বেনাপোলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি
- আপডেট টাইম : ০৪:৪৭:০২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
- / ১৮১ ৫০০০.০ বার পাঠক
বাংলাদেশে প্রথম স্থলবন্দর হিসাবে আন্তর্জাতিক বেনাপোল স্থলবন্দর ইমগ্রেশনে উদ্বোধন করা হলো ইলেকট্রনিক ই-গেইট সিষ্টেম। মাত্র ১৮ সেকেন্ডে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করে সিল মেরে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করতে পারবে একজন পাসপোর্ট যাত্রী। ম্যানুয়াল পদ্ধতির ঝামেলা না থাকায় সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ডে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা নিজেরাই। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ভোগান্তি না থাকায় ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে সহজে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা।
আজ শনিবার বিকাল ৫টায় বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে ই-গেইট উদ্বোধন করেছেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। উদ্বোধন কালে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আজ আমরা ই-পাসপোর্টে চলে এসেছি। বিশ্বের স্বনামধন্য জার্মানির একটি কোম্পানি আমাদের ই-পাসপোর্টে সহযোগিতা করেছে। শুধু ই-পাসপোর্টই নয় ই-গেট করার জন্য তারা সহযোগিতা করছেন। আমরা পরবর্তীকালে ই-ভিসায়ও চলে যাচ্ছি। ই-ভিসা ও অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন পেলে আরও দ্রুত আমাদের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে সার্ভিস পাওয়া যাবে। এটাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। এখন আমরা তারই ঘোষণায় স্মার্ট বাংলাদেশে যাচ্ছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালযের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহম্মেদএমপি, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, সুরক্ষা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চোধুরী, বিজিবি’র মহা পরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নুরুল আনোয়ার, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ- কমিশনার সাফায়েত হোসেন, ও জেলা পুলিশ প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার প্রমুখ।
বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় শার্শা উপজেলার বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জনাব স্বপন ভট্টাচার্য এমপি।
বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তের নো-ম্যান্সল্যান্ডে সন্ধ্যা ৬ টার সময় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ কর্তৃক জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি উপস্থিত থেকে জমকালো ও মনোমুগ্ধকর এই প্যারেডটি উপভোগ করেন। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব মো: আমিনুল ইসলাম খান এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিনবঙ্গের আইজি অতুল ফুলজেলে, কলকাতা বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার শ্রী রাজেস কুমার। প্যারেড শেষে মাননীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রী প্যারেডে অংশগ্রহণকৃত বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের সাথে কুশলাদি বিনিময়, শুভেচ্ছা উপহার প্রদান ও মিষ্টি বিতরণ করেন।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা স্বাধীনতার মাস। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত ছিল বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারত আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতীম ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সোহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ রিট্রিট প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। সীমান্ত হত্যা নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজিবির মহাপরিচালক এবং ভারতীয় বিএসএফের মহাপরিচালক সবাই বসে চেষ্টা করছি সীমান্ত হত্যা শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনার। আশা করি অতি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
পরে বেনাপোল কাগজপুকুরে নব নির্মিত পৌর বাস টার্মিনাল উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।