জকিগঞ্জে মসজিদের নামকরণ নিয়ে সংগাত ; আহত ৬
- আপডেট টাইম : ০২:২৫:৪৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
- / ১৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউনিয়নের সখড়া জামে-মসজিদের নামকরণ নিয়ে মারামারি ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ চারজন আহত হয়েছেন। আজ ১৮ নভেম্বর (শুক্রবার) বাদ জুম্মা সখড়া জামে মসজিদ এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন চারবছর থেকে মসজিদের নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। মসজিদটি ইছাপুর মৌজার সখড়া গ্রামে সকরা গ্রামে অবস্থিত। এবং ইলাবাজ, সখড়া, হালঘাট ও এলংজুরী গ্রামের মুসল্লিরা নামাজ রোজাসহ ধর্মীয় সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে কোনদিন কোন ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দেয়েনি। বিগত মাট জরিপে অজ্ঞাত নামা কুচক্রী মহল এলংজুরী-সখড়া জামে মসজিদ নামে নামকরণ করে। এবং মসজিদের সকল ডকুমেন্ট কাগজপত্র গায়েব করে ফেলে। পরে সখড়া, ইলাবাজ, হালঘাট গ্রামের মুসল্লীরা এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এটা কোনো প্রতিকার না পেয়ে সিলেট ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে রেকর্ড সংশোধন মামলা করে। মামলার বিষয়টি জানার পর থেকে একাধিকবার এলংজুরী গ্রামের মুসল্লীরা মারামারি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা মিমাংসা উদ্যোগে একটি সালিশ বোর্ড গঠন করেন। বিচারকরা সঠিক কাগজপত্র ও ডকুমেন্ট সাবমিট করার জন্য বলিলে এলংজুরী গ্রামের লোকজন দিতে না পরায় বিচার বোর্ডকে অমান্য করে। এবং জোরপূর্বক মসজিদের নামকরণ পরিবর্তনে পুনরায় চেষ্টা চালায়। বিভিন্ন জুম্মার দিনে উত্তেজিত ঘটনার সম্ভাবনা দেখা দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে করে।
এ বিষয়ে সালিশ বোর্ডের সাথে কথা বললে জানান, মসজিদটি প্রায় দুইশত বছরের পুরনো। সখড়া, ইলাবাজ, হালঘাট ও এলংজুরী গ্রামের মুসল্লীরা ধর্মীয় সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনটি গ্রামের দাবি এটি সখড়া জামে-মসজিদ ও এলংজুরী গ্রামের মুসল্লীদের দাবি এলংজুরী-সখড়া জামে মসজিদ। এলংজুরী-সখড়া নামে নামকরণ হলে ইলাবাজ ও হালঘাট গ্রামের নাম বাদ পড়ে যায়। তাদের দাবি চারটি গ্রামের নামে নামকরণ বা সখড়া জামে- মসজিদ নাম বহাল রাখতে। এবং এ বিষয়ে সিলেট ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে রেকর্ড সংশোধন মামলা চলমান রয়েছে। তবে আমাদের কাছে যে সকল কাগজ জমা দেওয়া হয়েছে এসব কাগজ হলো বিদ্যুৎ বিল, দলিল, ব্যাংক একাউন্ট এসবে সখড়া জামে মসজিদ উল্লেখ রয়েছে। এলংজী গ্রামের লোকজন যেসকল কাগজ দিয়েছেন এসব পূর্ণ তাদের হাতের লেখা এবং একটি মাট ফর্সা এলংজুরী সখড়া গ্রামের জামে মসজিদ নামে। এই মাঠ পর্সা নিয়েই মূলত দ্বন্দ্ব। আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছানোর আগেই এলংজুরী গ্রামের লোকজন একধিকবার উত্তেজনা বিষয়টি আমাদেরকে অবগত করেছে স্থানীয়রা। আজকের বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
১৮ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা শান্তিপূর্ণ ভাবে নামাজ আদায় শেষে হটাৎ করে এলংজুরী গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা ইটপাটকেল ছুঁড়েতে শুরু করে। এতে সখড়া গ্রামের মসব আলীর ছেলে আব্দুস সালাম ছনল, হেলাল উদ্দিন উদ্দিনের ছেলে মুক্তাদির হোসেন, শরাফত আলীর ছেলে আব্দুস শুক্কুর, আঞ্জির উদ্দিন ও তার স্ত্রী ও ইলাবজ গ্রামের শামসুল হকের ছেলে লিটন আহমদ আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। এরমধ্যে আব্দু শুক্কুর-এর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এবিষয় কমর উদ্দিন বলেন, মসজিদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এলংজুরী গ্রামের লোকজন অতর্কিত হামলা শুরু করলে মুসল্লিরা প্রাণ রক্ষা আমার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। মুসল্লীরা আমার বাড়িতে প্রবেশ করলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে এতে আমার বসত ঘর ভাঙচুর করে।