ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দুদক সংস্কারে ৪৭ প্রস্তাবনা কমিশন যাদের কেয়ামত হওয়া নিয়ে অবিশ্বাস আছে তাদের জন্য এই দৃশ্য এক প্রকার নিদর্শন জলসুখা গ্রামে দুইশত বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা শেষ হল মোংলায় বঙ্গবন্ধু মহিলা সরকারি কলেজের আয়োজনে তারুণ্য উৎসব পালিত শীতার্তদের মাঝে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি’র শীতবস্ত্র বিতরণ মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক, মুখ খুললো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে অভিষেকের আগে হামজাকে ছেড়ে দিচ্ছে লেস্টার সিটি বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন চায় বিএনপি। মীরজা ফখরুল সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট, মোট আসন ৫০৫ লে- অফ ব্রেক্সিমকো কোম্পানি ৪০ হাজার শ্রমিকের মানববন্ধন

তিস্তা ব্যারেজ রং করতে সাড়ে তিন কোটি টাকা’র অনিয়ম

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:২৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৪৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ব্যারেজ সংস্কারের নামে কয়েক কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিস্তা ব্যারেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রঙের কাজে রংবাজি করা হয়েছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে!

অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিস্তা ব্যারেজে সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজে দায়সারাভাবে রং করাসহ নানা অনিয়ম বেরিয়ে আসে। ব্যারাজের রেলিং ও ৫২টি জলকপাট পরিষ্কার ও রং করার জন্য ক্যাট প্রকল্পের ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কাগজে কলমে দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছেন রংপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনাইটেড ব্রাদার্স। ধূলাবালি আর জং তুলতে ঘষাঘষি করা হয় ব্রাশ, ছেনি-বাটালের মতো দেশীয় সরঞ্জাম দিয়ে। যদিও দরপত্রে এই কাজে অত্যাধুনিক কমপ্রেশার মেশিন ব্যবহারের শর্ত আছে কার্যাদেশে। পানিতে তলিয়ে থাকা লোহা ও ইস্পাতের গেটসহ ব্যারেজের মূল অংশ রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডালিয়া পাউবোর এক কর্মচারী জানান, “নির্দেশনা না মেনে হাত দিয়েই রং করা হয়েছে। এতে ৩০ লাখ টাকাও ব্যয় হয়নি।”

দরপত্র অনুযায়ী যোগাযোগ করা হলে মেসার্স ইউনাইটেড ব্রাদার্স ঠিকাদার জাফর আলম বলেন, “আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজটি কে করছেন আমি কিছুই জানি না।”

কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী বিলাস চন্দ্র হাত দিয়ে রং করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই কাজ বুঝে নিয়েছি। রঙের কাজে আধুনিক যন্ত্র কেন ব্যবহার হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলুন।”

এ বিষয়ে ডালিয়া যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রুবাইয়াত ইমতিয়াজের সাথে কথা বলা হয়। তিনি শারিরিকভাবে অসুস্থ জানিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বারবার। তিস্তা ব্যারেজের রং এর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি পরে কাগজপত্র দেখে জানাবেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

বর্ষার ভরা মৌসুমে তিস্তা ব্যারেজের রং ও সংস্কারের নামে ক্যাট প্রকল্পের ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় নিয়ে যে ঠিকাদারের লাইসেন্সে ব্যারেজের সৌন্দর্য বর্ধন বাড়ানোর জন্য রংয়ের কাজ করা হয় সেই ঠিকাদার কিছুই জানে না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তিস্তা ব্যারেজ রং করতে সাড়ে তিন কোটি টাকা’র অনিয়ম

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:২৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ব্যারেজ সংস্কারের নামে কয়েক কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিস্তা ব্যারেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রঙের কাজে রংবাজি করা হয়েছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে!

অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিস্তা ব্যারেজে সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজে দায়সারাভাবে রং করাসহ নানা অনিয়ম বেরিয়ে আসে। ব্যারাজের রেলিং ও ৫২টি জলকপাট পরিষ্কার ও রং করার জন্য ক্যাট প্রকল্পের ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কাগজে কলমে দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছেন রংপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনাইটেড ব্রাদার্স। ধূলাবালি আর জং তুলতে ঘষাঘষি করা হয় ব্রাশ, ছেনি-বাটালের মতো দেশীয় সরঞ্জাম দিয়ে। যদিও দরপত্রে এই কাজে অত্যাধুনিক কমপ্রেশার মেশিন ব্যবহারের শর্ত আছে কার্যাদেশে। পানিতে তলিয়ে থাকা লোহা ও ইস্পাতের গেটসহ ব্যারেজের মূল অংশ রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডালিয়া পাউবোর এক কর্মচারী জানান, “নির্দেশনা না মেনে হাত দিয়েই রং করা হয়েছে। এতে ৩০ লাখ টাকাও ব্যয় হয়নি।”

দরপত্র অনুযায়ী যোগাযোগ করা হলে মেসার্স ইউনাইটেড ব্রাদার্স ঠিকাদার জাফর আলম বলেন, “আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজটি কে করছেন আমি কিছুই জানি না।”

কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী বিলাস চন্দ্র হাত দিয়ে রং করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই কাজ বুঝে নিয়েছি। রঙের কাজে আধুনিক যন্ত্র কেন ব্যবহার হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলুন।”

এ বিষয়ে ডালিয়া যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রুবাইয়াত ইমতিয়াজের সাথে কথা বলা হয়। তিনি শারিরিকভাবে অসুস্থ জানিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বারবার। তিস্তা ব্যারেজের রং এর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি পরে কাগজপত্র দেখে জানাবেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

বর্ষার ভরা মৌসুমে তিস্তা ব্যারেজের রং ও সংস্কারের নামে ক্যাট প্রকল্পের ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় নিয়ে যে ঠিকাদারের লাইসেন্সে ব্যারেজের সৌন্দর্য বর্ধন বাড়ানোর জন্য রংয়ের কাজ করা হয় সেই ঠিকাদার কিছুই জানে না।