ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবন রাজউক কর্তক অবৈধ নকশায় নির্মাণ করার প্রমাণিত হওয়ায় মালিককে চিঠি পর্ব ২ শ্রীপুরে ওসি’র ঘুষ লেনদেনের অডিও ভাইরাল গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। পর্ব ২ জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

বশেমুরবিপ্রবিতে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে কমনরুমের ব্যবস্থা চালু

মহি আহাম্মেদ,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি ।
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২৫০ ৫০০০.০ বার পাঠক

প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পর বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের জন্যে কমনরুমের ব্যবস্থা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বাংলা বিভাগ।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় কমনরুমের উদ্বোধন করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তা ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। এসময় বিভাগটির ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নওরিন তন্বী বলেন,”কমনরুম প্রত্যেক বিভাগেই দরকার। কারণ মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন কিছু সমস্যা থাকে। এছাড়া আমাদের অনেক বান্ধবী ছোট বেবি নিয়ে আসে তাদেরকে অনেক সময় ফিডিং করানোর প্রয়োজন পড়ে।তাই একজন মেয়ে হিসেবে এবং আমার বিভাগের একজন স্টুডেন্ট হিসেবে আমি মনেকরি এটা অবশ্যই একটা ভালো উদ্যোগ।”

ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ নিয়ে বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বলেন, “আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে এসেছি। সেখানে প্রত্যেক ফ্যাকাল্টিতে একাধিক কমনরুম ছিলো। কিন্তু আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কমনরুম বা আলাদা ওয়াশরুমও নেই। এখানে ডে-কেয়ার সিস্টেমও চালু হয়নি। এগুলার জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে আসছি।

তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান হয়ে চিন্তা করলাম আমি এই কাজ শুরু করি। পরে আমার সহকর্মীদের সহযোগিতায় কমনরুমের কাজটা শুরু করি। নারী শিক্ষার্থী যারা আছেন তাদের ঋতুস্রাব চলাকালীন তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া  পর্দানশীন কিছু নারী শিক্ষার্থী আছে যারা নামাজ পড়ে তাদের একটু আলাদা জায়গার দরকার হয়। আবার যারা অন্তঃসত্ত্বা আছেন বা সদ্য মা হয়েছেন তাদেরও একটু বিশ্রামের প্রয়োজন হয় মাঝেমধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং এর প্রয়োজন হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করেই প্লানিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের বরাদ্দকৃত রুমের অফিস রুমের অর্ধেকটা আমরা কমনরুম হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বশেমুরবিপ্রবিতে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে কমনরুমের ব্যবস্থা চালু

আপডেট টাইম : ০৭:৪৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পর বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের জন্যে কমনরুমের ব্যবস্থা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বাংলা বিভাগ।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় কমনরুমের উদ্বোধন করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তা ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। এসময় বিভাগটির ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নওরিন তন্বী বলেন,”কমনরুম প্রত্যেক বিভাগেই দরকার। কারণ মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন কিছু সমস্যা থাকে। এছাড়া আমাদের অনেক বান্ধবী ছোট বেবি নিয়ে আসে তাদেরকে অনেক সময় ফিডিং করানোর প্রয়োজন পড়ে।তাই একজন মেয়ে হিসেবে এবং আমার বিভাগের একজন স্টুডেন্ট হিসেবে আমি মনেকরি এটা অবশ্যই একটা ভালো উদ্যোগ।”

ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ নিয়ে বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বলেন, “আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে এসেছি। সেখানে প্রত্যেক ফ্যাকাল্টিতে একাধিক কমনরুম ছিলো। কিন্তু আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কমনরুম বা আলাদা ওয়াশরুমও নেই। এখানে ডে-কেয়ার সিস্টেমও চালু হয়নি। এগুলার জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে আসছি।

তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান হয়ে চিন্তা করলাম আমি এই কাজ শুরু করি। পরে আমার সহকর্মীদের সহযোগিতায় কমনরুমের কাজটা শুরু করি। নারী শিক্ষার্থী যারা আছেন তাদের ঋতুস্রাব চলাকালীন তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া  পর্দানশীন কিছু নারী শিক্ষার্থী আছে যারা নামাজ পড়ে তাদের একটু আলাদা জায়গার দরকার হয়। আবার যারা অন্তঃসত্ত্বা আছেন বা সদ্য মা হয়েছেন তাদেরও একটু বিশ্রামের প্রয়োজন হয় মাঝেমধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং এর প্রয়োজন হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করেই প্লানিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের বরাদ্দকৃত রুমের অফিস রুমের অর্ধেকটা আমরা কমনরুম হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।