিলেন এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা, আলিম উদ্দিন খান ও নুরুল আমিন শাহজাহান। এর মধ্যে বিচার চলাকালে মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার ও পলাতক থাকা অবস্থায় নুরুল আমিন শাজাহানের মৃত্যু হয়।

২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৪ জনকে হত্যা, ৯ জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রাম এলাকায় তারা এসব অপরাধ করেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।